42.কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?

পদ্মকে তুলতে গিয়ে কাঁটার ভয় করলে চলবে না। কাঁটার ভয়ে বা কাঁটার আঘাতে যদি কেউ পদ্ম তুলতে না যায়, তাহলে তার পক্ষে পদ্ম আহরণ সম্ভব হবে না। তেমনি দুঃখকে বাদ দিয়ে জীবনে সুখের আশা করা যায় না। একটিকে চাইতে গেলে অপরটিকে মেনে নিতে হয়। ভাল-মন্দ, সুখ-দুঃখ জয়-পরাজয় ইত্যাদি নিয়েই আমাদের জীবন। একটি অপরটির পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। দুঃখকে বাদ দিলে জীবনে সুখের অস্তিত্ব
বিলীন হয়ে যায়। দুঃখের মধ্য দিয়েই জীবনে সুখের আস্বাদ লাভ করা যায়। দুঃখের ভয়ে যে তার নিজ কর্ম থেকে বিরত থাকে তার পক্ষে সুখ লাভ করা সম্ভব নয়। সফলতার পথ কণ্টকাকীর্ণ। এই কাঁটার ভয়ে যে সেই পথে হাঁটে না সে কখনো সফল হয় না। দুঃখ-যন্ত্রণা, পরিশ্রম, ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়েই মানুষ তার গন্তব্যে পৌঁছায়। আর যারা দুঃখ-যন্ত্রণা, ক্লান্তির ভয়ে ভীত হয় তারা সহজেই ঝরে পড়ে সাফল্যের পথ থেকে। তাই সকল প্রতিকূলতাকে বরণ করেই মানুষকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। পৃথিবীতে যাঁরা বড় হয়েছেন, সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেছেন তাঁরা সবাই সাধনার দ্বারা দুঃখ-কষ্ট, বাধা-বিঘ্নকে অতিক্রম করেই হয়েছেন। পরাজয়ের গ্লানি, পরিশ্রমের কষ্টকে জয় করার মাধ্যমেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যথার্থই বলেছেন- “ব্যর্থতাই মানুষের জীবনের প্রথম সাফল্য।
শিক্ষা: জীবন চলার পথে বাধা বিঘ্নকে ভয় করে পিছিয়ে পড়লে জীবনে সফলতা অর্জন করা যায় না। জীবনকে সাফল্যমন্ডিত করতে হলে সকল দুঃখ-কষ্ট, বাধা-বিঘ্ন জয় করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ কষ্টের মাধ্যমে অর্জিত সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়

No comments

Powered by Blogger.