39.কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই।
কর্তব্য বলতে আমরা সাধারণত বুঝি এমন কাজকে, যে কাজ শত বাঁধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সম্পাদন করতে হয়। জীবন চলার পথে প্রতিটা মানুষ অবিরাম কাজের মাঝে ডুবে থাকে। দৈনন্দিন জীবনে কাজের যে বিরাট অংশ আমাদের ব্যস্ত রাখে সেই কাজই মানবজীবনকে পূর্ণতা দান করেছে। কর্মমুখর জীবনের মতো পরিপূর্ণ জীবন আর কিছু হতে পারে না। সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই মানুষ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কিছু
আবশ্যকীয় কাজ করে আসছে। এই ধরণের কাজকে আমরা কর্তব্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকি। কারণ মানুষ চাইলেও এমন কাজ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে না। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা আমাদের কাজগুলোকে সুন্দরভাবে শেষ করে থাকি। কর্তব্যে অবহেলা করে মানুষ কখনোই উন্নতির স্বর্ণ শিখরে আরোহন করতে পারে না। যেকোনো কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পাদনের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রিয়তা ও পক্ষপাতদুষ্টতা সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাপতি যদি তার কর্তব্য ভুলে যায় তাহলে পরাজয় সুনিশ্চিত। তেমনি মানব জীবনেও কেউ যদি নিজ কর্তব্য ভুলে যায় সেও জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক। সচেতন মানুষ কখনোই নিজ কর্তব্যের ব্যাপারে উদাসীন থাকে না। তারা কর্তব্যের ব্যাপারে থাকে আপোষহীন। আর এ কারণেই কর্তব্যপরায়ণ প্রতিটি মানুষ সমাজের দর্পণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ বুদ্ধিমান, বিবেকবান মানুষ মাত্রই কর্তব্যপরায়ণ। তাদের কাছে কর্তব্যের সময় ভাই বন্ধু থাকে না। ক্রমান্বয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা মূলত এই কর্তব্যপরায়ণতা। দায়িত্বে অবহেলাকারী যেমন নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমনি সমাজ ও দেশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। পৃথিবীতে যত সফল মানুষ রয়েছে তাদের সফলতার মূলে রয়েছে কাজে একনিষ্ঠতা ও কর্তব্যপরায়ণতা। যারা কর্তব্যপরায়ন তারা স্বজনদের মুখের দিকে না তাকিয়ে কর্তব্যকেই বড় করে দেখে।
আবশ্যকীয় কাজ করে আসছে। এই ধরণের কাজকে আমরা কর্তব্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকি। কারণ মানুষ চাইলেও এমন কাজ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে না। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা আমাদের কাজগুলোকে সুন্দরভাবে শেষ করে থাকি। কর্তব্যে অবহেলা করে মানুষ কখনোই উন্নতির স্বর্ণ শিখরে আরোহন করতে পারে না। যেকোনো কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পাদনের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রিয়তা ও পক্ষপাতদুষ্টতা সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাপতি যদি তার কর্তব্য ভুলে যায় তাহলে পরাজয় সুনিশ্চিত। তেমনি মানব জীবনেও কেউ যদি নিজ কর্তব্য ভুলে যায় সেও জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক। সচেতন মানুষ কখনোই নিজ কর্তব্যের ব্যাপারে উদাসীন থাকে না। তারা কর্তব্যের ব্যাপারে থাকে আপোষহীন। আর এ কারণেই কর্তব্যপরায়ণ প্রতিটি মানুষ সমাজের দর্পণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ বুদ্ধিমান, বিবেকবান মানুষ মাত্রই কর্তব্যপরায়ণ। তাদের কাছে কর্তব্যের সময় ভাই বন্ধু থাকে না। ক্রমান্বয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা মূলত এই কর্তব্যপরায়ণতা। দায়িত্বে অবহেলাকারী যেমন নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমনি সমাজ ও দেশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। পৃথিবীতে যত সফল মানুষ রয়েছে তাদের সফলতার মূলে রয়েছে কাজে একনিষ্ঠতা ও কর্তব্যপরায়ণতা। যারা কর্তব্যপরায়ন তারা স্বজনদের মুখের দিকে না তাকিয়ে কর্তব্যকেই বড় করে দেখে।
শিক্ষা: সময় এবং স্রোত যেমন বাঁধা মানে না, তেমনি কর্তব্যও ভাই বন্ধু মেনে চলে না। সফলতার মূল চালিকা শক্তি হলো কাজে একনিষ্ঠতা, আর কাজের প্রতি একাগ্রতাই মানুষকে কর্তব্যপরায়ণ হতে সাহায্য করে।
No comments