152. যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না।
মানব-জীবনে চাওয়া-পাওয়ার অন্ত নেই। তেমনি নেই কোনো সামঞ্জস্য। পার্থিব এই জগতে মানুষের চাওয়া-পাওয়া অসীম। তাই মানুষের চাহিদা বা আশা-আকাঙ্ক্ষার সমাপ্তি ঘটে না। একটি চাহিদা পূরণ হওয়ার সাথে সাথেই অন্য আরো নতুন চাহিদার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য। সভ্যতার সূচনালগ্ন খেকেই
মানুষের মধ্যে এই বৈশিষ্টটি বিদ্যমান। তাই জীবনে চাওয়া আছে, পাওয়া আছে; কিন্তু এই চাওয়া-পাওয়া অসীম। সে যে কী চায়, মাঝে মাঝে সে নিজেও জানে না। তাই মানুষ কাম্য বস্তুর প্রাপ্তি দ্বারা কখনো আত্মতৃপ্তি লাভ করতে পারে না। কারণ একবার মানুষ যা চায় তা পেয়ে গেলে নতুন করে আরো কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগে। জীবনের এই অফুরন্ত চাওয়ার পরে সে না পাওয়ার হতাশায় ভোগে। কেননা এই অসীম চাওয়াকে পূরণ করা একেবারে অকল্পনীয়। তাই চাওয়া পাওয়ার এই জগতে মানুষ যা চায় তা পাওয়ার পর তার কাছে মনে হয় ভুল করে চেয়েছিল। তাই মানুষের কাছে এই অসীম চাওয়া-পাওয়া ভুল মনে হলেও আসলে তা ভুল নয়। এটাই বাস্তব আর এটাই মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। তাই এ ক্ষেত্রে ক্যালভিন ওরেন এর উক্তিটি যথার্থ সার্থকতা লাভ করে- “মানবজীবন চিরদিনই সুখ-শান্তিতে কাটে না। আকাশের দিকে হাত বাড়ালে শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। চাওয়া-পাওয়ার গন্ডি তাই মাটির কাছাকাছি হওয়া ভালো।” তাই মানুষ যদি সীমিত চাওয়া-পাওয়ার অভ্যস্ত হয় তাহলে সহজেই না পাওয়ার দুঃখগুলো দূর করা সম্ভব। এতে অপ্রাপ্তির বেদনা যেমন দূর হবে, পাওয়ার আনন্দগুলো আরো বেশি বিকশিত হবে।
মানুষের মধ্যে এই বৈশিষ্টটি বিদ্যমান। তাই জীবনে চাওয়া আছে, পাওয়া আছে; কিন্তু এই চাওয়া-পাওয়া অসীম। সে যে কী চায়, মাঝে মাঝে সে নিজেও জানে না। তাই মানুষ কাম্য বস্তুর প্রাপ্তি দ্বারা কখনো আত্মতৃপ্তি লাভ করতে পারে না। কারণ একবার মানুষ যা চায় তা পেয়ে গেলে নতুন করে আরো কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগে। জীবনের এই অফুরন্ত চাওয়ার পরে সে না পাওয়ার হতাশায় ভোগে। কেননা এই অসীম চাওয়াকে পূরণ করা একেবারে অকল্পনীয়। তাই চাওয়া পাওয়ার এই জগতে মানুষ যা চায় তা পাওয়ার পর তার কাছে মনে হয় ভুল করে চেয়েছিল। তাই মানুষের কাছে এই অসীম চাওয়া-পাওয়া ভুল মনে হলেও আসলে তা ভুল নয়। এটাই বাস্তব আর এটাই মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। তাই এ ক্ষেত্রে ক্যালভিন ওরেন এর উক্তিটি যথার্থ সার্থকতা লাভ করে- “মানবজীবন চিরদিনই সুখ-শান্তিতে কাটে না। আকাশের দিকে হাত বাড়ালে শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। চাওয়া-পাওয়ার গন্ডি তাই মাটির কাছাকাছি হওয়া ভালো।” তাই মানুষ যদি সীমিত চাওয়া-পাওয়ার অভ্যস্ত হয় তাহলে সহজেই না পাওয়ার দুঃখগুলো দূর করা সম্ভব। এতে অপ্রাপ্তির বেদনা যেমন দূর হবে, পাওয়ার আনন্দগুলো আরো বেশি বিকশিত হবে।
শিক্ষা: চাওয়া-পাওয়ার চিরন্তন দ্বন্দ্বের মধ্যে মানব হৃদয়ের বসবাস। এই পাওয়া না পাওয়ার অর্ন্তদ্বন্দ্বই মানুষকে ভুল পথে নিয়ে গেলেও বিবর্তনশীল দ্বন্দ্বের অবসানে বিকশিত হয় মানুষের জীবন। অর্থ্যাৎ মানুষের চাওয়া-পাওয়া সীমিত হওয়াই শ্রেয়।
No comments