150. যারে তুমি নিচে ফেল, সে তোমারে বাঁধিছে যে নিচে, পশ্চাতে রেখেছ যারে, সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।

মানুষ সামাজিক জীব। পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে এটাই কাম্য। কিন্তু আমাদের সমাজের দিকে তাকালে দেখা যায় ভিন্নরকম চিত্র। সমাজ নানা শ্রেণীতে বিভক্ত। ধন-সম্পদ, মান-মর্যাদা, ধর্ম-বর্ণ প্রভৃতিকে মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে নানা স্তরের
আবির্ভাব হয়েছে। সমাজের উচ্চ স্তরে যারা অবস্থান করছে তারা সবসময় অপেক্ষাকৃত নিচু স্তরের মানুষের উপর নির্যাতন চলায়, তাদেরকে নিচু স্তরেই বেঁধে রাখতে চায়, উপরে উঠতে দেয় না। নির্যাতন শোষণের ফলে নিম্নশ্রেণির মানুষেরা তাদের নিজেদের উন্নতি ঘটাতে পারে না। এতে শুধু বিশেষ কোনো শ্রেণি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা নয়। প্রকৃতপক্ষে গোটা দেশ জাতির উন্নতিই ব্যাহত হয়। কেননা একটি দেশ জাতির উন্নতির জন্য দরকার সর্বস্তরের মানুষের সুষম উন্নয়ন। এদিকে পিছনে পড়া শ্রেণিও চুপ করে থাকে না। ক্রমাগত অবহেলার শিকার হতে হতে এক সময় তাদের মনে সচেতনতা আসে। তাদের প্রতিবাদী সত্ত্বার স্ফূরণ ঘটতে থাকে। একসময় তারা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। যারা তাদের পশ্চাদপদতার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। যারা তাদের নিচে আটকে রাখে তাদের পেছন থেকে টানতে থাকে। ফলে সমাজে পরস্পরকে পেছনে ফেলার একটি অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিযোগিতা সবসময়ই চলতে থাকে। প্রতিযোগিতা কখনই কাম্য নয়। ইতিহাসে দেখা যায় পারস্পরিক অসহযোগিতার কারণে অনেক দেশ জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে
শিক্ষা: সর্বদা একে অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে শেষ পর্যন্ত কারও পক্ষেই উন্নতি করা সম্ভব হবে না। তাই সবার মধ্যে সাহায্য-সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলা উচিত

No comments

Powered by Blogger.