87. নানান দেশের নানান ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা ?

স্বদেশি ভাষা বলতে সাধারণত নিজস্ব ভাষা বা মাতৃভাষাকেই বুঝানো হয়। বিশ্বের প্রতিটি জাতিরই নিজস্ব ভাষা আছে। সেই ভাষার মাধ্যমেই মনের ভাব প্রকাশ করে। প্রতিটি শিশুই পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে। বড় হয়ে মাতৃভাষায় তার মনের ভাব আদান-প্রদান করে। এজন্যই মাতৃভাষা সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠে। আমরা বাঙালি বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। আবার পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দেয়
না। অনেকে আবার ব্যক্তিগতভাবে বিদেশি ভাষায় বিদ্যা চর্চায় উৎসাহী হয়। কিন্তু বিদেশি ভাষা তাদের মনে তৃপ্তি দিতে পারে না। মায়ের বুকের দুধ ছাড়া যেমন শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ হয় না। মাতৃভাষা ছাড়াও তেমনি মানুষ তার মনের ভাব পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করতে পারে না। প্রসঙ্গে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের কথা বলা যায়। তিনি মাতৃভাষাকে অবহেলা করে ইংরেজি সাহিত্য চর্চা শুরু করেছিলেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি। শেষে স্বদেশি ভাষায় সাহিত্য চর্চায় খ্যাতি অর্জন করেন। বিখ্যাত ভাষাপন্ডিত. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন- ‘মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমি তিনটি মানুষের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু।যে জাতি তাদের ভাষা সম্পর্কে সচেতন সে জাতির দেশ সংস্কৃতি অনেক উন্নত। জাতীয় আন্তর্জাতিক ভাবে বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলার ক্ষেত্রে বিদেশি ভাষা সম্পর্কিত জ্ঞান আবশ্যক। তথাপি স্বদেশি ভাষা বা মাতৃভাষার সঠিক চর্চা এবং সর্বস্তরে এর প্রয়োগ না করা যেকোনো জাতির উন্নয়ন অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায়
শিক্ষা: মাতৃভাষার উন্নতি ছাড়া কোনো জাতির স্বাভাবিক বিকাশ জাতীয় উন্নতি সম্ভব নয়। তাই মাতৃভাষায় পূর্ণ জ্ঞান লাভ করার পাশাপাশি বিদেশি ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন

No comments

Powered by Blogger.