সবুরে মেওয়া ফলে -ভাবসম্প্রসারণ
সবুরে মেওয়া ফলে
ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব : জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ধৈর্য ও সহনশীলতা নিয়ে এগিয়ে চললে সাফল্য অবশ্যম্ভাবী। ধৈর্য ধারণের মধ্য দিয়েই মানুষের জীবন কুসুমাস্তীর্ণ হয়ে উঠে।
সম্প্রসারিত ভাব : হঠাৎ করে বা অনায়াসেই কারাে জীবনে সাফল্য আসে না। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, বাধা-বিপত্তি আর দুঃখ-কষ্ট পেরিয়ে মানুষ সাফল্যের স্বর্ণশিখরে সমাসীন হয়। দীর্ঘদিন ধরে অসীম ধৈর্য আর তিলে তিলে গড়া কর্মফলের প্রতিদানই সাফল্য। জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রধান অস্ত্র হলাে ধৈর্য। ধৈর্য ধারণের মধ্য দিয়েই মানুষকে কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হয়। জীবনে চলার পথে বাধা বিপত্তি আসবে এটাই স্বাভাবিক এবং এটাই জীবনের ধর্ম। কিন্তু তাই বলে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। হাত গুটিয়ে বসে থেকে শুধু যন্ত্রণাকে মেনে নেওয়ার মধ্যে কোনাে কৃতিত্ব নেই। ঘাতপ্রতিঘাত আর যন্ত্রণার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে দাঁড়ানাের মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা। প্রতিটি মহামানবের জীবন পর্যালােচনা করলে দেখা যায়, তারা কোনাে বাধা-বিপত্তিতেই ভেঙ্গে পড়েননি বরং অসীম ধৈর্য আর সাহসিকতা নিয়ে অপেক্ষা করেছেন। সুতরাং সবুর করা অর্থাৎ ধৈর্য ধারণের মধ্য দিয়ে মানুষ ধীরে ধীরে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছতে সক্ষম হয়।
মন্তব্য : ধৈর্যধারণ অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। কিন্তু নিষ্ঠার সাথে এ মহান মানবিক গুণকে আয়ত্ত করতে পারলে একদিকে জীবনে যেমন সাফল্য আসে, অন্যদিকে তার দ্বারা দেশ ও জাতি অনেক উপকৃত হয়।
আরও পড়ুন-
209.সবুরে মেওয়া ফলে -ভাবসম্প্রসারণ
208.হে অতীত তুমি ভুবনে ভুবনে, কাজ করে যাও গোপনে গোপনে।
207.ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানাে রুটি
205. চরিত্র মানষের অমূল্য সম্পদ।
204. দু:খের মতো এত বড় পরশ পাথর আর নেই।
203. সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই
201. হে অতীত তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে।
200. হাস্যমুখে অদৃষ্টেরে করব মোরা পরিহাস।
199. হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই, অগৌরব হল মিথ্যায়, মূর্খতায়।
198. সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা আশা তার একমাত্র ভেলা।
197. সংসারে সংসারী সাজ কর নিত্য নিজ কাজ।
196. সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর।
195. স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।
194. স্বার্থমগ্ন যেজন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে, সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।
193. স্বর্ণ করে নিজ রূপে অপরে শোভিত বংশী করে নিজ স্বরে অপরে মোহিত।
192. স্বদেশের উপকারে নেই যার মন কে বলে মানুষ তারে, পশু সেই জন।
191. স্পষ্টভাষী শত্রু, নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো ।
190. সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।
189. সেই ধন্য নরকুলে লোকে যারে নাহি ভুলে মনের মন্দিরে নিত্য সেবে সর্বজন।
188. সুজনে সু-যশ গায় কু-যশ ঢাকিয়া কুজনে কু-রব করে সু-রব নাশিয়া।
187. সুসময়ে বন্ধু বটে অনেকের হয় অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়।
186. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
185. সুখের ফসল এতই সোজা চাষাবাদে দহন-সহন তবেই না প্রাপ্তির খোঁজ।
184. সুকঠিন গার্হস্থ্য ব্যাপার কে পারে চালাতে রাজ্য শাসনের রীতিনীতি সূক্ষ্মভাবে রয়েছে ইহাতে।
183. সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ।
182. সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে সার্থক জনম মাগো, তোমায় ভালবেসে।
180. সত্য যে কঠিন কঠিনেরে ভালো বাসিলাম, সে কখনো করেনা বঞ্চনা।
179. সমালোচক শত্রু নয়, সেই প্রকৃত বন্ধু।
178. সম্পদে যাদের ঠেকে না চরণ মাটির মালিক তাহারাই হন।
176. সবলের পরিচয় আত্মপ্রসারে, আর দুর্বলের স্বস্তি আত্মগোপনে।
175. সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা দেশ মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা।
174. সত্য মূল্য না দিয়েই সাহিত্যের খ্যাতি করা চুরি ভালো নয় ভালো নয়, নকল সে সৌখিন মজদুরী।
173. সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
172. সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
171. সকল পাথর হলে মহামূল্য মণি মণির কদর কিছু হত না কখনি।
170. শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির।
169. শুধালো পথিক ‘সাগর হতে কী অধীক ধনবান ?’ জ্ঞানী বলেন, ‘বাছা তুষ্ট হৃদয় তারো চেয়ে গরীয়ান।’
168. শুনহে মানুষ ভাই সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
165. রৌদ্রে পুড়ে বৃষ্টিতে সে ভিজে দিবা-রাতি মোদের ক্ষুধার জন্য যোগায়, চায় নাকো সে খ্যাতি।
164. রাতে যদি সূর্য শোকে ঝরে অশ্রুধারা, সূর্য নাহি ফেরে, শুধু ব্যর্থ হয় তারা।
163. রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে।
162. রাখি যাহা তাহা বোঝা, কাঁধে চেপে রহে দিই যাহা তার ভার বরাবর বহে।
160. যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।
157.যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি আশু গৃহে তার দেখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ বাতি।
156.যে একা সেই সামান্য, যে একা সেই সামান্য, যার ঐক্য নাই সে তুচ্ছ।
155. যে অন্যায় আদেশ পালন করে সেও অন্যায় করে।
154. যাহারা এ পৃথিবীতে হয়ে গেছেন চিরধন্য নিজের জন্য ভাবেন নিকো, ভেবেছিলেন পরের জন্য।
153. যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু নিভাইছে তব আলো তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ তুমি কি বেসেছ ভাল?
152. যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না।
151. যার যোগ্যতা যত অল্প, তার আড়ম্ভর তত বেশি ।
150. যারে তুমি নিচে ফেল, সে তোমারে বাঁধিছে যে নিচে, পশ্চাতে রেখেছ যারে, সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।
149. যতক্ষন শ্বাস, ততক্ষন আঁশ।
148. যত বড় হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা আমি ভালবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা।
146. মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।
145. মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে।
144. মৃত্যুই কেবল উৎকোচ গ্রহণ করে না।
143. মুকুট পরা শক্ত; কিন্তু মুকুট ত্যাগ করা কঠিন।
142. মুক্ত কর ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়।
141. মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির-কাবা নাই।
140. মিত্রত্ব সর্বত্রই সুলভ, মিত্রত্ব রক্ষা করাই কঠিন
139. মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষকই হল মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী।
138. মানুষের সর্বাপেক্ষা ভারী বোঝা হচ্ছে ক্রোধ।
137. মানুষকে ভুল করিতে না দিলে মানুষকে শিক্ষা লাভ করিতে দেওয়া হয় না।
136. মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়।
135. মাটি হতে হে মানব তোমার জনম, আগুনের মতো কেন হও হে গরম।
134.মা এবং মায়ের মুখের ভাষা দুটোর মূল্যই সমান।
133. মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে। মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
132. মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।
131. মনের আজ কহ যে ভাল-মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে।
130. মধুর চেয়েও আছে মধু, সে এই আমার দেশের মাটি, আমার দেশের পথের ধূলা, খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।
129. মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে।
128. ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
127. ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ।
126.বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয় অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময় লভিব মুক্তির স্বাদ।
125. বেঁচেও মরে যদি মানুষ দোষে মরেও বাঁচে যদি মানুষ ঘোষে।
122. বিদ্বানের দোয়াতের কালি শহিদের রক্তের চেয়েও পবিত্র।
121. বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
120. বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখন ব’সে বিবি তালাকের ফতওয়া খুঁজেছি, ফিকাহ হাদিস চষে।
119. বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র নানাভাবে নানান জিনিস শিখছি দিবারাত্র।
118. বিশ্রাম কাজেরই অঙ্গ এক সাথে গোঁথা নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা।
117. বিনয় উন্নতি পথে প্রধান সোপান বিনয়ে মানব হয় মহামহীয়ান।
116. বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
115. বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয়, গুরু উত্তরসাধক মাত্র।
114. বলিতে না পার যাহা চোখের উপরে বলিওনা বলিওনা তাহা অগোচরে।
113. বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
112. বন থেকে জানোয়ার তুলে আনা যায় কিন্তু জানোয়ারের মন থেকে বন তুলে ফেলা যায় না।
111. বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে।
110. বই কিনে কেউ কোনো দিন দেউলিয়া হয় না।
109. ফ্যাশনটা হল মুখোশ, স্টাইলটা হল মুখশ্রী।
108. ফুলের বাগান সবার মনেই আছে ফুল ফোটাতে সবাই নাহি পারে।
107. প্রীতিহীন হৃদয় আর প্রত্যয়হীন কর্ম দুই-ই অসার্থক।
106. প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তাহারই।
105. প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক।
104. প্রয়োজন ব্যতিত বন্ধু ও শত্রু চেনা যায় না।
103. প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
100. প্রকৃত বীর একবারই মরে, কিন্তু কাপুরুষেরা মরে বারবার।
99. পুণ্য পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে মানুষ হতে দাও তোমার সন্তানে।
98. পেচাঁ রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনও ছুতা, জান না আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা।
97. পুষ্প আপনার জন্য ফোঁটে না।
95. পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন।
94. পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
93. পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয় পথের দু’ধারে আছে মোর দেবালয়।
92. পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
91. নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল, যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আলো।
90. নিতান্ত নির্বোধ শুধু সেইজন অমূল্য সময় করে বৃথায় যাপন।
89. নিরক্ষরতা দুর্ভাগ্যের প্রসূতি।
88. নাম মানুষকে বড় করে না মানুষই নামকে বড় করে তোলে।
87. নানান দেশের নানান ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা ?
86. নদীর এপার কহে ছাড়িয়ে নিঃশ্বাস ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস।
85. নহে আশরাফ আছে যার শুধু বংশ পরিচয় সেই আশরাফ জীবন যাহার পূণ্য কর্মময়।
83. ধৈর্য ধর, ধৈর্য ধর, বাধ বাধ বুক সংসারে সহস্র দুঃখ আসিবে আসুক।
82.ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যাক্ত করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে।
81.ধনের মানুষ, মানুষ নয় মনের মানুষই মানুষ।
80. দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি ?
79. দুধ কলা সমৃদ্ধ সোনার খাঁচা অপেক্ষা ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ অজানা আকাশ পাখির অনেক প্রিয়।
78. দুর্নীতি জাতির সকল উন্নতির অন্তরায়।
77. দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
76. দুঃখের মতো এত বড় পরশ পাথর আর নাই।
75. দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর।
74.দন্ডিতের সাথে দন্ড-দাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।
73. দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ।
72. তৃষ্ণার জল যখন আশার অতীত মরীচিকা তখন সহজে ভোলায়।
71.তোমার মাপে হয়নি সবাই, তুমিও হওনি সবার মাপে তুমি মর কারো ঠেলায়, কেউ-বা মরে তোমার চাপে।
70. তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?
69. তাই আজ প্রকৃতির উপর আধিপত্য নয় মানুষ গড়ে তুলতে চাইছে প্রকৃতির সঙ্গে মৈত্রীর সম্বন্ধ।
68. তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ।
67.জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ঠ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।
65. জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
64.জাতীয় অবিচার জাতীয় পতনের নিশ্চিত কারণ।
63. জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?
62.জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো ।
58. চন্দ্র কহে, বিশ্বে আলো দিয়েছি ছড়ায়ে কলঙ্ক যা আছে তাহা আছে মোর গায়ে।
57. চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান।
55. ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।
53.গাহি সাম্যের গান মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নয় কিছু মহীয়ান।
52. গাইতে গাইতে গায়েন আর বাজাতে বাজাতে বায়েন।
51.গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন।
50.গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু।
49.ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
48.ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।
47.কৃষ্ণ বলিয়া যারে তুমি আজি কর হীন অপমান রুধির তাহারো নহেত কৃষ্ণ- বহে সে-ও একই প্রাণ।
46.কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর।
43.কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভিতরে সবারই সমান রাঙা।
42.কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?
41. কাক কোকিলের এক বর্ণ, স্বরে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন।
40.করিতে পারি না কাজ সদা ভয় সদা লাজ। সংশয়ে সংকল্প সদা টলে পাছে লোকে কিছু বলে।
39.কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই।
38.কত বড় আমি, কহে নকল হীরাটি। তাইত সন্দেহ করি, নহ ঠিক খাঁটি।
36.এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।
35. উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে তিনি মধ্যম যিনি চলেন তফাতে।
34.উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।
32. আশার অন্ত নাইকো বটে আর সকলের অন্ত ঘটে।
31. আলো বলে, অন্ধকার, তুই বড় কালো অন্ধকার বলে, ভাই তাই তুমি আলো।
30.আলো ও অন্ধকার পাশাপাশি বাস করে একটিকে বাদ দিলে অন্যটি মূল্যহীন।
28. আমার একার সুখ, সুখ নহে ভাই সকলের সুখ, সখা, সুখ শুধু তাই।
27. আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই, যে মোরে করেছে পর।
25. আভিজাত্যের অহংকারের মতো অন্যায়বোধ হয় আর একটিও নাই।
24.আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে, আসে নাই কেহ অবনি পরে। সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
23. আপনারে কভু ভেবোনা ক্ষুদ্র, ভাবিওনা দীন তুমি তুমি নিতে পার জয় করিয়া এ বিপুল বিশ্বভূমি।
22. আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।
21.‘’আপনা রাখিলে ব্যর্থ জীবন সাধনা জনম বিশ্বের তরে পরার্থে কামনা।‘’
20. আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে।
19. আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য।
16. আত্মবিশ্বাসই বীরত্বের মূলমন্ত্র।
15.আছে যাহা আপন হাতে, নিত্য খুশি থাকো তাতে পরদ্রব্যে করলে আশা, দুঃখ পাবে সর্বনাশা।
14. আগে চুরি করে জেল খাটে পরে, নির্বোধ চোর তারা আগে জেল খাটে পরে চুরি করে, সেয়ানা স্বদেশী তারা।
13. আগে চল, আগে চল ভাই পড়ে থাকা পিছে, মরে থাকা মিছে, বেঁচে মরে কিবা ফল, ভাই।
12. অশান্তি যুদ্ধ থেকেও গুরুতর।
11. অহংকার এমন এক আবরণ, যা মানুষের সকল মহত্ত্ব আবৃত করে ফেলে।
09. অভিজ্ঞতা হল দুঃখ কষ্টের নির্যাস।
07. অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে।
06. অপরের দুঃখ কথা করিলে চিন্তন আপনার মনে দুঃখ থাকে কতক্ষণ।
05. অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।
04. অর্থ সম্পদের বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞান সম্পদ কখনো বিনষ্ট হয় না।
02. অতি দীন ও অশক্ত লোকেরাই দৈবের দোহাই দিয়া থাকে।
01. অতিবাড় বেড়ো না, ঝড়ে পড়ে যাবে অতি ছোট থেকো না, ছাগলে মুড়াবে
No comments