07. অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে।

মানবজীবন ছোট হলেও মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই। একটা অভাব পূরণের সাথে সাথে মানুষের জীবনে অন্য একটি অভাব দেখা দেয়। কিন্তু কোনো মানুষের পক্ষেই জীবনের সব অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়। ফলে এই অপূরণীয় অভাবের সাথে সাথে তার জীবনে দুঃখবোধ সৃষ্টি হয়। অভাব যত বাড়ে অপূর্ণতা ততই ভিড় করে। সেই অপূর্ণতা দুঃখকে আরও ঘণীভূত করে। সভ্যতার উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের অভাববোধও বাড়ছে। প্রতিদিনই মানুষের জীবনে নতুন নতুন অভাব সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে তার না পাওয়ার
কষ্টও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কারণ এসব অভাব পূরণ করা মানুষের পক্ষে প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে। মানুষের জীবনে এসব অভাব না থাকলে মানুষের মধ্যে অপূর্ণতার কষ্টও জমা হত না। খুব সাধারণ উদাহরণই এই ধারণাকে আরও স্পষ্ট করে দিতে পারে। যেমন একজন গ্রামের সাধারণ কৃষকের অভাববোধ বলতে দু-বেলা দু-মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকাকেই বোঝায়। ফলে সে দু-বেলা ভাত পেলেই খুুশি। কিন্তু একজন শহরের মধ্যবিত্ত মানুষের অভাব হলো, একটি টিভি কিংবা ফ্রিজের আরও উচ্চবিত্ত একজন মানুষের অভাব হলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বাড়ির এবং গাড়ীর। এসব ব্যয়বহুল অভাব মেটাতে সে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। কখনও বা এসব অভাব অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। ফলে তার দুঃখও অধিক হচ্ছে। অথচ অল্প অভাবের একজন সাধারণ মানুষ তার চেয়ে অল্প পেয়েই সুখে জীবন-যাপন করছে
শিক্ষা: অভাব বা চাহিদাই মানুষের দুঃখের মূল কারণ। অভাবকে প্রশ্রয় দিলেই তা বাড়তে থাকবে। সুতরাং অভাবকে দমন করে মানব জীবনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা উচিত। অভাবের স্বল্পতাই দুঃখকে প্রশমিত করতে পারে

No comments

Powered by Blogger.