114. বলিতে না পার যাহা চোখের উপরে বলিওনা বলিওনা তাহা অগোচরে।
সমাজে ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ, উঁচু-নীচু, বোকা-ধূর্ত প্রায় সব ধরণের মানুষ বাস করে। সামাজিক জীব হিসেবে সমাজে বসবাসকারী প্রত্যেক মানুষকেই পরস্পরের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হয়। প্রত্যেক মানুষই স্বতন্ত্র স্বভাবের অধিকারী। সেক্ষেত্রে একজনের কাছে অন্যজনের কোনো একটি বৈশিষ্ট্য খারাপ
লাগতেই পারে। কিন্তু তাই বলে ঐ ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে সেটি নিয়ে নিন্দা বা সমালোচনা করা উচিত নয়। প্রতিটি ধর্মেই পরনিন্দা করতে নিষেধ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা পরনিন্দা করাকে মৃত ভাইয়ের গোস্থত খাওয়ার সাথে তুলনা করেছেন। অন্যদিকে, হযরত মুহম্মদ (স.) বলেন- ‘পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ পরনিন্দা কেবল ধর্মেই নিষিদ্ধ নয়, এটি সমাজের জন্যও ক্ষতির কারণ। পরনিন্দাকারী সমাজের শান্তি নষ্ট করে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। মহৎ এবং উদার মনের ব্যক্তিরা কখনো পরচর্চা করেন না। বরং অন্যের দোষত্রুটি যথাসম্ভব গোপন রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু সংকীর্ণমনা কিছু মানুষ অন্যের দোষ ত্রুটি নিয়ে কুৎসা রটনা করে আত্মসুখ লাভ করতে সর্বদা ব্যস্ত থাকে। পরচর্চারত থেকে সে কেবল সমাজেরই ক্ষতি করে না, একই সাথে নিজের হীনতা, নীচতা এবং নিকৃষ্টতা প্রকাশ করে। পরনিন্দাকারী ব্যক্তিকে সবাই এড়িয়ে চলে। প্রকৃতপক্ষে অন্যের দোষত্রুটি প্রচার করে বেড়ানোর মধ্যে কোনো গৌরব নেই। সমাজে শান্তি বজায় রাখতে এবং নিজেকে সমাজের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হলে পরনিন্দা পরিহার করতে হবে। কোনো ব্যক্তির দোষত্রুটি চোখে পড়লে সেটি ঐ ব্যক্তিকে সরাসরি এবং নম্রভাবে, বিনয়ের সাথে বুঝিয়ে বলা উচিত। কিন্তু বুঝিয়ে বলা সম্ভব না হলেও কোনো অবস্থাতেই ঐ ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে অন্যের সাথে সমালোচনা করা উচিত নয়। এতে সমাজের শান্তি এবং পারস্পরিক সুসম্পর্ক নষ্ট হয়।
লাগতেই পারে। কিন্তু তাই বলে ঐ ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে সেটি নিয়ে নিন্দা বা সমালোচনা করা উচিত নয়। প্রতিটি ধর্মেই পরনিন্দা করতে নিষেধ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা পরনিন্দা করাকে মৃত ভাইয়ের গোস্থত খাওয়ার সাথে তুলনা করেছেন। অন্যদিকে, হযরত মুহম্মদ (স.) বলেন- ‘পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ পরনিন্দা কেবল ধর্মেই নিষিদ্ধ নয়, এটি সমাজের জন্যও ক্ষতির কারণ। পরনিন্দাকারী সমাজের শান্তি নষ্ট করে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। মহৎ এবং উদার মনের ব্যক্তিরা কখনো পরচর্চা করেন না। বরং অন্যের দোষত্রুটি যথাসম্ভব গোপন রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু সংকীর্ণমনা কিছু মানুষ অন্যের দোষ ত্রুটি নিয়ে কুৎসা রটনা করে আত্মসুখ লাভ করতে সর্বদা ব্যস্ত থাকে। পরচর্চারত থেকে সে কেবল সমাজেরই ক্ষতি করে না, একই সাথে নিজের হীনতা, নীচতা এবং নিকৃষ্টতা প্রকাশ করে। পরনিন্দাকারী ব্যক্তিকে সবাই এড়িয়ে চলে। প্রকৃতপক্ষে অন্যের দোষত্রুটি প্রচার করে বেড়ানোর মধ্যে কোনো গৌরব নেই। সমাজে শান্তি বজায় রাখতে এবং নিজেকে সমাজের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হলে পরনিন্দা পরিহার করতে হবে। কোনো ব্যক্তির দোষত্রুটি চোখে পড়লে সেটি ঐ ব্যক্তিকে সরাসরি এবং নম্রভাবে, বিনয়ের সাথে বুঝিয়ে বলা উচিত। কিন্তু বুঝিয়ে বলা সম্ভব না হলেও কোনো অবস্থাতেই ঐ ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে অন্যের সাথে সমালোচনা করা উচিত নয়। এতে সমাজের শান্তি এবং পারস্পরিক সুসম্পর্ক নষ্ট হয়।
শিক্ষা: মানুষ মাত্রই দোষত্রুটি থাকবে। তা মেনে নিয়েই পরস্পর মিলেমিশে সমাজে বাস করতে হয়। সমাজে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করতে হলে ভালোকে প্রশংসা করার এবং মন্দের দোষত্রুটি গোপন রাখার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। মন্দ লোকের দোষত্রুটি প্রচার করে বেড়ানোর মধ্যে কোনো মহত্ত্ব নেই। ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার দোষত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
No comments