196. সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর।

কোনো ব্যক্তির কথার মাধ্যমে তার সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হয়। কথাতেই মানুষের মনের ভাব, চাওয়া, পাওয়া প্রকাশ পায়। অন্যের কাছে নিজের ভাব প্রকাশের জন্য বেশি কথা বলার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যে ব্যক্তি বেশি কথা বলে সে কথার মাঝে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। যে বেশি কথা বলে তাকে সাধারণত কেউ পছন্দ করে না। কথার মাঝে একটা মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আরো অনেক মিথ্যা বলতে হয়।

আর মিথ্যা কখনও চাপা থাকে না। যে মিথ্যা কথা বলে সে বাচাল মিথ্যাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হয়। অন্যদিকে পৃথিবীতে যারা মহামানব তাদের জীবনী থেকে জানা যায় তারা কেউই বেশি কথা বলতেন না। তারা কথা নয় কাজে বিশ্বাসী ছিলেন। কাজের সময় বেশি কথা না বলে চিন্তাভাবনা করলে তার সুফল পাওয়া যায়। আবার কথা অনুযায়ী কাজ না করলে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। পরিমিত কথা গুছিয়ে বললে সে অনুযায়ী কাজ করলে বুদ্ধির পরিচয় ফুটে উঠে। কিন্তু কাজ না করে শুধু কথার মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করলে বেশি কথা বলতে হয় এবং কথার মাঝে মিথ্যা বলতে হয় যা কিনা সব দিক থেকেই ক্ষতিকর। কারণ বেশি কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা কথা বলা অনকের বদ-অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। এজন্য পারতপক্ষে মানুষ ধরণের বাচাল মিথ্যাবাদী লোকদের সঙ্গ থেকে দূরে থাকতে চায়। বুদ্ধিমান ব্যক্তি কখনও বেশি কথা বলে না বরং সে কথা বলার চেয়ে শুনতে বেশি আগ্রহী হয়। যে বেশি কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা কথা বলে তাকে কেউ বিশ্বাস করে না। তাই আত্মসম্মানকে বজায় রাখতে হলে প্রয়োজনীয় কথার অতিরিক্ত না বলাই মঙ্গল
শিক্ষা: মিথ্যা সকল পাপের উৎস। একটা মিথ্যাকে সত্য হিসেবে দাঁড় করাতে চাইলে হাজারো মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। জন্য কথাও বেশি বলতে হয়। তাই কথাকে সংযত করার মাধ্যমে মিথ্যা থেকে অনেকটাই দূরে থাকা সম্ভব

বাংলা ভাবসম্প্রসারণ

নিচে থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ভাবসম্প্রসারণটি  ক্লিক করুন বিস্তারিত দেখতে পাবেন-


No comments

Powered by Blogger.