151. যার যোগ্যতা যত অল্প, তার আড়ম্ভর তত বেশি ।
জ্ঞানার্জনের কোনো বাঁধা-ধরা সীমা নেই। আধুনিক পৃথিবীর সাথে তালমিলিয়ে চলতে গিয়ে, মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেকে আরো বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন করে তোলার চেষ্টা করছে। আধুনিক পৃথিবীর যোগ্যতম মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার এই প্রচেষ্টায় কেবলমাত্র ব্যক্তি নিজেই নয় বরং সমাজ, দেশ ও জাতি সমানভাবে উপকৃত হয়। কিন্তু তাই বলে মহৎ ব্যক্তিরা কখনোই নিজের যোগ্যতাকে বড় করে
প্রচার করার প্রয়োজন মনে করে না। তারা নিজেকে নিয়ে কোনরকম গর্ব বা অহংকারও করে না। অন্যদিকে কিছু মানুষ আছে যাদের যোগ্যতা অতি সামান্য কিন্তু তারা অন্যের সামনে নিজের যোগ্যতাকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করে। এ ধরণের মানুষ দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এরা নিজেদের অযোগ্যতাকে গোপন রাখতে মিথ্যার পর মিথ্যা বলে যায়। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তারা নিজেদের যোগ্য বলে প্রচার করেই ক্ষান্ত হয় না বরং সমাজের উঁচু পদে আসীন হতেও দ্বিধা করে না। এ ধরণের মানুষেরা একজন হাতুড়ে ডাক্তার হয়েও নিজেকে অভিজ্ঞ বলে দাবি করে; যার ফলে অসংখ্য রোগীর জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ সকল নিকৃষ্ট, হীনচিত্তের মানুষেরা সমাজের কাছ থেকে নাম কিনতে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু তার এই মিথ্যা আত্মপ্রচার যে সমাজের ক্ষতিসাধন করছে সেটি সে ভেবে দেখে না। তবে আশার কথা এই যে, এসব মানুষ তাদের মিথ্যা যোগ্যতার অহংকার নিয়ে বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। ভিত্তিহীন প্রচারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের জন্য তারা সমাজের মধ্যমণি হয়ে উঠলেও, খুব শিগগিরই তাদের মিথ্যার প্রাসাদ ভেঙে পড়ে। মূলত নিজের অযোগ্যতা ধরা পড়ে যাবার ভয়েই তারা ক্রমাগত আত্মপ্রচারে ব্যস্ত থাকে। যে প্রকৃতই অযোগ্য সে সব সময় আতঙ্কে থাকে কোথায় তার অযোগ্যতা ধরা পড়ে যায়। আর এই ভয়ের কারণেই সে সারাক্ষণ লোকের কাছে নিজেকে জাহির করে বেড়ায়। বস্তুত যারা অলস, অধ্যাবসায় ও শ্রম বিমুখ, নিকৃষ্ট ও হীন চিন্তার অধিকারী তারাই আত্মপ্রচারে সচেষ্ট থাকে। আর এসব আত্মপ্রচারসর্বস্ব ব্যক্তি নিজের অযোগ্যতাকে ধামাচাপা দিতে লোকের কাছে নিজেকে গুণী ও মহৎ ব্যক্তিরূপে প্রচার করে বেড়ায়।
প্রচার করার প্রয়োজন মনে করে না। তারা নিজেকে নিয়ে কোনরকম গর্ব বা অহংকারও করে না। অন্যদিকে কিছু মানুষ আছে যাদের যোগ্যতা অতি সামান্য কিন্তু তারা অন্যের সামনে নিজের যোগ্যতাকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করে। এ ধরণের মানুষ দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এরা নিজেদের অযোগ্যতাকে গোপন রাখতে মিথ্যার পর মিথ্যা বলে যায়। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তারা নিজেদের যোগ্য বলে প্রচার করেই ক্ষান্ত হয় না বরং সমাজের উঁচু পদে আসীন হতেও দ্বিধা করে না। এ ধরণের মানুষেরা একজন হাতুড়ে ডাক্তার হয়েও নিজেকে অভিজ্ঞ বলে দাবি করে; যার ফলে অসংখ্য রোগীর জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ সকল নিকৃষ্ট, হীনচিত্তের মানুষেরা সমাজের কাছ থেকে নাম কিনতে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু তার এই মিথ্যা আত্মপ্রচার যে সমাজের ক্ষতিসাধন করছে সেটি সে ভেবে দেখে না। তবে আশার কথা এই যে, এসব মানুষ তাদের মিথ্যা যোগ্যতার অহংকার নিয়ে বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। ভিত্তিহীন প্রচারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের জন্য তারা সমাজের মধ্যমণি হয়ে উঠলেও, খুব শিগগিরই তাদের মিথ্যার প্রাসাদ ভেঙে পড়ে। মূলত নিজের অযোগ্যতা ধরা পড়ে যাবার ভয়েই তারা ক্রমাগত আত্মপ্রচারে ব্যস্ত থাকে। যে প্রকৃতই অযোগ্য সে সব সময় আতঙ্কে থাকে কোথায় তার অযোগ্যতা ধরা পড়ে যায়। আর এই ভয়ের কারণেই সে সারাক্ষণ লোকের কাছে নিজেকে জাহির করে বেড়ায়। বস্তুত যারা অলস, অধ্যাবসায় ও শ্রম বিমুখ, নিকৃষ্ট ও হীন চিন্তার অধিকারী তারাই আত্মপ্রচারে সচেষ্ট থাকে। আর এসব আত্মপ্রচারসর্বস্ব ব্যক্তি নিজের অযোগ্যতাকে ধামাচাপা দিতে লোকের কাছে নিজেকে গুণী ও মহৎ ব্যক্তিরূপে প্রচার করে বেড়ায়।
শিক্ষা: নিজের অযোগ্যতাকে ঢেকে রেখে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সেসব ব্যক্তি নিজেকে যোগ্য বলে প্রচার করে সেসব ব্যক্তিরা সমাজের জন্য সব সময়ই অকল্যাণ বয়ে আনে। এ ধরণের মানুষকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন এবং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দখল করা উঁচু পদগুলো থেকে তাদেরকে অপসারণ করে প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তির হাতে দায়িত্ব তুলে দেয়া আমাদের কর্তব্য।
No comments