98. পেচাঁ রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনও ছুতা, জান না আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা।

অন্ধকারের প্রাণী পেঁচা। আঁধারেই তার জন্ম, জীবন-যাপন বসবাস। সূর্যের প্রখর আলো সহ্য করার ক্ষমতা তার নেই। এজন্য সে দিনের বেলায় আত্মগোপন করে থাকে। নিজের অক্ষমতাকে ঢাকতে সে প্রতিহিংসামূলক বুলি আওড়ে বেড়ায়। বিভিন্ন ছল-ছুতোয় সে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করে বেড়ায় যে, সূর্যের সাথে তার আজন্ম শত্রুতা রয়েছে। এজন্যই সে ঘৃনায় দিনের বেলায় বাসা থেকে বের হয় না। এখানে হীনমন্য
মানবচরিত্রের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠেছে। হীন নীচ, দুর্বল অক্ষম ব্যক্তিরা মহান ব্যক্তিদের ঈর্র্ষা করে। তাদের সম্মান গৌরব দেখে আত্মবঞ্চনার আগুনে জ্বলে-পুড়ে মরে। অযোগ্যতা সত্ত্বেও তারা নিজেদেরকে মহৎ মানুষদের কাল্পনিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করতে চায়। এইসব ক্ষুদ্র মানুষেরা লজ্জা হিংসায় জনসম্মুখে খুব একটা বের হয় না। মহৎ ব্যক্তিদের কাছাকাছি যাওয়ার সাহসও তাদের নেই। অথচ তারা তাদের এই হীনতা-দীনতা, ক্ষুদ্রতা-ভীরুতা উচ্চভিলাসী ঈর্ষাকাতর বক্তব্যের মোড়কে ঢেকে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে। শুধু তাই নয় তার এই অলীক-হাস্যকর মানসিকতা সে আবার সমাজে প্রচার করে বেড়ায়। যে ক্ষুদ্র পেঁচা সূর্যের ক্ষীণতম আলোর মুখোমুখি হওয়ার যোগ্যতাও রাখে না, সে সূর্যকে নিজের শত্রু হিসেবে প্রচার করে নিজেকেই বরং আরও ক্ষুদ্র, অনুদার হাস্যরসের পাত্র করে তোলে। 
শিক্ষা: মহৎ ব্যক্তিত্বের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব পোষণ এবং মহত্ত্বের অপপ্রচারের মাধ্যমে হীন প্রকৃতির লোকেরা আত্মতুষ্টি লাভ করে থাকে। এতে মানুষের মনে তার সম্পর্কে কোনও উচ্চ ধারণা তৈরি হয় না। বরং সে আরও অবজ্ঞার পাত্র হয়ে ওঠে

No comments

Powered by Blogger.