38.কত বড় আমি, কহে নকল হীরাটি। তাইত সন্দেহ করি, নহ ঠিক খাঁটি।

নিজের আসল পরিচয় গোপন করে মিথ্যা পরিচয় দিলে জীবনের গৌরব বাড়ে না; বরং কমে। হীরা খুব দামি রত্ন। কিন্তু কৃত্রিম হীরার সেই মূল্য নেই। নকল হীরা যদি নিজেকে আসল হীরার চেয়ে বড় মনে করে তবে তা মিথ্যা অহংকার করা ছাড়া কিছু নয়। আর মিথ্যা অহংকার করে নিজেকে বড় প্রমাণ করা যায় না। খাঁটি হীরার গুণ আপনা-আপনিই প্রকাশ পায়। ভন্ড, কাপুরুষ অহংকারী ব্যক্তিরাই নিজেদের গুণ প্রচার করে
বেড়ায়। কিন্তু মিথ্যা কখনোই গেপন থাকে না। একসময় তাদের ভন্ডামি প্রকাশ পেলে তারা ছোট মানুষ হিসেবে সমাজে গণ্য হয়। গুণী লোক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বা অন্যকে জানিয়ে নিজের গুণ প্রচার করে না। একমাত্র মিথ্যা অহংকারী নির্বোধ ব্যক্তিরাই নিজেদের আসল পরিচয় গোপন করে নিজেদের বড় বলে প্রচার করতে চায়। আচরণের মাধ্যমেই মানুষের চারিত্রিক গুণাবলীর প্রকাশ ঘটে। মিথ্যাচার করে নিজেকে বড় বলে জাহির করে বেড়ালে বড় হওয়া যায় না। পরবর্তীতে তাদের চরিত্রের আসল রূপ ঠিকই ধরা পড়ে। মহৎ ব্যক্তিরা নিজেদের মেধা গুণের ব্যাপারে কখনোই প্রচারণার দ্বারস্ত হননি। সংকীর্ণমনা, হীন চরিত্রের ব্যক্তিরাই নিজেদের সামান্য যোগ্যতা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে, যা প্রকৃতপক্ষে হাস্যকর উপহাসমূলক হয়ে থাকে
শিক্ষা: মিথ্যা দিয়ে সত্য গোপন করা যায় না। আর তা করাটা বোকামি। মানুষের মহত্ত্ব তার কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। হীনপ্রাণ ব্যক্তিরা নিজের নীচ পরিচয় গোপন করার জন্যই মিথ্যার আশ্রয় নেয়, অযথা অহংকার করে। ভাল-মন্দের দিক সহজেই সাধারণের চোখে ধরা পড়ে

No comments

Powered by Blogger.