130. মধুর চেয়েও আছে মধু, সে এই আমার দেশের মাটি, আমার দেশের পথের ধূলা, খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপী গরীয়সীঅর্থাৎ জন্মভূমি স্বর্গের থেকেও শ্রেষ্ঠ। মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা, স্বপ্ন-কল্পনা সবকিছুর মধ্যে স্বদেশ চেতনার বীজ নিহিত। নিজের মায়ের প্রতি ভালোবাসা যেমন মানুষের š§লব্ধ বৈশিষ্ট্য, তেমনি জন্মভূমির প্রতি টানও মানুষের সহজাত। দেশের আলো, বাতাস, ধূলিকণার প্রতি মানুষ একটা সুতীব্র ভালোবাসা অনুভব করে। দেশের মাটি, পানি দেহকে শীতল উৎফুল্ল করে, দান করে
অফুরন্ত প্রাণশক্তি। দেশ-মাতা গর্ভধারিনী মায়ের মতোই নিজের সুশীতল ছায়ায় মানুষকে বড় করে তোলে। স্বদেশ ছেড়ে কিছুদিন বাইরে থাকলে মানুষের মন ছটফট করে নিজ দেশের জন্য। দেশের সাথে প্রত্যেক মানুষ যেন এক স্বর্গীয় বন্ধনে আবদ্ধ। স্বদেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে মানুষের জীবন প্রকৃত সার্থকতা লাভ করে। প্রকৃত দেশপ্রেমিক তার দেশের মানুষ, ভূপ্রকৃতি সবকিছু নিয়েই চিন্তা করে। সকলের উপকারে নিজেকে নিয়োজিত রাখে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রাণ বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। দেশের উন্নয়নে নিজ দেশকে গোটা পৃথিবীর কাছে পরিচিত করতে তারা সবসময় কাজ করে যায়। দেশপ্রেমের দীক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে ১৯৭১ সালে আমাদের দেশমাতৃকার বীরসন্তানরা যুদ্ধ করে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতা। দেশপ্রেমের এমন আরো অনেক দৃষ্টান্ত ইতিহাসে দেখা যায়। দেশপ্রেম মানুষকে সাহস দেয়, শক্তি দেয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। নিজ দেশের প্রতি যার ভালোবাসা নেই, সে সত্যিকার মানুষ হতে পারে না। দেশের মানুষের কষ্ট হাহাকার যার হৃদয় ছুঁয়ে যেতে পারে না সে পশুর সমান
শিক্ষা: দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। যে মানুষ তার দেশকে ভালোবাসে না তার জন্ম বৃথা। তাই আমাদের উচিত নিজ দেশকে ভালোবাসা দেশের কল্যাণে নিয়োজিত থাকা

No comments

Powered by Blogger.