126.বৈরাগ্য-সাধনে মুক্তি, সে আমার নয় অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময় লভিব মুক্তির স্বাদ।
সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না নিয়েই মানুষের জীবন। একজন মানুষের সাফল্য তখনই আনন্দদায়ক হয় যখন তাতে সকলের অংশগ্রহণ থাকে। পৃথিবীতে কেউই পরিপূর্ণভাবে সুখী হতে পারে না। জীবনে চলার পথে অনেক বাধা বিপত্তি আসতে পারে। তাই বলে ভেঙ্গে পড়া উচিত নয়। সমাজে এক শ্রেণির মানুষ আছে যার দুঃখ-কষ্টকে ভয় পায়। তারা মনে করে সংসার হল একটি বিষাদময় স্থান। সংসারের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার উত্তম
উপায় হল সংসার ধর্ম ত্যাগ করা। কিন্তু বৈরাগ্য সাধন করলেই মুক্তি মেলে না। কোনো কিছুই সহজে পাওয়া যায় না। মানুষ তা জানলেও বুঝতে চায় না। সুখ-দুঃখ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ মাত্র। কষ্টের পরই সুখ আসে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দশ বছর সন্ন্যাসে ছিলেন। কিন্তু তিনি সুখী হতে পারেননি। যে সুখ বিনাকষ্টে অর্জিত হয় তা স্থায়ী হয় না। যারা সংসারের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার ভয়ে সংসার ত্যাগ করে তারা কাপুরুষ ছাড়া কিছু নয়। কথায় আছে “পরাজয়ে ডরে না বীর”। একজন মানুষের উচিত সকলকে সাথে নিয়ে বিপদ-আপদ মোকাবেলা করা এবং অনুরূপভাবে সকলের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করা। সংসারের সকলের সাথে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাধ্যমেই মানুষ প্রকৃত মুক্তির স্বাদ উপলব্ধি করে। অন্যদিকে দুঃখ-কষ্ট থেকে বাঁচতে যারা সংসার ত্যাগ করে তারা কখনো মুক্তির সন্ধান পায় না।
শিক্ষা: সংসার ত্যাগ করে মানুষ কখনও সুখী হতে পারে না। মানুষ সামাজিক জীব। সমাজ ও সংসারের সকলকে নিয়েই মানুষকে সুখী হতে হয়।
No comments