158. যে নদী হারায়ে স্রোত চলিতে না পারে, সহস্র শৈবালদাম বাঁধে আসি তারে। যে জাতি জীবন হারা অচল, অসাড় পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।
আমাদের পৃথিবী ও মানবসভ্যতা টিকে রয়েছে তার গতির জন্য। পৃথিবী অনবরত ঘুরছে সূর্যের চারদিকে। যদি পৃথিবী গতিশীল না হত, তাহলে পৃথিবীতে দিন-রাত্রি সংঘটিত হত না। এতে পৃথিবী থেকে প্রাণের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেত। আবার গতি বা স্রোত রয়েছে বলেই নদী শুকিয়ে যায় না। নদীর গৌরব তার ছুটে চলার
মধ্যেই নিহিত। স্রোতই বাঁচিয়ে রাখে নদীকে। নদী তার আপন বেগে চির-চঞ্চল। কিন্তু যদি কোনো কারণে তার স্রোত থেমে যায় তবে সে আপন গৌরব হারায়। তখন নদীর বুকে জন্মায় শৈবাল, নদী হারায় তার সহজাত বৈশিষ্ট্য। নদীর মতোই একটি জাতির গৌরব নির্ভর করে তার চলমানতার ওপর। যদি কোনো জাতি তার উদ্যম, প্রাণবন্ততা হারিয়ে ফেলে, সেই জতি তার অগ্রসরতার পথ থেকে বিচ্যুত হয়। কোনো দেশের নাগরিক যখন চিন্তা-চেতনা, মননশীলতা কর্মোদ্যম হারিয়ে ফেলে তখন তারা পদে পদে ব্যর্থ হয়। পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে না পারলে, সে জাতি স্থবির হয়ে পড়ে। উন্নতিও সে জাতির জন্য অধরা হয়ে যায়। জাতীয় জীবনে নিশ্চলতার সুযোগে নানা কুসংস্কার ও জরাজীর্ণ লোকাচার বাসা বাঁধে। আর নিশ্চল ও গতিহীন জাতি কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাসে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। ক্রমে সে জাতি উন্নয়নের পথ থেকে দূরে সরে যায়। কিন্তু স্বাধীন চিন্তা এবং বুদ্ধিতে যে জাতি প্রতিনিয়তই পরিবর্তনশীল, সে জাতিকে কোনো বাধা-বিপত্তিই অচল করতে পারে না। প্রত্যেকটি উন্নত জাতির সফলতার পেছনে রয়েছে নতুন, পরিবর্তন ও আধুনিকতাকে গ্রহণ করার মানসিকতা ও উদ্যম। অপ্রয়োজনীয় পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে উদ্ভাবনী শক্তির দ্বারা সামনে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেই একটি জাতির সার্থকতা নির্ভর করে। স্বাধীন চিন্তা-চেতনা না থাকা, উন্নত ধ্যান-ধারণার অভাব, নতুনকে গ্রহণ না করা, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারার কারণে পৃথিবী থেকে অনেক সভ্যতাই হারিয়ে গেছে। বর্তমান আধুনিক বিশ্বে তথ্য-প্রযুক্তি একটি বিশাল উদ্ভাবন। এর সাথে যে জাতি তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না, তারা নিশ্চল হবে, পিছিয়ে পড়বে সভ্যতার অগ্রযাত্রার থেকে।
মধ্যেই নিহিত। স্রোতই বাঁচিয়ে রাখে নদীকে। নদী তার আপন বেগে চির-চঞ্চল। কিন্তু যদি কোনো কারণে তার স্রোত থেমে যায় তবে সে আপন গৌরব হারায়। তখন নদীর বুকে জন্মায় শৈবাল, নদী হারায় তার সহজাত বৈশিষ্ট্য। নদীর মতোই একটি জাতির গৌরব নির্ভর করে তার চলমানতার ওপর। যদি কোনো জাতি তার উদ্যম, প্রাণবন্ততা হারিয়ে ফেলে, সেই জতি তার অগ্রসরতার পথ থেকে বিচ্যুত হয়। কোনো দেশের নাগরিক যখন চিন্তা-চেতনা, মননশীলতা কর্মোদ্যম হারিয়ে ফেলে তখন তারা পদে পদে ব্যর্থ হয়। পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে না পারলে, সে জাতি স্থবির হয়ে পড়ে। উন্নতিও সে জাতির জন্য অধরা হয়ে যায়। জাতীয় জীবনে নিশ্চলতার সুযোগে নানা কুসংস্কার ও জরাজীর্ণ লোকাচার বাসা বাঁধে। আর নিশ্চল ও গতিহীন জাতি কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাসে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। ক্রমে সে জাতি উন্নয়নের পথ থেকে দূরে সরে যায়। কিন্তু স্বাধীন চিন্তা এবং বুদ্ধিতে যে জাতি প্রতিনিয়তই পরিবর্তনশীল, সে জাতিকে কোনো বাধা-বিপত্তিই অচল করতে পারে না। প্রত্যেকটি উন্নত জাতির সফলতার পেছনে রয়েছে নতুন, পরিবর্তন ও আধুনিকতাকে গ্রহণ করার মানসিকতা ও উদ্যম। অপ্রয়োজনীয় পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে উদ্ভাবনী শক্তির দ্বারা সামনে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেই একটি জাতির সার্থকতা নির্ভর করে। স্বাধীন চিন্তা-চেতনা না থাকা, উন্নত ধ্যান-ধারণার অভাব, নতুনকে গ্রহণ না করা, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারার কারণে পৃথিবী থেকে অনেক সভ্যতাই হারিয়ে গেছে। বর্তমান আধুনিক বিশ্বে তথ্য-প্রযুক্তি একটি বিশাল উদ্ভাবন। এর সাথে যে জাতি তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না, তারা নিশ্চল হবে, পিছিয়ে পড়বে সভ্যতার অগ্রযাত্রার থেকে।
শিক্ষা: গতি ও চলমানতা জাতিকে সচল রাখে, স্থিরতা জাতিকে থামিয়ে দেয়। চলমানতা ধরে রাখাই জাতির উন্নয়নে একমাত্র চাবিকাঠি। চলমানতা ও গতিই কোনো জাতিকে পৌঁছে দেয় চূড়ান্ত সফলতার দ্বারপ্রান্তে।
No comments