135. মাটি হতে হে মানব তোমার জনম, আগুনের মতো কেন হও হে গরম।


মানুষ মরণশীল। কোনো এক অজ্ঞাত জগত থেকে মানুষের š§, আবার সেই অচেনার দিকেই মানুষের যাত্রা। মাটি থেকে ¯্রষ্টা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, মৃত্যুর পর দেহ আবার মাটিতেই মিশে যাবে। মাঝখানে কিছু দিন মানুষ এই রঙিন পৃথিবীর মায়ায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। ক্ষণিকের পৃথিবীর প্রতি মানুষের আজš§ টান। নিজের অপ্রতিরোধ্য পরিণাম ভুলে মানুষ এই পৃথিবীতে টিকে থাকার লড়াইয়ে সর্বদা লিপ্ত,
সকলেই ব্যস্ত তার অফুরন্ত ক্ষুধা মিটাতে। নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মানুষ সারাক্ষণ চিন্তা করে। তার চাহিদার কোনো শেষ হয় না। প্রতিনিয়ত ছুটতে থাকে নিজের স্বপ্ন পূরণের নেশায়। যখন কেউ উন্নতির শীর্ষে পৌঁছে যায় তখন ধন-সম্পদ, মান-মর্যাদার মোহে সে হয়ে যায় অন্ধ। আত্ম অহংকারের বিষে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে থাকে। এই অহংকারের জালে পড়ে মানুষ হারিয়ে ফেলে তার মনুষ্যত্ব। তার চেয়ে অপেক্ষাকৃত নিচু শ্রেণির মানুষের প্রতি ঘৃণা দেখায় মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করে না। কিন্তু বিধাতা এতটা সহ্য করেন না। অহংকারীর পতন অনিবার্য। নিয়তির অনিবার্য নির্দেশে এক সময় তাকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পাড়ি জমাতে হয় নিরুদ্দেশের পথে। মাটির শরীর আবার মাটিতেই মিলিয়ে যায়। তাই এই নশ্বর জীবন নিয়ে মানুষের অহংকার করা উচিত নয়। নশ্বর জীবন তখনই সার্থক হয়ে ওঠে যখন তা মানবতার সেবায় ব্যয় করা হয়। অহংকারী মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে তার নাম হারিয়ে যায় মহাকালের স্রোতে। কিন্তু যারা মানব কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ তারা মৃত্যুঞ্জয়ী। তাদের ক্ষুদ্র দেহটি মাটিতে মিলিয়ে গেলেও তারা অক্ষয় হয়ে থাকে মানুষের মনের মন্দিরে
শিক্ষা: মানুষের জীবন অতি সীমিত অনিশ্চিত। অনিশ্চিত জীবন নিয়ে অহংকার করা উচিত নয়। ক্ষুদ্র জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে প্রয়োজন মানবতার সেবায় জীবন উৎসর্গ করা

No comments

Powered by Blogger.