148. যত বড় হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা আমি ভালবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা।

মানুষ রূপ বৈচিত্র্যে ভরা মাটির পৃথিবীর সন্তান। প্রকৃতির নদী-নালা, লতা-পাতা, ফুল-ফল, পাখি এসব নিয়েই তার পরিবেশ। এখানেই তার অভ্যস্ত জীবনযাত্রা অব্যাহত গতিতে এগিয়ে চলছে। কিন্তু মানুষ স্বপ্ন বিলাসীও। অধরার সৌন্দর্যকে নিয়ে তার কল্পনা-বিলাসের অন্ত নেই। দূরের আকাশে সাতরঙের বিচিত্র
ছটায় ইন্দ্রধনু দেখা যায়। তার সৌন্দর্য মানুষের স্বপ্নচারী মনকে হাতছানি দেয়। কিন্তু যা ধরা- ছোঁয়ার বাইরে তা যত বড় বা যত সুন্দরই হোক না তা মানুষের স্পর্শের বাইরে। তার চেয়ে আকর্ষণীয় প্রতিদিনের এই চিরপরিচিত ধূলিমাখা পৃথিবী। কারণ অনেক দূরের বস্তু যতই মনোমুগ্ধকর হোক না কেন, বাস্তবজীবনের সাথে তার কোনো যোগ নেই। তাকে কখনোই আপন করে পাওয়া যায় না। অন্যদিকে, ছোট প্রজাপতি তার বিচিত্র রঙের পাখা নিযে মানুষের চার পাশে উড়ে বেড়ায়। মানুষ সহজেই খুব কাছ থেকে তার সৌন্দর্য উপভোগ করে। মনে হয় অপরূপ সৌন্দর্যের আধার এই প্রজাপতি। তাই মানুষ দূরের রংধনুর সৌন্দর্যের চেয়ে প্রজাপতির সৌন্দর্যে বেশি মুগ্ধ হয়, ভালোবাসে সে তার গৃহের নিকটে ফুটে থাকা নানান বর্ণের ফুল, ভোরের শিশির বিন্দু আর পাখির কলকাকলি। যেন প্রকৃতি-জননীর নিজের হাতে সাজিয়ে রাখা অন্তহীন সৌন্দর্য। প্রকৃত সৌন্দর্য প্রেমিকরা অলীক সৌন্দর্যের মিথ্যা মায়ায় ডুবে থাকে না। বরং ভালোবাসে চারপাশের বিশ্ব প্রকৃতির সৌন্দর্যকে। আর তারাই তো সৌন্দর্যের সত্যিকার সাধক
শিক্ষা: অধরা কিছু পাওয়ার দুরাশা না করে হাতের কাছে যা আছে তা নিয়েই খুশি থাকা উত্তম। কারণ বাস্তব আর কল্পনার মাঝে রয়েছে বিশাল ব্যবধান। তাই প্রতিটি মানুষেরই উচিত আকাশ কুসুম কল্পনা না করে, সাধ সাধ্যের মধ্যে সংগতি বজায় রেখে পথ চলা

No comments

Powered by Blogger.