69. তাই আজ প্রকৃতির উপর আধিপত্য নয় মানুষ গড়ে তুলতে চাইছে প্রকৃতির সঙ্গে মৈত্রীর সম্বন্ধ।

প্রকৃতি অপরূপ সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। মানুষ প্রকৃতিতে বসবাস করে বলেই তারা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল, প্রকৃতিই তাকে পরম যত্নে লালন পালন করে। আমাদের প্রয়োজনীয় সকল কিছুর আধার প্রকৃতি। জীবন ধারনের জন্য দরকারী সবই প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। কিন্তু মানুষ অতিরিক্ত পাওয়ার আশা করে। ফলে শুরু হয় প্রকৃতির উপর আধিপত্য বিস্তারের খেলা। অতিবিলাসিতা, সম্পদের প্রতি লোভ, অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা
পেতে মানুষ প্রতি মুহূর্তে প্রকৃতিকে ব্যবহার করছে। সম্পদের প্রতি অতিমাত্রায় লোভ মানুষকে নির্মম করেছে। এতে মানুষ প্রকৃতি ধ্বংসের লীলায় মেতে উঠেছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো বায়ুদূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদির মতো ঘটনাগুলো। এছাড়া বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, ওজন স্তর ক্ষয়ে যাচ্ছে। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির এই রুদ্রমূর্তি দেখে মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে প্রকৃতির উপর আধিপত্য করে বেশিদিন টিকতে পারবে না; বরং প্রকৃতির সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে মৈত্রীর বন্ধন। তবেই পৃথিবী হয়ে উঠবে মানুষের বসবাসের উপযোগী। সৃষ্টিকর্তাই মূলত মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য প্রকৃতির সকল উপাদান সৃষ্টি করেছেন। মানুষও প্রকৃতির সাথে মেলবন্ধন স্থাপন করে তা থেকে উপকৃত হয়। প্রকৃতির সাথে শত্রুতা বা আধিপত্য বিস্তার কখনই সুখকর নয়
শিক্ষা: প্রকৃতির তার নিজস্ব নিয়মে চলে। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। বরং প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুললেই কেবল মানুষ, সমাজ, সভ্যতা সংস্কৃতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে

No comments

Powered by Blogger.