50.গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু।
এ বিশ্বজগত স্থিতিশীল নয়। অনন্তকাল ধরে এটি তার আপন নিয়মে চলছে। যেদিন এর ব্যত্যয় ঘটবে সেদিন মহাপ্রলয় সংগঠিত হবে। এ বিশ্বজগতের মতো মানুষের জীবনও চলমান। এই চলমান জীবনে বেঁচে থাকতে হলে মানুষকে প্রতি পদে পদে সংগ্রাম করতে হয়। কঠোর পরিশ্রম ও সংগ্রাম মানুষকে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌছে দেয়। নদী যখন বয়ে চলে তখন তার বুকে ময়লা আবর্জনা জমে না। কিন্তু যদি নদীর গতি
রোধ করা হয় তাহলে নদীটি ছোট হয়ে যেতে থাকে। এবং এক সময় এটি বিলীন হয়ে যায়। বিবর্তনবাদের জনক বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন বলেছেন- “প্রকৃতির জগতে যে অধিকতর যোগ্য সেই টিকে থাকবে।” অর্থাৎ সকল বাধা বিপত্তিকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে যারা এগিয়ে যেতে পারে তারাই প্রকৃত পরিশ্রমী। তাদের হাতেই রয়েছে সাফল্যের চাবিকাঠি। আর যারা অলস, কর্মহীন তারা জড় পদার্থের মতো। এরা সমাজ সভ্যতার কোনো উপকারতো করেই না বরং গতিশীল জীবনকে ব্যাহত করে। কর্মহীন জীবন মৃত্যুরই নামান্তর। সুতরাং গতিশীলতা ছাড়া মানবজীবন যথার্থ পরিচয় বহন করে না। গতিশীলতাই মানুষের সকল কর্মকে সফল করে তোলে। মৃত্যু অবধি মানুষ এই গতিশীলতাকে পুঁজি করে জীবন পরিচালনা করে এবং সাফল্য লাভ করে।
শিক্ষা: ব্যক্তিজীবন ও জাতীয় জীবন উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতির চাবিকাঠি গতিময়তা। যে জাতি পরিশ্রমী সে জাতির উন্নতি অগ্রগতি কেউ রুখতে পারে না। তাই কর্মহীন জীবন কখনোই কাম্য হতে পারে না।
No comments