171. সকল পাথর হলে মহামূল্য মণি মণির কদর কিছু হত না কখনি।
পৃথিবীর সব বস্তুই মানুষ সমান গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে না। দৈনন্দিন জীবনে যেসব জিনিস অতি প্রয়োজনীয়, সেসব জিনিসের প্রতি সবাই গুরুত্ব প্রদান করে। সহজলভ্য বস্তুগুলো মানুষের কাছে কম গুরুত্ব বহন করে। যেমন-আলো, বাতাস, পানি প্রভৃতি ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। কিন্তু প্রকৃতিতে এসব প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বলেই এসবের প্রতি মানুষের গুরুত্ব কম। মানুষের জীবন ধারণের জন্য এগুলো
আবশ্যকীয় উপাদান হলেও মানুষ সাধারণত মনি-মুক্তা, সোনা-রূপাকে বেশি মূল্যবান হিসেবে গণ্য করে। কারণ প্রকৃতিতে আলো, বাতাস যেমন সহজে পাওয়া যায়, তেমনি মনি-মুক্তা খুজে পাওয়াটা ততোটা সহজ নয়। অনেক শ্রম ও সাধনার বিনিময়ে সেগুলো অর্জিত হয়। আর এই দুর্লভ্যতাই মনি-মুক্তার মূল্যমানকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। একইভাবে মানবজীবনে কষ্টার্জিত বস্তুই সবচেয়ে বেশি দামি। অনায়াসে লব্ধ বস্তুর প্রতি মানুষের কোনো আকর্ষণ থাকে না এবং তা কখনোই কষ্টলব্ধ বস্তুর মূল্য বিন্দুমাত্র কমাতে পারে না। অনুরূপভাবে, জীবনে প্রত্যেক মানুষই যদি সফল ও সুখী হত তাহলে এসবের কোনো গুরুত্ব থাকত না।
আবশ্যকীয় উপাদান হলেও মানুষ সাধারণত মনি-মুক্তা, সোনা-রূপাকে বেশি মূল্যবান হিসেবে গণ্য করে। কারণ প্রকৃতিতে আলো, বাতাস যেমন সহজে পাওয়া যায়, তেমনি মনি-মুক্তা খুজে পাওয়াটা ততোটা সহজ নয়। অনেক শ্রম ও সাধনার বিনিময়ে সেগুলো অর্জিত হয়। আর এই দুর্লভ্যতাই মনি-মুক্তার মূল্যমানকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। একইভাবে মানবজীবনে কষ্টার্জিত বস্তুই সবচেয়ে বেশি দামি। অনায়াসে লব্ধ বস্তুর প্রতি মানুষের কোনো আকর্ষণ থাকে না এবং তা কখনোই কষ্টলব্ধ বস্তুর মূল্য বিন্দুমাত্র কমাতে পারে না। অনুরূপভাবে, জীবনে প্রত্যেক মানুষই যদি সফল ও সুখী হত তাহলে এসবের কোনো গুরুত্ব থাকত না।
শিক্ষা: কষ্ট করে সাফল্য লাভ করতে হয় বলে, সফল মানুষের সংখ্যা কম। কিন্তু সহজেই যদি সাফল্য লাভ করা যেত, তাহলে সফল মানুষের সংখ্যা আরো বেশি হতো।
No comments