174. সত্য মূল্য না দিয়েই সাহিত্যের খ্যাতি করা চুরি ভালো নয় ভালো নয়, নকল সে সৌখিন মজদুরী।

সত্যের মর্যাদা সবচেয়ে উঁচুতে, সত্যের পথে অর্জিত সাফল্য চিরন্তন। কিন্তু মিথ্যার আশ্রয়ে কিছু অর্জন করলে তা স্থায়ী হয় না। অর্জিত বস্তু তার মাহাত্ম্য হারিয়ে ফেলে। সত্যচর্চার গুরুত্ব মানবজীবনে যেমন অপরিহার্য সাহিত্যের ক্ষেত্রেও তেমনি। সাহিত্যে সত্যের প্রতিফলন পূর্ণ মাত্রায় ঘটলে সে সাহিত্যকর্ম মহৎ হয়ে ওঠে। সত্যাশ্রিত সাহিত্য কর্মের আবেদন কখনও শেষ হয় না।
যুগে যুগে তা মানুষকে সত্য পথ অনুসরণের প্রেরণা দেয়। এর মাধ্যমে একজন লেখক হয়ে উঠেন মহীয়ান। কিন্তু অনেক সময় লোভ লালসার বশবর্তী হয়ে লেখক প্রকৃত সত্যকে চাপা দিয়ে কিংবা সত্যকে বিকৃত করে সাহিত্য রচনা করেন। এটি একটি গর্হিত অপরাধ। মিথ্যার আশ্রয়ে সাহিত্য রচনা করলে সে সাহিত্যের মাহাত্ম্য নষ্ট হয়। আর সে লেখকও তাঁর মর্যাদা হারায়। সত্য যতই কঠিন হোক না কেন সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সৎ সাহস প্রত্যেক লেখকের থাকা উচিত। ভয় কিংবা লোভের বশবর্তী হয়ে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা সমালোচনা বা কারো মিথ্যা প্রশংসা করা উচিত না। আবার অনেক লেখক আছেন যারা পূর্ববর্তী কোনো লেখককে অনুকরণ করে সাহিত্য রচনা করেন। এটাও একটি নীতি-নৈতিকতা বিরোধী অপরাধ। অন্যের অনুকরণে নয়, আপন সৃজনশীলতার মাধ্যমেই একজন লেখকের লেখক সত্ত্বার বিকাশ সম্ভব। অন্যের অনুকরণে রচিত সাহিত্য কর্ম গ্রহণযোগ্যতা পায় না। লেখকের পরিশ্রমটুকুই কেবল বৃথা হয়। পূর্বসূরিদের পদানুসরণ করে নিজের মেধার প্রতিফলন ঘটানোর মাধ্যমে একজন লোক বড় হয়ে ওঠতে পারে
শিক্ষা: মিথ্যার আবরণে তৈরি সাহিত্য কর্ম কিংবা অন্যের অনুকরণে রচিত সাহিত্য কর্ম শিল্প সাফল্য মন্ডিত হতে পারে না। তাই লেখকের উচিত সত্যের পথ অবলম্বন করে নিজের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করা

No comments

Powered by Blogger.