204. দু:খের মতো এত বড় পরশ পাথর আর নেই।
এ পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জীবনে রয়েছে সুখ-দুঃখের সহাবস্থান। একটিকে ছাড়া অন্যটিকে মানুষ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারে না। দুঃখের সংস্পর্শে না এলে মানুষের স্বীয় সত্তা ও অন্তর শক্তি সঠিকভাবে জাগ্রত হয় না। দুঃখের পরশেই মানুষের সকল দৈন্য দূর করে তাকে খাঁটি মানুষের পরিণত করে।
সুখ বিলাসী মানুষের জীবনের সারবত্তা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে না। দুঃখে পড়লে মানুষ সুখের যথার্থ মর্ম বুঝতে পারে, জীবনের প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করতে পারে। দুঃখের দরুণ দহন শেষে মানুষর জীবনে যে সুখ আসে তা অনাবিল ও অতুলনীয়। দুঃখই পারে মানুষের অন্তর্নিহিত মনুষ্যত্ব ও বিবেককে জাগ্রত করতে ও মানুষকে খাঁটি মানুষে পরিণত করতে। দুঃখ মোকাবেলা করার শক্তি দিয়েই মানুষ আপন শক্তির পরিচয় দিতে পারে। পৃথিবীতে মহত্ কিছু অর্জন করতে হলে দুঃখ সইতে হয়। প্রবাদে আছে-"কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলে না"অর্থাত্ কষ্টছাড়া কেউ জীবনে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছতে পারে না। তাই পৃথিবীতে মনীষীরা দুঃখকে তুলনা করেছেন পরশপাথরের সঙ্গে। পরশপাথরের ছোঁয়ায় লোহা যেমন স্বর্ণপিণ্ডে রূপান্তরিত হয়, দুঃখও তেমনি মানুষের জীবনকে নতুনরূপ দেয়, সকল ক্লেদ ও গ্লানি থেকে মুক্ত ও নির্মল করে। দুঃখ-কষ্ট ও ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া জীবনের স্বর্ণশিখরে আরোহণ অসম্ভব।
সুখ বিলাসী মানুষের জীবনের সারবত্তা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে না। দুঃখে পড়লে মানুষ সুখের যথার্থ মর্ম বুঝতে পারে, জীবনের প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করতে পারে। দুঃখের দরুণ দহন শেষে মানুষর জীবনে যে সুখ আসে তা অনাবিল ও অতুলনীয়। দুঃখই পারে মানুষের অন্তর্নিহিত মনুষ্যত্ব ও বিবেককে জাগ্রত করতে ও মানুষকে খাঁটি মানুষে পরিণত করতে। দুঃখ মোকাবেলা করার শক্তি দিয়েই মানুষ আপন শক্তির পরিচয় দিতে পারে। পৃথিবীতে মহত্ কিছু অর্জন করতে হলে দুঃখ সইতে হয়। প্রবাদে আছে-"কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলে না"অর্থাত্ কষ্টছাড়া কেউ জীবনে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছতে পারে না। তাই পৃথিবীতে মনীষীরা দুঃখকে তুলনা করেছেন পরশপাথরের সঙ্গে। পরশপাথরের ছোঁয়ায় লোহা যেমন স্বর্ণপিণ্ডে রূপান্তরিত হয়, দুঃখও তেমনি মানুষের জীবনকে নতুনরূপ দেয়, সকল ক্লেদ ও গ্লানি থেকে মুক্ত ও নির্মল করে। দুঃখ-কষ্ট ও ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া জীবনের স্বর্ণশিখরে আরোহণ অসম্ভব।
পৃথিবীর বহু মনীষী দুঃখকে অন্তর দিয়ে অনুভব করেছিলন, দুঃখ বরণ করে নিয়েছিলেন বলেই আজও তাঁরা স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে আছেন। মহানবী হযরত মোহাম্মদ(স:), যীশু খ্রিস্ট, গৌতম বুদ্ধ প্রমুখ মহান ধর্মবেত্তা দুঃখকে জয় করে খাঁটি মানুষে পরিণত হয়েছিলেন, কাজ করে ছিলেন সমগ্র মানব জাতির জন্য। বস্তুত মানুষের মনুষ্যত্ব ও অন্তর্নিহিত গুণাবলীর বিকাশের জন্য দুঃখ মানুষের জীবনে পরশপাথরের মতোই কাজ করে।
বাংলা ভাবসম্প্রসারণ
নিচে থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ভাবসম্প্রসারণটি ক্লিক করুন বিস্তারিত দেখতে পাবেন-
No comments