103. প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
পৃথিবীর সকল প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন মহান সৃষ্টিকর্তা। তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে। এই শ্রেষ্ঠত্বের কারণ মানুষের প্রাণ ছাড়াও রয়েছে মন ও বুদ্ধিমত্তা। গাছপালা, পশুপাখি ও অন্যান্য প্রাণীর শুধু প্রাণ আছে। তারা খাদ্য সংগ্রহ করে, বেড়ে উঠে, পূর্ণতা লাভ করে ও বংশবিস্তার করে। এতে তাদের কোনো কৃতিত্ব নেই। অনেক প্রাণী যথেষ্ট বুদ্ধিসম্পন্ন হলেও তাদের মন নেই। তারা ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করতে পারে না। কিন্তু মানুষ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে পশুপাখির
মতো জীবনধারণ করলে প্রকৃত মানুষ হতে পারে না। মানব মনের বিকাশের মাধ্যমে মনুষ্যত্ব নামক মহৎ গুণাবলি অর্জন করতে হয়। মন ও হৃদয় আছে বলেই মানুষ বিবেকবোধের অধিকারী হয়। ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়ের বিচার করতে পারে। মনের সৎ চিন্তা, আবেগ ও প্রেম জীবনকে পূর্ণতা দেয়। মনের শক্তির জোরেই মানুষ বিজ্ঞান, সভ্যতা ও সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে উড়িয়েছে বিজয় পতাকা। মননশক্তি ও মনুষ্যত্ব অর্জনের মাধ্যমেই মানুষ সকল প্রাণীর উপর স্থান পেয়েছে। এই মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হলে মনকে নির্লোভ, সংযমী, অহিংস ও মঙ্গলকামী করে তুলতে হয়। এজন্য মানুষকে অনেক প্রচেষ্টা, জ্ঞানসাধনা ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। মানবিক গুণাবলি মানুষকে পশুত্ব থেকে মুক্তি দেয়। একজন সত্যিকারের মানুষ অসহায়কে সাহায্য করে, সহানুভূতি দেখায়। দেশ, জাতি ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে। সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়নিষ্ঠা ও বিবেকবোধ প্রভৃতি সদগুণ মানুষকে সম্মানিত করে। এসব গুণাবলি অর্জন ছাড়া মানুুষ প্রকৃত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে না।
মতো জীবনধারণ করলে প্রকৃত মানুষ হতে পারে না। মানব মনের বিকাশের মাধ্যমে মনুষ্যত্ব নামক মহৎ গুণাবলি অর্জন করতে হয়। মন ও হৃদয় আছে বলেই মানুষ বিবেকবোধের অধিকারী হয়। ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়ের বিচার করতে পারে। মনের সৎ চিন্তা, আবেগ ও প্রেম জীবনকে পূর্ণতা দেয়। মনের শক্তির জোরেই মানুষ বিজ্ঞান, সভ্যতা ও সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে উড়িয়েছে বিজয় পতাকা। মননশক্তি ও মনুষ্যত্ব অর্জনের মাধ্যমেই মানুষ সকল প্রাণীর উপর স্থান পেয়েছে। এই মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হলে মনকে নির্লোভ, সংযমী, অহিংস ও মঙ্গলকামী করে তুলতে হয়। এজন্য মানুষকে অনেক প্রচেষ্টা, জ্ঞানসাধনা ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। মানবিক গুণাবলি মানুষকে পশুত্ব থেকে মুক্তি দেয়। একজন সত্যিকারের মানুষ অসহায়কে সাহায্য করে, সহানুভূতি দেখায়। দেশ, জাতি ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে। সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়নিষ্ঠা ও বিবেকবোধ প্রভৃতি সদগুণ মানুষকে সম্মানিত করে। এসব গুণাবলি অর্জন ছাড়া মানুুষ প্রকৃত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে না।
শিক্ষা: মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সাধনা হলো মনুষ্যত্ব অর্জনের সাধনা, এর মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব। মানুষকে প্রাণিকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে হলে তার চিন্তাচেতনা, মানবিক গুণাবলি, মহৎকর্ম প্রভৃতির উৎকর্ষ সাধন করতে হবে।
No comments