141. মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির-কাবা নাই।
সনাতন ধারণা অনুযায়ী মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা এসবই হচ্ছে মানুষের জন্য প্রার্থনার মহাপবিত্র স্থান। এগুলোতে গিয়ে আরাধনা করলে সৃষ্টিকর্তার নাগাল পাওয়া সম্ভব বলে সবার বিশ্বাস। কিন্তু মানুষের হৃদয় হচ্ছে তার প্রকৃত উপাসনালয়। সৃষ্টিকর্তা সর্বত্র বিরাজমান, তিনি সর্বজ্ঞ এবং সর্বশ্রোতা। শুধু উপাসনালয়ের মধ্যেই তাঁর অস্তিত্ব সীমাবদ্ধ নয়। স্রষ্টা মানুষকে ‘সৃষ্টির সেরা জীব’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত
করেছেন। তিনি আমাদেরকে ভাল-মন্দ বিচার-বিবেচনা করার জন্য বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন। যে ব্যক্তির মনে হিংসা, অহংকার বা কলুষতা থাকে তার উপাসনা কোনো কাজে আসে না। মনকে কালিমালিপ্ত রেখে ঐসব পবিত্র স্থানে গিয়ে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করলে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। মানুষের মনই যদি পবিত্র না থাকে তাহলে ধর্মীয় পবিত্র স্থানে আসা তার জন্য অর্থহীন। ঈশ্বর প্রদত্ত বিবেক, বিচার-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ তার হৃদয়কে কলুষমুক্ত করতে পারে এবং মনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। হৃদয়ের পরিপূর্ণ শুদ্ধতা বজায় থাকলে অনায়াসে প্রভুর সন্ধান পাওয়া যায়। তাঁর অনুগ্রহ লাভের মাধ্যমে ধন্য হওয়া যায়। মানসিকতা যেখানে বিনষ্ট সেই মানব হৃদয় পবিত্র নয়। মানুষের হৃদয়কে পবিত্র রাখতে হলে সৃষ্টিকর্তার প্রতি নিবেদিত হতে হবে। সৃষ্টির সকল জীবকে ভালোবাসতে হবে। মানুষ হিসেবে একে অপরের প্রতি করণীয় দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করতে হবে। তবেই কেউ প্রকৃত মানুষের গুণাবলী অর্জন করতে পারবে। অন্যের কল্যাণ কামনা, অন্যের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন ও প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া মানুষের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য। পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মানব হৃদয়কে রক্ষা করে মনের পবিত্রতা বজায় রাখার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠা যায়।
করেছেন। তিনি আমাদেরকে ভাল-মন্দ বিচার-বিবেচনা করার জন্য বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন। যে ব্যক্তির মনে হিংসা, অহংকার বা কলুষতা থাকে তার উপাসনা কোনো কাজে আসে না। মনকে কালিমালিপ্ত রেখে ঐসব পবিত্র স্থানে গিয়ে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করলে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। মানুষের মনই যদি পবিত্র না থাকে তাহলে ধর্মীয় পবিত্র স্থানে আসা তার জন্য অর্থহীন। ঈশ্বর প্রদত্ত বিবেক, বিচার-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ তার হৃদয়কে কলুষমুক্ত করতে পারে এবং মনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। হৃদয়ের পরিপূর্ণ শুদ্ধতা বজায় থাকলে অনায়াসে প্রভুর সন্ধান পাওয়া যায়। তাঁর অনুগ্রহ লাভের মাধ্যমে ধন্য হওয়া যায়। মানসিকতা যেখানে বিনষ্ট সেই মানব হৃদয় পবিত্র নয়। মানুষের হৃদয়কে পবিত্র রাখতে হলে সৃষ্টিকর্তার প্রতি নিবেদিত হতে হবে। সৃষ্টির সকল জীবকে ভালোবাসতে হবে। মানুষ হিসেবে একে অপরের প্রতি করণীয় দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করতে হবে। তবেই কেউ প্রকৃত মানুষের গুণাবলী অর্জন করতে পারবে। অন্যের কল্যাণ কামনা, অন্যের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন ও প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া মানুষের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য। পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মানব হৃদয়কে রক্ষা করে মনের পবিত্রতা বজায় রাখার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠা যায়।
শিক্ষা: অন্যের প্রতি কল্যাণকামী চেতনা জাগ্রত রেখে হৃদয়কে উপাসনালয়ের মতো পবিত্র রাখা যায়। মানুষের হৃদয়ের শুদ্ধতাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরিশুদ্ধ হৃদয় ছাড়া প্রার্থনা অর্থহীন। সুতরাং মানুষের হৃদয়ই সবচেয়ে বড় উপাসনালয়।
No comments