154. যাহারা এ পৃথিবীতে হয়ে গেছেন চিরধন্য নিজের জন্য ভাবেন নিকো, ভেবেছিলেন পরের জন্য।

আমাদের এই পৃথিবীর জীবন ক্ষণস্থায়ী। আমরা কেউই চিরকাল পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারব না। নির্দিষ্ট সময় শেষে সবাইকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত মানুষ জন্ম নিচ্ছে এবং মৃত্যুবরণ করছে তাদের সবাইকে মানুষ সমানভাবে মনে  রাখছে না। যারা মানবতার কল্যাণে কাজ করেছেন
তাদেরকে মানুষ মৃত্যুর পরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। কিন্তু সমাজে কিছু আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপর লোক আছে যারা সবসময় নিজেকে নিয়ে চিন্তা করে। আত্মচিন্তা, আত্মসুখ তাদের চিন্তাচেতনার মূল বিষয়। পৃথিবীর ভাল-মন্দ, হাসি-কান্না, মঙ্গল-অমঙ্গল তাদের হৃদয়কে কখনও স্পর্শ করে না। তাদের ভোগেই প্রকৃত সুখ। আমরা পৃথিবীতে অনেককেই দেখি যারা মানুষের তরে কাজ করে আজ চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। মাদার তেরেসা, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন, মার্টিন লুথার কিং, নেলসন ম্যান্ডেলা, মহাত্মা গান্ধী, ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলসহ এমন অনেকেই আছেন যাদের মৃত্যুর অনেক বছর পর আজও মানুষ তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। মহৎ ব্যক্তিদের বৃক্ষের সাথে তুলনা করা যায়। বৃক্ষ তার ফুল, ফল, ছায়া দিয়ে মানুষের কল্যাণ করে। কিন্তু প্রতিদানে পৃথিবীর কিছুই চায় না, শুধু দিয়েই যায়। একজন বিত্তশালী মানুষকে মৃত্যুর পর তখনই মানুষ মনে রাখে যখন তার অর্থ সম্পদ মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। মহান মানুষরা প্রত্যেকেই বিভিন্নভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন। তাঁরা তাদের মেধা, শ্রম অর্থ দিয়ে এমন সব কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করে  গেছেন যার জন্য চিরকাল মানুষের হৃদয়পটে তারা স্মরণীয় হয়ে থাকবে
শিক্ষা: আত্মচিন্তার মধ্যে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায় না। সমাজে মানুষের কল্যাণে প্রত্যেক মানুষের এগিয়ে আসা দরকার। তবেই মানুষের মাঝে অমরত্ব লাভ করা সম্ভব

No comments

Powered by Blogger.