175. সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা দেশ মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা।
বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করে কৃষিখাতের উপর। প্রতিবছর জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ আসে কৃষি ও কৃষিজাত দ্রব্য থেকে। আর এই কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এ দেশের কৃষকেরা। তাদের অনেক সাধনার ফল মাঠভরা ফসলের হাসি। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, কঠিন ও শুষ্ক মাটির বুকে তারা ফসল ফলায়।
তাদের ঘাম ঝরানো ফসলই দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে। তারা নিজেদের সুখ-শান্তি, আরাম আয়েস বিসর্জন দিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দেশের সকল মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়। অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে তুলছে। কিন্তু বিনিময়ে তারা নিজেদের জীবনের আরাম-আয়েসের নিশ্চয়তা পায়না। বছরের পর বছর তারা অভাবের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকে। অনাহারে অর্ধাহারে বিনা চিকিৎসায় অশিক্ষায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করে। দেশের উন্নয়নের অন্যতম দাবিদার এ কৃষকেরাই সব থেকে বেশি ভাগ্যহীন, দরিদ্র ও অসহায়। কিন্তু এই অভাব নিয়ে তাদের মনে কোনো ক্ষোভ নেই। বরং দেশের মানুষের জন্য খাদ্যের যোগান দিতে পেরেই তারা সন্তুষ্ট। এমন নিঃস্বার্থ, নির্লোভ, নিরহংকারী সাধক আর নেই। যুগে যুগে অনেকেই সাধনা করেছেন। এদের মধ্যে কেউ স্রষ্টাকে পাওয়ার জন্য, কেউ নিজেকে জানার জন্য, কেউবা নির্বান লাভের জন্য। তবে যারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে দেশের মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছে সেই সব কৃষকদের মতো বড় সাধক আর নেই। মানবকল্যাণে তারা নিজেদের জীবনের সুখ-শান্তি, আরামআয়েশে, ভোগবিলাস সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়েছে। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে তারা নিজেদের পুরো জীবন ব্যয় করে। তাদের এই নিঃস্বার্থ সাধনা দেশের অর্থনীতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যায়। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই কৃষকের জয়গান করে বলেছেন- ‘গাহি তাহাদের গান, ধরনীর হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান।’
তাদের ঘাম ঝরানো ফসলই দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে। তারা নিজেদের সুখ-শান্তি, আরাম আয়েস বিসর্জন দিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দেশের সকল মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়। অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে তুলছে। কিন্তু বিনিময়ে তারা নিজেদের জীবনের আরাম-আয়েসের নিশ্চয়তা পায়না। বছরের পর বছর তারা অভাবের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকে। অনাহারে অর্ধাহারে বিনা চিকিৎসায় অশিক্ষায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করে। দেশের উন্নয়নের অন্যতম দাবিদার এ কৃষকেরাই সব থেকে বেশি ভাগ্যহীন, দরিদ্র ও অসহায়। কিন্তু এই অভাব নিয়ে তাদের মনে কোনো ক্ষোভ নেই। বরং দেশের মানুষের জন্য খাদ্যের যোগান দিতে পেরেই তারা সন্তুষ্ট। এমন নিঃস্বার্থ, নির্লোভ, নিরহংকারী সাধক আর নেই। যুগে যুগে অনেকেই সাধনা করেছেন। এদের মধ্যে কেউ স্রষ্টাকে পাওয়ার জন্য, কেউ নিজেকে জানার জন্য, কেউবা নির্বান লাভের জন্য। তবে যারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে দেশের মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছে সেই সব কৃষকদের মতো বড় সাধক আর নেই। মানবকল্যাণে তারা নিজেদের জীবনের সুখ-শান্তি, আরামআয়েশে, ভোগবিলাস সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়েছে। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে তারা নিজেদের পুরো জীবন ব্যয় করে। তাদের এই নিঃস্বার্থ সাধনা দেশের অর্থনীতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যায়। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই কৃষকের জয়গান করে বলেছেন- ‘গাহি তাহাদের গান, ধরনীর হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান।’
শিক্ষা: কৃষকেরা বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদ-। কিন্তু তবু যুগ যুগ ধরে এরাই হচ্ছে অবহেলিত, অনাদৃত, নিপীড়িত, অত্যাচারিত, দেশের অর্থনীতিকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে হলে কৃষকদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে।
No comments