61.জনগণই সকল ক্ষতার উৎস।
একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রধানত চারটি উপাদানের যথাযথ সমন্বয় প্রয়োজন। উপাদানগুলো হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ভূখন্ড, সার্বভৌমত্ব, সরকার ও জনগণ। কোনো জনগোষ্ঠী যখন একটি নির্দিষ্ট ভূ-খন্ডে একটি নির্দিষ্ট সরকার গঠনের মাধ্যমে তাদের সার্বভৌম ক্ষমতা ব্যবহার করে একটি বৃহত্তর সমাজ গঠন করে তখনই একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী উপাদান হচ্ছে
জনগণ। জনগণই একটি দেশ পরিচালনার জন্য সরকার গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। জনগণের যথাযথ সমর্থন ছাড়া কেউ কখনো ক্ষমতার ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে না। রাষ্ট্রের সরকারই সাধারণ অর্থে সকল ক্ষমতার অধিকারী এবং গোটা রাষ্ট্র শাসনের ভার সরকারের উপরেই ন্যস্ত থাকে। কিন্তু সরকার এই অধিকার লাভ করে জনগণের সহযোগিতা থেকে। জনগণই আসলে সরকারের হাতে রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা অর্পণ করে। আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজে জনগণ আক্ষরিক অর্থেই সকল ক্ষমতার উৎস। তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন ব্যক্তিকে সমর্থন জানায় এবং তার হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে। একটি রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য ব্যক্তি উঠে আসে সাধারণ জনগণের মধ্য থেকেই। ক্ষমতার আসনে থাকাকালীন সরকার জনগণের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা না রেখে কোনো নীতি গ্রহণ করতে পারে না। জনগণের বিরোধিতার মুখে অনেক সময় সরকার তার গৃহীত সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। একটি দেশের জনগণ সর্বদা তাদের নেতা বা সরকার কর্তৃক সম্পাদিত কাজ ও গৃহীত সিদ্ধান্তের গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রাখে। কোনো দেশের সরকার মূলত সেই দেশের সর্বসাধারণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায় জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে। সর্বোপরি জনগণ তাদের সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটায় তাদের সমর্থিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে যারা জনমতের ভিত্তিতে জনকল্যাণার্থে বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করে ও তার বাস্তবায়ন ঘটায়। অতএব সার্বভৌম ক্ষমতার মূল উৎস হচ্ছে একটি দেশের জনগণ।
জনগণ। জনগণই একটি দেশ পরিচালনার জন্য সরকার গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। জনগণের যথাযথ সমর্থন ছাড়া কেউ কখনো ক্ষমতার ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে না। রাষ্ট্রের সরকারই সাধারণ অর্থে সকল ক্ষমতার অধিকারী এবং গোটা রাষ্ট্র শাসনের ভার সরকারের উপরেই ন্যস্ত থাকে। কিন্তু সরকার এই অধিকার লাভ করে জনগণের সহযোগিতা থেকে। জনগণই আসলে সরকারের হাতে রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা অর্পণ করে। আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজে জনগণ আক্ষরিক অর্থেই সকল ক্ষমতার উৎস। তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন ব্যক্তিকে সমর্থন জানায় এবং তার হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে। একটি রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য ব্যক্তি উঠে আসে সাধারণ জনগণের মধ্য থেকেই। ক্ষমতার আসনে থাকাকালীন সরকার জনগণের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা না রেখে কোনো নীতি গ্রহণ করতে পারে না। জনগণের বিরোধিতার মুখে অনেক সময় সরকার তার গৃহীত সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। একটি দেশের জনগণ সর্বদা তাদের নেতা বা সরকার কর্তৃক সম্পাদিত কাজ ও গৃহীত সিদ্ধান্তের গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রাখে। কোনো দেশের সরকার মূলত সেই দেশের সর্বসাধারণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায় জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে। সর্বোপরি জনগণ তাদের সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটায় তাদের সমর্থিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে যারা জনমতের ভিত্তিতে জনকল্যাণার্থে বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করে ও তার বাস্তবায়ন ঘটায়। অতএব সার্বভৌম ক্ষমতার মূল উৎস হচ্ছে একটি দেশের জনগণ।
শিক্ষা: আপাতদৃষ্টিতে সরকার জনগণের ওপর ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটালেও জনগণই মূলত সরকারকে ক্ষমতা প্রদান করে। আবার একমাত্র জনগণই পারে কোনো গণবিরোধী সরকারকে ক্ষমতার আসন থেকে অপসারণ করতে।
No comments