68. তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ।

পৃথিবীর সকল প্রাণীরই প্রাণ আছে। এই বিবেচনায় মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। জন্মগুণে উভয়ই প্রাণী এবং তাদের মধ্যে কিছু স্বাভাবিক সাদৃশ্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এই বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পৃথিবীর সকল প্রাণী একই শ্রেণির। কিন্তু মানুষকে শুধুমাত্র প্রাণী হলেই চলে না। কারণ মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে বসবাস করার জন্য তাকে কিছু মানবীয় গুণাবলীর অধিকারী হতে হয়। জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি সমাজ
থেকে বিভিন্ন শিক্ষাগ্রহণ করে মানুষকে মানবীয় গুণাবলী বিকশিত করতে হয়। এজন্য প্রয়োজন হয় কঠোর পরিশ্রম অধ্যবসায়ের। কিন্তু পশুপাখি তরুলতাকে এসব কোনো কিছুই করতে হয় না। তারা শুধুমাত্র নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু কার্য সম্পাদন করে। তাদের কোনো জ্ঞান নেই, ভাল-মন্দ বিচারের ক্ষমতা নেই, নেই কোনো ন্যায়-অন্যায়বোধ। তারা কোনো খারাপ বা অন্যায় কাজ করলেও শাস্তির সম্মুখীন হতে হয় না। পক্ষান্তরে মানুষকে সমাজে বসবাস করার জন্য মানবীয় গুণাবলী অর্জনের পাশাপাশি তাকে শিখতে হয় অন্যকে জয় করার কৌশল, অর্জন করতে হয় নিজেকে বিশ্বসভ্যতাকে বদলে দেয়ার মন্ত্র। অমানবিক মনুষ্যত্বহীন কোনো কাজ করলে মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সমাজ তাকেঅমানুষহিসেবে আখ্যায়িত করে। মূলত মানুষ, পশুপাখি তরুলতা থেকে পৃথক হয়েছে বিদ্যা বুদ্ধি দ্বারা অর্জিত গুণাবলী মনুষ্যত্বের সমন¦য়ে। বিদ্যা-বুদ্ধি-বিবেক মানুষকে বিশ্বের অন্যসব প্রাণী থেকে পৃথক করেছে। বিবেকহীন মানুষ পশুর সমতুল্য
শিক্ষা: জন্ম বৈশিষ্ট্যে পশুপাখি, তরুলতা মানুষে পার্থক্য না থাকলেও জ্ঞান বুদ্ধির জোরেই মানুষ স্বমহিমায় উজ্জ্বল। কঠোর সাধনা ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে মানবীয় গুণাবলী মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটিয়ে মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তাই মানুষ জন্মগুণে নয়, প্রাণপণ চেষ্টায় মানুষ

No comments

Powered by Blogger.