52. গাইতে গাইতে গায়েন আর বাজাতে বাজাতে বায়েন।

মানবজীবন কর্মময়। কর্মক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ মেলে তার কর্মকুশলতার সফলতার মধ্যে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সর্বদাই সফলতা আসে না। ব্যর্থতাও মানবজীবনের একটি অংশ। কোনো কাজে ব্যর্থ হয়ে নিশ্চল নির্জীব হয়ে কর্মপ্রচেষ্টা মনোবল হারানো ঠিক নয়। অসীম সাহস কর্মোদ্যম নিয়ে একনিষ্ঠ সাধনার দ্বারা সামনে এগিয়ে যেতে হয়। তাহলে জীবনের কোনো বাঁধাই কখনো টিকতে পারবে না। আর তাই জীবনে সাফল্য
দক্ষতা অর্জনের জন্য চাই অনুশীলন। একজন সঙ্গীত শিল্পী তার দীর্ঘ, নিরলস কণ্ঠ সাধনা বা সঙ্গীত সাধনার মাধ্যমে মানুষের ভাবাবেগ স্পর্শ করতে সমর্থ হয়। মানুষের কাছে খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মানুষ তাঁকে আর তার গানকে চিরদিন মনে রাখে। তেমনি একজন খ্যাতিমান বাদ্যযন্ত্রশিল্পী তাঁর বাদ্যযন্ত্রের বাজনার ঝংকার তুলে মানব মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বাজনার দ্বারা মানব হৃদয়কে আনন্দিত খুশি করতে তাকে বারবার বাদ্যযন্ত্র বাজানোর অনুশীলন করতে হয়। তাই কোনো কাজ সুষ্ঠু সুচারুরূপে সম্পন্ন করে মানব হৃদয়ে স্থান পেতে একনিষ্ট সাধনা অনুশীলন প্রয়োজন। জীবন সংসারে প্রতিটি ক্ষেত্রে মহত্ত্ব, খ্যাতি সাফল্য লাভের পূর্বশর্তই হলো চৎধপঃরপব বা অনুশীলন। এর বিকল্প কোনো কিছুই নেই। নিবিড় চর্চা অনুশীলনের মাধ্যমেই একজন মানুষ নিজ কর্মক্ষেত্রে যথার্থতা পরিপূর্ণতা লাভ করে। পৃথিবীর মহান ব্যক্তিগণ তাঁদের জীবনে পূর্ণতা প্রাপ্তির জন্য পুনঃঅনুশীলনকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। কোনো কাজে ব্যর্থ হয়ে মনোবল হারানো ঠিক নয়। কবি কালী প্রসন্ন ঘোষ বলেছেন- ‘একবার না পারিলে দেখ শতবার।তাই জীবনে মহত্ত্ব আর সাফল্য অর্জনের পথে ব্যর্থতার ধাক্কায় স্থবির হওয়া ঠিক নয়। আন্তরিক প্রচেষ্টা, কঠোর পরিশ্রম দৃঢ় মনোবলের সাথে বারবার অনুশীলন কাজকে নির্ভুল করে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পরিপূর্ণতা আনে। সুন্দর সাফল্যমন্ডিত জীবনের জন্য সাধনা অনুশীলনের বিকল্প নেই
শিক্ষা: একনিষ্ঠ সাধনা বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে মানবজীবনের কন্টকাকীর্ণ পথের সকল বাধাবিপত্তিকে অতিক্রম করে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহন সম্ভব

No comments

Powered by Blogger.