101. প্রথম যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে তুমি মাত্র কেঁদেছিলে, হেসেছিল সবে। এমন জীবন হবে করিতে গঠন, মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন।
প্রত্যেক শিশুই জন্ম গ্রহণ করে একইভাবে। একই শারীরিক গঠন নিয়ে। তাই সবাই শিশুর জন্মের সংবাদে সমানভাবে খুশি হয়। প্রত্যেকেই জšে§র পর অসহায় এবং পরনির্ভরশীল থাকে। ক্রমে ক্রমে নিজের পায়ের ওপর ভর করে দাঁড়াতে শেখে। এক সময় নিজের বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে জীবন চালানোর সক্ষমতা অর্জন করে। কেউ সৎ কাজ করে, কেউ অসৎ কাজ করে। কেউবা নিজের স্বার্থে কাজ করে, কেউ আবার মানবজাতির স্বার্থে
কাজ করে। যারা সৎ গুণাবলী অর্জন, কঠোর পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমে পৃথিবীর সব জীবের কল্যাণসাধন করে, তারাই জগৎশ্রেষ্ঠ। যারা মানবতার কল্যাণে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে, তারা তাদের কর্মের দ্বারা পৃথিবীকে আরো সুন্দর করে তোলে। মহৎ মানুষ নিজের জীবন তিলে তিলে ক্ষয় করে দেশ ও জাতির কল্যাণার্থে। জীবনের মূল্যবান সময়ে সুখ-আহলাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখে শুধু মানব কল্যাণে। এমন মহৎ, আত্মত্যাগী মানুষদের মৃত্যুতে সব দেশের সব মতের, সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে ব্যথিত হয়। গোটা জাতি দুঃখে শোকে কান্নায় ভেঙে পড়ে। কিন্তু যে নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই ভাবতে পারে না, তাদের দিয়ে দেশ জাতির কোনো কল্যাণ হয় না। বরং ঐসব স্বার্থপর মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়। তারা নিজের সুখের জন্য সব ধরণের অন্যায় করে, দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যা, চোরাচালান, যুদ্ধ, সংঘর্ষ ইত্যাদি অপরাধ কর্ম তাদের দ্বারাই সংঘটিত হয়। এসব অপরাধী মানবজাতির কলঙ্ক। সবাই তাদের ক্ষমতাকে ভয় করলেও মন থেকে সম্মান করে না। যখন তাদের মৃত্যু হয় তখন তাদের ক্ষমতারও অবসান হয়। তাদের মৃত্যুতে কেউ দুঃখিত হয় না। অশ্রু বিসর্জন তো দূরের কথা, ঐসব স্বার্থপর মানুষদের মৃত্যুতে সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়। কারণ তারা হাজার বছর বেঁচে থকলেও মানবজাতির ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হতো না।
কাজ করে। যারা সৎ গুণাবলী অর্জন, কঠোর পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমে পৃথিবীর সব জীবের কল্যাণসাধন করে, তারাই জগৎশ্রেষ্ঠ। যারা মানবতার কল্যাণে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে, তারা তাদের কর্মের দ্বারা পৃথিবীকে আরো সুন্দর করে তোলে। মহৎ মানুষ নিজের জীবন তিলে তিলে ক্ষয় করে দেশ ও জাতির কল্যাণার্থে। জীবনের মূল্যবান সময়ে সুখ-আহলাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখে শুধু মানব কল্যাণে। এমন মহৎ, আত্মত্যাগী মানুষদের মৃত্যুতে সব দেশের সব মতের, সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে ব্যথিত হয়। গোটা জাতি দুঃখে শোকে কান্নায় ভেঙে পড়ে। কিন্তু যে নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই ভাবতে পারে না, তাদের দিয়ে দেশ জাতির কোনো কল্যাণ হয় না। বরং ঐসব স্বার্থপর মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়। তারা নিজের সুখের জন্য সব ধরণের অন্যায় করে, দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যা, চোরাচালান, যুদ্ধ, সংঘর্ষ ইত্যাদি অপরাধ কর্ম তাদের দ্বারাই সংঘটিত হয়। এসব অপরাধী মানবজাতির কলঙ্ক। সবাই তাদের ক্ষমতাকে ভয় করলেও মন থেকে সম্মান করে না। যখন তাদের মৃত্যু হয় তখন তাদের ক্ষমতারও অবসান হয়। তাদের মৃত্যুতে কেউ দুঃখিত হয় না। অশ্রু বিসর্জন তো দূরের কথা, ঐসব স্বার্থপর মানুষদের মৃত্যুতে সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়। কারণ তারা হাজার বছর বেঁচে থকলেও মানবজাতির ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হতো না।
শিক্ষা: নিজের জন্য হাজার বছর বেঁচে থাকার মধ্যে সার্থকতা নেই। জীবনে সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায় মানব কল্যাণে একদিন বেঁচে থাকার মধ্যেও। যারা সৎ চিন্তা, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সব সৃষ্টির কল্যাণসাধন করে, তারা মানবজাতির মন জয় করতে পারে, তাদের মৃত্যু সবাইকে ব্যথিত করে।
No comments