185. সুখের ফসল এতই সোজা চাষাবাদে দহন-সহন তবেই না প্রাপ্তির খোঁজ।

পৃথিবীতে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা গাছ না লাগিয়েই তার ফল খেতে চায়। তারা চায় বিনা পরিশ্রমে তাদের সকল চাহিদা মিটে যাক। কিন্তু পৃথিবীটা কোনো রূপকথার যাদুময় স্থান নয়, যে চাইলেই সবকিছু হাতের মুঠোয় চলে আসবে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যা কিছুই দেখি তার কোনোটিই এমনিতে আসে না।
কৃষক যদি ফাঁকা মাঠে বীজ ছড়িয়ে চলে আসত তাহলে কখনোই কাঙ্ক্ষিত ফসল পাওয়া যেত না। কৃষককে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে জমি চাষ করতে হয়, সঠিক নিয়মে ফসল বুনতে হয়, নিবিড় পরিচর্যা করতে হয়, সঠিক সময়ে ফসল কাটতে হয় তবেই কৃষক কাঙ্ক্ষিত অর্জন করে। কষ্ট ব্যতিত যে সুখ পাওয়া যায় তা নিতান্তই ক্ষণস্থায়ী। সারা মৌসুম হাড় ভাঙা খাটুনি খেটে, পাকা ধান ঘরে তোলার পর কৃষক তার সকল কষ্ট ভুলে যায়। তেমনি যেকোনো কাজ সফলতার সাথে শেষ করতে পারলে কোনো কষ্টই কষ্ট মনে হয় না। সফলতার আনন্দে শিহরিত হয় মানুষের মন। আর কোনো কাজে সফল হওয়ার পূর্বশর্তগুলো হলো-দৃঢ়তা, ধারাবাহিকতা, পরিশ্রম করার মানসিকতা প্রভৃতি। এগুলো ব্যতিত সফল হওয়া যায় না। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে হাত দিয়েছেন পরিশ্রম করার জন্য। যারা পরিশ্রম করতে চায় না, কর্মবিমূখ তারা অলস। অলস ব্যক্তিগণ পৃথিবীর অভিশাপ। অলস ব্যক্তি কখনই সুখী হতে পারে না। সাময়িক তুষ্টি পেলেও দীর্ঘ সময় তাদের কষ্ট ভোগ করতে হয়
শিক্ষা: কোনো কিছু প্রাপ্তির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পদ্ধতি রয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে সফলতা আসবে না। কষ্টার্জিত সুখই প্রকৃত চিরস্থায়ী সুখ

No comments

Powered by Blogger.