06. অপরের দুঃখ কথা করিলে চিন্তন আপনার মনে দুঃখ থাকে কতক্ষণ।
পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ বাস করে আর তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা দুঃখ-কষ্ট, অভাববোধ আছে। তবে সে দুঃখ-কষ্টগুলো একান্তই ব্যক্তিগত। আর কেবলমাত্র ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখের চিন্তা করা কোনো মানুষের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে না। কেননা শুধুমাত্র নিজের ভোগ-বিলাস আর স্বার্থরক্ষার জন্য মানবজীবন নয়। মানুষ পরস্পরের উপর নির্ভরশীল হয়ে সমাজবদ্ধভাবে বাস করে। এই সমাজবদ্ধ জীবনে
স্বার্থপরের মতো শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে ভাবা উচিত নয়। বরং চারপাশের সমস্ত দুঃখী, অভাবী মানুষের দুঃখকে উপলব্ধি করতে হবে। অন্যের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ভাগ করে নেওয়ার মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত। অন্যের দুঃখ-কষ্টকে নিজের মধ্য দিয়ে উপলব্ধি করতে পারলে নিজের দুঃখগুলো ভুলে থাকা যায়। যে ব্যক্তির পা নেই তার কথা চিন্তা করলে নিজের জুতা না থাকার অভাব বা কষ্ট নিতান্তই নগন্য মনে হয়। মহৎপ্রাণ ব্যক্তিগণ নিজেদের দুঃখ, বেদনা, হতাশা, ব্যর্থতাকে ভুলে অপরের কল্যাণে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। অপরের কল্যাণে নিজেদের স্বার্থ চিন্তা পরিহার করেছেন বলেই তাদের জীবন হয়েছে মহান। ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়েছে তাদের মহৎ ত্যাগের কথা। মানুষ কেবল নিজের জন্য জন্মগ্রহণ করেনি। শুধুমাত্র নিজের ভোগবিলাস, পাওয়া না পাওয়ার হিসেবে ব্যস্ত থাকলে সেই মানুষ কোনোদিনও জীবনের প্রকৃত সুখের সন্ধান পায় না। অন্যদিকে, নিজের দুঃখ-কষ্টকে বড় করে না দেখে যে ব্যক্তি অন্যের দুঃখ- বেদনাকে উপলব্ধি করতে পারে এবং সে দুঃখ লাঘবে সহায়তা করে সেই প্রকৃত সুখী। যে সত্যিকারের মানুষ সে অপরের দুঃখে ব্যথিত হয় এবং অন্যের দুঃখ দূর করতে নিজের সুখ বিসর্জন দিতেও দ্বিধা করে না। অপরের দুঃখ-কষ্টকে উপলব্ধি করে সে নিজেদের দুঃখের কথা ভুলে যায়। জীবনের সত্যিকার সুখের দেখা পায় সে, যে অপরের দুঃখ-বেদনার কথা ভেবে ব্যক্তিগত দুঃখকে মনে স্থান দেয় না।
স্বার্থপরের মতো শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে ভাবা উচিত নয়। বরং চারপাশের সমস্ত দুঃখী, অভাবী মানুষের দুঃখকে উপলব্ধি করতে হবে। অন্যের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ভাগ করে নেওয়ার মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত। অন্যের দুঃখ-কষ্টকে নিজের মধ্য দিয়ে উপলব্ধি করতে পারলে নিজের দুঃখগুলো ভুলে থাকা যায়। যে ব্যক্তির পা নেই তার কথা চিন্তা করলে নিজের জুতা না থাকার অভাব বা কষ্ট নিতান্তই নগন্য মনে হয়। মহৎপ্রাণ ব্যক্তিগণ নিজেদের দুঃখ, বেদনা, হতাশা, ব্যর্থতাকে ভুলে অপরের কল্যাণে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। অপরের কল্যাণে নিজেদের স্বার্থ চিন্তা পরিহার করেছেন বলেই তাদের জীবন হয়েছে মহান। ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়েছে তাদের মহৎ ত্যাগের কথা। মানুষ কেবল নিজের জন্য জন্মগ্রহণ করেনি। শুধুমাত্র নিজের ভোগবিলাস, পাওয়া না পাওয়ার হিসেবে ব্যস্ত থাকলে সেই মানুষ কোনোদিনও জীবনের প্রকৃত সুখের সন্ধান পায় না। অন্যদিকে, নিজের দুঃখ-কষ্টকে বড় করে না দেখে যে ব্যক্তি অন্যের দুঃখ- বেদনাকে উপলব্ধি করতে পারে এবং সে দুঃখ লাঘবে সহায়তা করে সেই প্রকৃত সুখী। যে সত্যিকারের মানুষ সে অপরের দুঃখে ব্যথিত হয় এবং অন্যের দুঃখ দূর করতে নিজের সুখ বিসর্জন দিতেও দ্বিধা করে না। অপরের দুঃখ-কষ্টকে উপলব্ধি করে সে নিজেদের দুঃখের কথা ভুলে যায়। জীবনের সত্যিকার সুখের দেখা পায় সে, যে অপরের দুঃখ-বেদনার কথা ভেবে ব্যক্তিগত দুঃখকে মনে স্থান দেয় না।
শিক্ষা: স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে এই মহৎ জীবনকে সার্থক করতে হলে, কেবল নিজের স্বার্থচিন্তা না করে, অন্যের দুঃখ-বেদনাকে উপলব্ধি করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, অপরের দুঃখ-বেদনা ভাগ করে নেওয়ার মধ্যেই মানব জীবনের সত্যিকারের সুখ নিহিত।
No comments