225.নিরক্ষরতা দূরীকরণ /নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্রসমাজের ভূমিকা

ভূমিকা
অক্ষর জ্ঞানহীন মানুষই নিরক্ষর আর মানুষের এই অক্ষর জ্ঞানের অভাবকেই বলা হয় নিরক্ষরতা বাংলাদেশে নিরক্ষরতার পরিমাণ শতকরা ৪০ জন নিরক্ষরতা জীবনের সবচেয়ে বড় অসহায়ত্ব নিরক্ষর মানুষ চোখ থাকতেও অন্ধ তারা জ্ঞানের জগৎ আলোর দুনিয়া থেকে প্রায় বঞ্চিত নিরক্ষর মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞান, দর্শন-শিল্প-সাহিত্য ইত্যাদির স্বাদ গ্রহণ করতে পারে না তাদের জীবনটাই একরকম ব্যর্থ জীবন জগতের কিছুই তারা বুঝতে পারে না যেমন পারে না অপরের চিন্তাধারাকে উপলব্ধি করতে, তেমনি পারে না
নিজের ভাবনা-চিন্তাকে প্রকাশ করতে কুয়ার ব্যাঙের মতো তাদের
জীবন কাটে সংকীর্ণ গণ্ডীর অন্ধকারে দেশ জাতির উন্নয়নে অংশগ্রহণ তো দূরের কথা, নিজের ভালো-মন্দও বুঝতে অন্যের সহায়তার প্রয়োজন হয়
নিরক্ষরতা এক চূড়ান্ত পরাজয়
আমাদের দেশের শতকরা ৪০ জন নিরক্ষর বাকি চল্লিশ জনের মধ্যে ১৭/১৮ জনকে প্রকৃত শিক্ষিত বলা যায় অন্যরা কোন রকমে পড়তে পারে, লিখতে পারে, নাম দস্তখত করতে পারে একটা স্বাধীন দেশের এতগুলো লোক নিরক্ষর থাকা জাতির পক্ষে ক্ষতিকর এবং লজ্জাকর বর্তমান যুগ বিজ্ঞান সভ্যতার যুগ যুগেও আমাদের অধিকাংশ জনগণ যদি নিরক্ষর থাকে, তাহলে জাতির উন্নতি কোনোভাবে আশা করা যায় না আমাদের দেশের জনসাধারণ অশিক্ষিত বলে রক্ষণশীল, কুসংস্কার গোঁড়ামিতে আবদ্ধ অজ্ঞতা আমাদের মনকে সংকীর্ণ করে ফেলেছে তারা উন্নত চিন্তা-ভাবনা করতে পারে না দেশের উন্নতি হওয়া তাদের দ্বারা সম্ভব নয় তাই নিরক্ষরতাই আমাদের দেশের উন্নয়নের মূল বাধা নিরক্ষরতার কারণে জাতীয় পর্যায়ের প্রায় সকল উদ্যোগে আমাদের পরাজয় অপেক্ষা করে
উন্নত দেশের উদাহরণ
কোনো উন্নত দেশই নিরক্ষরতা দূরীকরণে অমনোযোগী ছিল না পরাধীনতা বা স্বৈরাচারী শাসন হতে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত রাষ্ট্রগুলোও নিরক্ষরতার সমস্যা সমাধানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধনা করে যাচ্ছে উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, তুরস্কে বিশ বছরের মধ্যে শিক্ষার মান শতকরা ষাট ভাগ বৃদ্ধি পায় অথচ এই তুরস্ককে এক সময় রুগ্ন দেশ বলা হত
নিরক্ষরতার কারণ
দারিদ্র্যতাই আমাদের নিরক্ষরতার প্রথম প্রধান কারণ আমাদের দেশের জনগণ এত দরিদ্র যে, দুবেলা দুমুঠো ভাতের যোগাড় করাই তাদের পক্ষে কঠিন এজন্য তাদের ছেলেমেয়েরা প্রাথমিক শিক্ষার দু/এক ধাপ পৌঁছেই স্কুল থেকে বিদায় নেয় তাছাড়া ব্রিটিশ এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান সরকারের শাসন শোষণ আমাদের অজ্ঞতার অন্যতম কারণ ঔপনিবেশিক শাসন এদেশের মানুষকে অন্ধ রেখে তাদের ওপর শোষণ করার সুযোগ গ্রহণ করেছিল ব্যক্তিগত চেষ্টায় সেসময়ে দু/একজন সামান্য লেখাপড়া শিখতে পারলেও অধিকাংশ মানুষ পড়ে ছিল অজ্ঞতার অন্ধকারে এখনো ধরনের মানসিকতা আমাদের মধ্যে কাজ করছে এছাড়া কুসংস্কার, রক্ষণশীলতা গোঁড়ামির জন্য এদেশের মানুষ শিক্ষার প্রতি খুব একটা আগ্রহী নয়
প্রতিকারের উপায়
বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন শিক্ষার আমাদের দেশ বর্তমান সভ্য দুনিয়ার একেবারে শেষপ্রান্তে আছে এর কারণ নিরক্ষরতা আমাদের সমাজ জীবনে মামলা-মোকদ্দমা, জালিয়াতি-জুয়াচুরি,অন্যায়-অপরাধ নীতিহীন যত অপকর্ম, তার মূলে রয়েছে নিরক্ষরতা নিরক্ষরতার অন্ধকার থেকে এদেশের মানুষকে আলোতে আনতে হবে
বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ
বাংলাদেশ পরাধীনতার শিকল ছিড়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এখন দেশকে শিক্ষিত শক্তিশালী করতে হবে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে এবং এই শিক্ষাকে উৎসাহ প্রদানের জন্য শিক্ষার বদলে খাদ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে এতে দেশে বিপুল সাড়া পড়েছে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে ছাত্রসংখ্যা বহুগুণে বেড়ে গেছে এছাড়াও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে এবং তাদের বৃত্তিদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে
বয়স্কদের শিক্ষা
প্রাইমারি শিক্ষার জন্য যেমন সরকার দৃষ্টি দিয়েছে, সেরূপ বয়স্কদের শিক্ষার জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন প্রাইমারি শিক্ষার ফল আস্তে আস্তে পাওয়া যায়, কিন্তু বয়স্কদের শিক্ষার ফল সাথে সাথে পাওয়া যায় স্বাধীন দেশের বয়স্ক নাগরিক অশিক্ষিত অবস্থায় থাকতে চায় না বিদেশে এমন কি অন্ধ, বোবা বধিরদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষার সুযোগ দান করা হয়েছে বিষয়ে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয় জীবিকা অর্জন অথবা তার প্রয়াসের দরুন বয়স্কদের পক্ষে লেখাপড়ায় বেশি সময় দেওয়া সম্ভব নয় অবশ্য মাতৃভাষার সাহায্যে সামান্য উদ্যমেই কার্যকর জ্ঞান অর্জন করা তাদের পক্ষে সম্ভব এতে আমাদের বহির্জগতের সাথে পরিচয়, সাধারণ জ্ঞান এবং ভাষা জ্ঞান শিক্ষার জন্য বিশেষ সুযোগ দান করে তাই বয়স্কদের শিক্ষাদানের উদ্যোগ আমাদের গ্রহণ করতে হবে
গণশিক্ষা কেন্দ্র
বর্তমানে বহু স্থানে স্থানীয় শিক্ষিত তরুণদের উৎসাহ উদ্দীপনায় গণশিক্ষা কেন্দ্র খোলা হয়েছে এসব কেন্দ্রের পরিচালকগণ আন্তরিক হলে নিরক্ষরতা দূরীকরণে বেশি সময়ের প্রয়োজন হওয়ার কথা নয় প্রত্যেকটি স্কুল-কলেজে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে একটি নৈশ বিদ্যালয় হিসেবে চিহ্নিত করে অবসরকালীন কার্যক্রমের মাধ্যমে পালাক্রমে স্কুলত্যাগী, শ্রমজীবী কিশোর-কিশোরী অশিক্ষিত বয়স্কদের শিক্ষার ব্যবস্থা সহজেই করা যেতে পারে এতে স্কুল বা কলেজের একজন শিক্ষক সপ্তাহে একটি করে ক্লাসও ভাগে পাবেন কিনা সন্দেহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানগণ শিক্ষকবৃন্দ প্রস্তাবটি বিবেচনা করে দেখতে পারেন
বাংলা ভাষা সহজীকরণ
বাংলা ভাষা ব্যাকরণ সহজ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সরকার কর্তৃক নিয়োজিত ভাষা কমিটি বাংলা ভাষা সহজ এবং সুদূরপ্রসারী করতে সর্বসম্মতিক্রমে সুপারিশ করেছেন সুপারিশ অনুযায়ী যেসহজ বাংলা শিক্ষাপদ্ধতি প্রচলন করা হয়েছে, তার সাহায্যে বাঙালি যেকোনো ব্যক্তি অল্প সময়ে বাংলা শিখতে পারবে সহজ বাংলা শিক্ষা পদ্ধতি বয়স্কদের শিক্ষার কাজকে সহজতর করেছে সহজ বাংলা শিক্ষা পদ্ধতির বহু কেন্দ্রে বহু বয়স্ক নরনারী শিক্ষালাভ করে
ছাত্র সমাজের ভূমিকা
নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্রদের দায়িত্ব অপরিসীম স্কুল-কলেজের ছাত্ররা যদি ছুটির দিনে নিরক্ষর মানুষের পাশে এসে অক্ষরজ্ঞান দান করে এবং শিক্ষার গুরত্ব সম্পর্কে তাদের আগ্রহী সচেতন করে তোলে, তাহলে সবচেয়ে বেশি সুফল পেতে পারে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ছাত্ররা দায়িত্ব পালন করে থাকে দেশের শিক্ষিত লোক সমাজ কর্মীদের চেষ্টায় নিরক্ষরতা দূর হতে পারে তারা যদি গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে পল্লির অশিক্ষিত নরনারীকে তাদের অজ্ঞতার পরিণাম, কুসংস্কার, গোঁড়ামি রক্ষণশীলতার ফলাফল সম্পর্কে ভালো করে বোঝান, তাহলে জনমনে সাড়া জাগবে
উপসংহার
নিরক্ষরতা আমাদের জাতীয় জীবনে একটি দুরারোগ্য ব্যাধি, দেশ জাতির চরম শত্রু শত্রুকে ধ্বংস করতে না পারলে জাতীয় উন্নতি আসবে না সরকারি উদ্যোগ দেশপ্রেমিক জাগ্রত জনগণের প্রচেষ্টায় সমস্যার সমাধান সম্ভব  মনে রাখতে হবে শুধু নিজে শিক্ষিত হলে চলবে না কেননা, শরীরের সমস্ত রক্ত মুখে জমা হওয়া সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে গুটিকতক লোক শিক্ষিত হলে তাকে শিক্ষিত জাতি বলা যাবে না তাতে দেশের উন্নতিও আসবে না তাই দেশের নিরক্ষর মানুষকে অক্ষরজ্ঞান দান করে নিরক্ষরতার অভিশাপ মুক্ত করতে সংগ্রাম করে যেতে হবে

নিচে দেখুন ২০০+ভাবসম্প্রসারণ

 01. অতিবাড় বেড়ো নাঝড়ে পড়ে যাবে অতি ছোট থেকো নাছাগলে মুড়াবে

02. অতি দীন  অশক্ত লোকেরাই দৈবের দোহাই দিয়া থাকে

03. অর্থই অনর্থের মূল

04. অর্থ সম্পদের বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞান সম্পদ কখনো বিনষ্ট হয় না

05. অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে

06. অপরের দুঃখ কথা করিলে চিন্তন আপনার মনে দুঃখ থাকে কতক্ষণ

07. অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে

08. অভাবে স্বভাব নষ্ট

09. অভিজ্ঞতা হল দুঃখ কষ্টের নির্যাস

10. অসির চেয়ে মসি বড়

11. অহংকার এমন এক আবরণযা মানুষের সকল মহত্ত্ব আবৃত করে ফেলে

12. অশান্তি যুদ্ধ থেকেও গুরুতর

13. আগে চলআগে চল ভাই পড়ে থাকা পিছেমরে থাকা মিছেবেঁচে মরে কিবা ফল,ভাই

14. আগে চুরি করে জেল খাটে পরেনির্বোধ চোর তারা আগে জেল খাটে পরে চুরি করে,সেয়ানা স্বদেশী তারা

15.আছে যাহা আপন হাতেনিত্য খুশি থাকো তাতে পরদ্রব্যে করলে আশাদুঃখ পাবেসর্বনাশা

16. আত্মবিশ্বাসই বীরত্বের মূলমন্ত্র

17. লোভে পাপ পাপে মৃত্যু

18. একতাই বল

19. আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য

20. আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে

21. ‘’আপনা রাখিলে ব্যর্থ জীবন সাধনা জনম বিশ্বের তরে পরার্থে কামনা‘’

22. আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়

23. আপনারে কভু ভেবোনা ক্ষুদ্রভাবিওনা দীন তুমি তুমি নিতে পার জয় করিয়া বিপুল বিশ্বভূমি

24.আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতেআসে নাই কেহ অবনি পরে সকলের তরে সকলেআমরাপ্রত্যেকে আমরা পরের তরে

25. আভিজাত্যের অহংকারের মতো অন্যায়বোধ হয় আর একটিও নাই

26. আমরা শক্তি আমরা বলআমরা ছাত্রদল মোদের পায়ের তলায় মূর্ছে তুফান ঊর্ধ্বেবিমান ঝড়-বাদলআমরা ছাত্রদল

27. আমার  ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবাআমি বাঁধি তার ঘর আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই,যে মোরে করেছে পর

28. আমার একার সুখসুখ নহে ভাই সকলের সুখসখাসুখ শুধু তাই

29. আলস্য এক ভয়ানক ব্যাধি

30.আলো  অন্ধকার পাশাপাশি বাস করে একটিকে বাদ দিলে অন্যটি মূল্যহীন

31. আলো বলেঅন্ধকারতুই বড় কালো অন্ধকার বলেভাই তাই তুমি আলো

32. আশার অন্ত নাইকো বটে আর সকলের অন্ত ঘটে

33. ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়

34.উদয়ের পথে শুনি কার বাণীভয় নাই ওরে ভয় নাই নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান,ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই

35. উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে তিনি মধ্যম যিনি চলেন তফাতে

36. জগতে হায়সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালেরধন চুরি

37. এক মাঘে শীত যায় না

38.কত বড় আমিকহে নকল হীরাটি তাইত সন্দেহ করিনহ ঠিক খাঁটি

39.কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই

40.করিতে পারি না কাজ সদা ভয় সদা লাজ সংশয়ে সংকল্প সদা টলে পাছে লোকেকিছু বলে

41. কাক কোকিলের এক বর্ণস্বরে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন

42.কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?

43.কালো আর ধলো বাহিরে কেবলভিতরে সবারই সমান রাঙা

44.কীর্তিমানের মৃত্যু নাই

45.কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপেভাই বলে ডাক যদি দেব গলা টিপেহেন কালেআকাশেতে উঠিলেন চাঁদাকেরোসিন শিখা বলে- “এসো মোর দাদা

46.কোথায় স্বর্গকোথায় নরককে বলে তা বহুদূর মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক,মানুষেতে সুরাসুর

47.কৃষ্ণ বলিয়া যারে তুমি আজি কর হীন অপমান রুধির তাহারো নহেত কৃষ্ণবহে সে- একই প্রাণ

48.ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণাবিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল

49.ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি

50.গতিই জীবনস্থিতিতে মৃত্যু

51.গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন নহে বিদ্যানহে ধন হলে প্রয়োজন

52. গাইতে গাইতে গায়েন আর বাজাতে বাজাতে বায়েন

53.গাহি সাম্যের গান মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাইনয় কিছু মহীয়ান

54.গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না

55. ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে

56. চকচক করলেই সোনা হয় না

57. চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান

58. চন্দ্র কহেবিশ্বে আলো দিয়েছি ছড়ায়ে কলঙ্ক যা আছে তাহা আছে মোর গায়ে

59. চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখনব্যথিত বেদন বুঝিতে কি পারেকি যাতনা বিষেবুঝিবে সে কিসেকভু আশীবিষে দংশেনি যারে

60.জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছেসে জাতির নাম মানুষ জাতিএকই পৃথিবীর স্তন্যেলালিতএকই রবি-শশী মোদের সাথী

61.জনগণই সকল ক্ষতার উৎস

62.জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো 

63. জন্মিলে মরিতে হবেঅমর কে কোথা কবে?

64.জাতীয় অবিচার জাতীয় পতনের নিশ্চিত কারণ

65. জীবে প্রেম করে যেই জনসেই জন সেবিছে ঈশ্বর

66.জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান

67.জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধবুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ঠমুক্তি সেখানে অসম্ভব

68. তরুলতা সহজেই তরুলতাপশুপাখি সহজেই পশুপাখিকিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায়তবে মানুষ

69. তাই আজ প্রকৃতির উপর আধিপত্য নয় মানুষ গড়ে তুলতে চাইছে প্রকৃতির সঙ্গেমৈত্রীর সম্বন্ধ

70. তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?

71.তোমার মাপে হয়নি সবাইতুমিও হওনি সবার মাপে তুমি মর কারো ঠেলায়কেউ-বা মরে তোমার চাপে

72. তৃষ্ণার জল যখন আশার অতীত মরীচিকা তখন সহজে ভোলায়

73. দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ

74.দন্ডিতের সাথে দন্ড-দাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার

75. দাও ফিরে সে অরণ্য লও  নগর

76. দুঃখের মতো এত বড় পরশ পাথর আর নাই

77. দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য

78. দুর্নীতি জাতির সকল উন্নতির অন্তরায়

79. দুধ কলা সমৃদ্ধ সোনার খাঁচা অপেক্ষা ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ অজানা আকাশ পাখির অনেকপ্রিয়

80. দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি সত্য বলেআমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি ?

81.ধনের মানুষমানুষ নয় মনের মানুষই মানুষ

82.ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যাক্ত করে ধ্বনির কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে

83. ধৈর্য ধরধৈর্য ধরবাধ বাধ বুক সংসারে সহস্র দুঃখ আসিবে আসুক

84.নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?

85. নহে আশরাফ আছে যার শুধু বংশ পরিচয় সেই আশরাফ জীবন যাহার পূণ্যকর্মময়

86. নদীর এপার কহে ছাড়িয়ে নিঃশ্বাস ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস

87. নানান দেশের নানান ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষাপুরে কি আশা ?

88. নাম মানুষকে বড় করে না মানুষই নামকে বড় করে তোলে

89. নিরক্ষরতা দুর্ভাগ্যের প্রসূতি

90. নিতান্ত নির্বোধ শুধু সেইজন অমূল্য সময় করে বৃথায় যাপন

91. নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালযুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরেরআলো

92. পথ পথিকের সৃষ্টি করে নাপথিকই পথের সৃষ্টি করে

93. পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয় পথের দুধারে আছে মোর দেবালয়

94. পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

95. পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন

96. পাপকে ঘৃণা করপাপীকে নয়

97. পুষ্প আপনার জন্য ফোঁটে না

98. পেচাঁ রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনও ছুতাজান না আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা

99. পুণ্য পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে মানুষ হতে দাও তোমার সন্তানে

100. প্রকৃত বীর একবারই মরেকিন্তু কাপুরুষেরা মরে বারবার

101. প্রথম যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে তুমি মাত্র কেঁদেছিলেহেসেছিল সবে এমনজীবন হবে করিতে গঠনমরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন

102. প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্র হীন ফুটিয়াছে ফুল এক অতিশয় দীন ধিক্ ধিক্বলে তারে কাননে সবাইসূর্য উঠি বলে তারে ভালো আছো ভাই?

103. প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না

104. প্রয়োজন ব্যতিত বন্ধু  শত্রু চেনা যায় না

105. প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক

106. প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুতবাঁচিবার অধিকার তাহারই

107. প্রীতিহীন হৃদয় আর প্রত্যয়হীন কর্ম দুই- অসার্থক

108. ফুলের বাগান সবার মনেই আছে ফুল ফোটাতে সবাই নাহি পারে

109. ফ্যাশনটা হল মুখোশস্টাইলটা হল মুখশ্রী

110. বই কিনে কেউ কোনো দিন দেউলিয়া হয় না

111. বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে

112. বন থেকে জানোয়ার তুলে আনা যায় কিন্তু জানোয়ারের মন থেকে বন তুলে ফেলাযায় না

113. বন্যেরা বনে সুন্দরশিশুরা মাতৃক্রোড়ে

114. বলিতে না পার যাহা চোখের উপরে বলিওনা বলিওনা তাহা অগোচরে

115. বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয়গুরু উত্তরসাধক মাত্র

116. বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু

117. বিনয় উন্নতি পথে প্রধান সোপান বিনয়ে মানব হয় মহামহীয়ান

118. বিশ্রাম কাজেরই অঙ্গ এক সাথে গোঁথা নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা

119. বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র নানাভাবে নানান জিনিস শিখছিদিবারাত্র

120. বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছেআমরা তখন সে বিবি তালাকের ফতওয়া খুঁজেছি,ফিকাহ হাদিস চষে

121. বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টিচির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারীঅর্ধেকতার নর

122. বিদ্বানের দোয়াতের কালি শহিদের রক্তের চেয়েও পবিত্র

123. বিত্ত হতে চিত্ত বড়

124. বুদ্ধি যার বল তার

125. বেঁচেও মরে যদি মানুষ দোষে মরেও বাঁচে যদি মানুষ ঘোষে

126.বৈরাগ্য-সাধনে মুক্তিসে আমার নয় অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময় লভিব মুক্তিরস্বাদ

127. ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ

128. ভোগে নয়ত্যাগেই প্রকৃত সুখ

129. মঙ্গল করিবার শক্তিই ধনবিলাস ধন নহে

130. মধুর চেয়েও আছে মধুসে এই আমার দেশের মাটিআমার দেশের পথের ধূলা,খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি

131. মনের আজ কহ যে ভাল-মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে

132. মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন

133. মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই

134.মা এবং মায়ের মুখের ভাষা দুটোর মূল্যই সমান

135. মাটি হতে হে মানব তোমার জনমআগুনের মতো কেন হও হে গরম

136. মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যেবয়সের মধ্যে নয়

137. মানুষকে ভুল করিতে না দিলে মানুষকে শিক্ষা লাভ করিতে দেওয়া হয় না

138. মানুষের সর্বাপেক্ষা ভারী বোঝা হচ্ছে ক্রোধ

139. মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষকই হল মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী

140. মিত্রত্ব সর্বত্রই সুলভমিত্রত্ব রক্ষা করাই কঠিন

141. মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির-কাবা নাই

142. মুক্ত কর ভয়আপনা মাঝে শক্তি ধরনিজেরে কর জয়

143. মুকুট পরা শক্তকিন্তু মুকুট ত্যাগ করা কঠিন

144. মৃত্যুই কেবল উৎকোচ গ্রহণ করে না

145. মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়আড়ালে তার সূর্য হাসে হারা শশীর হারা হাসি,অন্ধকারেই ফিরে আসে

146. মোদের গরব মোদের আশা -মরি বাংলা ভাষা

147. যত মততত পথ

148. যত বড় হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা আমি ভালবাসি মোর ধরণীরপ্রজাপতিটির পাখা

149. যতক্ষন শ্বাসততক্ষন আঁশ

150. যারে তুমি নিচে ফেলসে তোমারে বাঁধিছে যে নিচেপশ্চাতে রেখেছ যারেসেতোমারে পশ্চাতে টানিছে

151. যার যোগ্যতা যত অল্পতার আড়ম্ভর তত বেশি 

152. যাহা চাই তাহা ভুল করে চাইযাহা পাই তাহা চাই না

153. যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু নিভাইছে তব আলো তুমি কি তাদের ক্ষমাকরিয়াছ তুমি কি বেসেছ ভাল?

154. যাহারা  পৃথিবীতে হয়ে গেছেন চিরধন্য নিজের জন্য ভাবেন নিকোভেবেছিলেনপরের জন্য

155. যে অন্যায় আদেশ পালন করে সেও অন্যায় করে

156.যে একা সেই সামান্যযে একা সেই সামান্যযার ঐক্য নাই সে তুচ্ছ

157.যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি আশু গৃহে তার দেখিবে না আরনিশীথে প্রদীপ বাতি

158. যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারেসহস্র শৈবালদাম বাঁধে আসি তারে যেজাতি জীবন হারা অচলঅসাড় পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার

159. যে সহেসে রহে

160. যেখানে দেখিবে ছাইউড়াইয়া দেখো তাই পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন

161. যেমন কর্ম তেমন ফল

162. রাখি যাহা তাহা বোঝাকাঁধে চেপে রহে দিই যাহা তার ভার বরাবর বহে

163. রাত যত গভীর হয়প্রভাত তত নিকটে আসে

164. রাতে যদি সূর্য শোকে ঝরে অশ্রুধারাসূর্য নাহি ফেরেশুধু ব্যর্থ হয় তারা

165. রৌদ্রে পুড়ে বৃষ্টিতে সে ভিজে দিবা-রাতি মোদের ক্ষুধার জন্য যোগায়চায় নাকোসে খ্যাতি

166. লোভে পাপপাপে মৃত্যু

167. শিক্ষাই জাতির মেরু দন্ড

168. শুনহে মানুষ ভাই সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই

169. শুধালো পথিক ‘সাগর হতে কী অধীক ধনবান ?’ জ্ঞানী বলেন, ‘বাছা তুষ্ট হৃদয়তারো চেয়ে গরীয়ান

170. শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির

171. সকল পাথর হলে মহামূল্য মণি মণির কদর কিছু হত না কখনি

172. সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে

173. সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা

174. সত্য মূল্য না দিয়েই সাহিত্যের খ্যাতি করা চুরি ভালো নয় ভালো নয়নকল সেসৌখিন মজদুরী

175. সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা দেশ মাতারই মুক্তিকামী দেশের সেযে আশা

176. সবলের পরিচয় আত্মপ্রসারেআর দুর্বলের স্বস্তি আত্মগোপনে

177. সবুরে মেওয়া ফলে

178. সম্পদে যাদের ঠেকে না চরণ মাটির মালিক তাহারাই হন

179. সমালোচক শত্রু নয়সেই প্রকৃত বন্ধু

180. সত্য যে কঠিন কঠিনেরে ভালো বাসিলামসে কখনো করেনা বঞ্চনা

181. সঙ্গদোষে লোহা ভাসে

182. সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে সার্থক জনম মাগোতোমায় ভালবেসে

183. সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ

184. সুকঠিন গার্হস্থ্য ব্যাপার কে পারে চালাতে রাজ্য শাসনের রীতিনীতি সূক্ষ্মভাবেরয়েছে ইহাতে

185. সুখের ফসল এতই সোজা চাষাবাদে দহন-সহন তবেই না প্রাপ্তির খোঁজ

186. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত

187. সুসময়ে বন্ধু বটে অনেকের হয় অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়

188. সুজনে সু-যশ গায় কু-যশ ঢাকিয়া কুজনে কু-রব করে সু-রব নাশিয়া

189. সেই ধন্য নরকুলে লোকে যারে নাহি ভুলে মনের মন্দিরে নিত্য সেবে সর্বজন

190. সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ

191. স্পষ্টভাষী শত্রুনির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো 

192. স্বদেশের উপকারে নেই যার মন কে বলে মানুষ তারেপশু সেই জন

193. স্বর্ণ করে নিজ রূপে অপরে শোভিত বংশী করে নিজ স্বরে অপরে মোহিত

194. স্বার্থমগ্ন যেজন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতেসে কখনো শেখেনি বাঁচিতে

195. স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন

196. সে কহে বিস্তর মিছাযে কহে বিস্তর

197. সংসারে সংসারী সাজ কর নিত্য নিজ কাজ

198. সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা আশা তার একমাত্র ভেলা

199. হাতে কাজ করায় অগৌরব নেইঅগৌরব হল মিথ্যায়মূর্খতায়

200. হাস্যমুখে অদৃষ্টেরে করব মোরা পরিহাস

201. হে অতীত তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে

202. যতনে রতন মেলে

203. সবার উপরে মানুষ সত্যতাহার উপরে নাই

204. দু:খের মতো এত বড় পরশ পাথর আর নেই


205. চরিত্র মানষের অমূল্য সম্পদ

No comments

Powered by Blogger.