140. মিত্রত্ব সর্বত্রই সুলভ, মিত্রত্ব রক্ষা করাই কঠিন
সামাজিক জীব হিসেবেই একজন মানুষ আর একজন মানুষের সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। এ সম্পর্ক বন্ধুত্বের, আত্মীয়তার, রক্তের, পারস্পরিক নির্ভরশীলতার। পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল মানুষের মধ্যে থাকে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সহমর্তিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও আস্থা। এগুলোর সমন্বয়ে মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে বন্ধুত্বের ভূমিকা অনেক। একজন সত্যিকারের বন্ধু পারে কারো জীবন বদলে
দিতে এবং সুন্দও ও সমৃদ্ধ করতে। কিন্তু পৃথিবীতে এই সত্যিকারের বন্ধু পাওয়া সহজ কথা নয়। আমাদের চারপাশে যে শত শত বন্ধুরা ঘোরাফেরা করে তাদের বেশিরভাগই প্রয়োজনের তাড়নায়, স্বার্থ সিদ্ধি কিংবা অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বন্ধুত্ব করে। উদ্দেশ্যপ্রবণ মানুষেরা কখনো ব্যক্তির অধিকারে থাকা অর্থের জন্য, কখনো খ্যাতির জন্য, শক্তির জন্য আবার কখনো বা ক্ষমতার জন্য বন্ধুত্ব করে। বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে তারা ব্যক্তির সেই অর্থ-বিত্ত, খ্যাতি, ক্ষমতা ও শক্তিকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করে। বন্ধুর সুসময়ে সে সারাক্ষণ বন্ধুর পাশে থাকে। চাটুকারিতায় বন্ধুকে মুগ্ধ করে তার কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে। একই সাথে তারা বন্ধুর সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়, পরশ্রীকাতর হয়ে পড়ে। বন্ধুর বিনাশ চায়। নিজের স্বার্থসিদ্ধি হওয়া মাত্রই তারা বন্ধুত্বে ফাটল ধরায়, অস্বীকার করে। তাই এত দিনের বন্ধুটি যখন কোনো বিপদে পড়ে বা কোনো সাহায্য প্রয়োজন হয় তখন উদ্দেশ্যপ্রবণ বন্ধুকে আর কোথাও পাওয়া যায় না। অন্যদিকে প্রকৃত বন্ধুরা কখনোই বন্ধুর বিপদে তাকে এড়িয়ে চলে না, কিংবা সুসময়ে তার থেকে কোনো সুবিধাও নেয় না। বরং সকল পরিস্থিতিতে তারা বন্ধুর পাশে থাকে। কোনো রকম স্বার্থ ছাড়াই, কেবলমাত্র নিখাঁদ বন্ধুত্বের টানে তারা সবার আগে বন্ধুর বিপদে ঝাপিয়ে পড়ে। কিন্তু এমন বন্ধুদের সংখ্যা নিতান্তই কম। তাছাড়া হাজারো স্বার্থপরের ভিড়ে আমরা প্রকৃত বন্ধুকে চিনতে পারি না। ভুল মানুষের প্ররোচনায় তাদেরকেই সত্যিকারের বন্ধু ভেবে আস্থা রাখি। বিনিময়ে তারা প্রয়োজন মিটিয়ে বন্ধুত্ব বিনষ্ট করে। ফলে বন্ধুত্ব রক্ষা করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
দিতে এবং সুন্দও ও সমৃদ্ধ করতে। কিন্তু পৃথিবীতে এই সত্যিকারের বন্ধু পাওয়া সহজ কথা নয়। আমাদের চারপাশে যে শত শত বন্ধুরা ঘোরাফেরা করে তাদের বেশিরভাগই প্রয়োজনের তাড়নায়, স্বার্থ সিদ্ধি কিংবা অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বন্ধুত্ব করে। উদ্দেশ্যপ্রবণ মানুষেরা কখনো ব্যক্তির অধিকারে থাকা অর্থের জন্য, কখনো খ্যাতির জন্য, শক্তির জন্য আবার কখনো বা ক্ষমতার জন্য বন্ধুত্ব করে। বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে তারা ব্যক্তির সেই অর্থ-বিত্ত, খ্যাতি, ক্ষমতা ও শক্তিকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করে। বন্ধুর সুসময়ে সে সারাক্ষণ বন্ধুর পাশে থাকে। চাটুকারিতায় বন্ধুকে মুগ্ধ করে তার কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে। একই সাথে তারা বন্ধুর সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়, পরশ্রীকাতর হয়ে পড়ে। বন্ধুর বিনাশ চায়। নিজের স্বার্থসিদ্ধি হওয়া মাত্রই তারা বন্ধুত্বে ফাটল ধরায়, অস্বীকার করে। তাই এত দিনের বন্ধুটি যখন কোনো বিপদে পড়ে বা কোনো সাহায্য প্রয়োজন হয় তখন উদ্দেশ্যপ্রবণ বন্ধুকে আর কোথাও পাওয়া যায় না। অন্যদিকে প্রকৃত বন্ধুরা কখনোই বন্ধুর বিপদে তাকে এড়িয়ে চলে না, কিংবা সুসময়ে তার থেকে কোনো সুবিধাও নেয় না। বরং সকল পরিস্থিতিতে তারা বন্ধুর পাশে থাকে। কোনো রকম স্বার্থ ছাড়াই, কেবলমাত্র নিখাঁদ বন্ধুত্বের টানে তারা সবার আগে বন্ধুর বিপদে ঝাপিয়ে পড়ে। কিন্তু এমন বন্ধুদের সংখ্যা নিতান্তই কম। তাছাড়া হাজারো স্বার্থপরের ভিড়ে আমরা প্রকৃত বন্ধুকে চিনতে পারি না। ভুল মানুষের প্ররোচনায় তাদেরকেই সত্যিকারের বন্ধু ভেবে আস্থা রাখি। বিনিময়ে তারা প্রয়োজন মিটিয়ে বন্ধুত্ব বিনষ্ট করে। ফলে বন্ধুত্ব রক্ষা করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
শিক্ষা: স্বার্থপর বন্ধুদের হিংসা, লোভ ও পরশ্রীকাতরতা বন্ধুত্ব নষ্ট করে। শুধুমাত্র নিঃস্বার্থ প্রকৃত বন্ধুরাই বন্ধুত্বের মর্যাদা দেয় এবং তা রক্ষা করে। তাই আমাদেরকে প্রকৃত বন্ধু বাছাই করতে শিখতে হবে।
No comments