165. রৌদ্রে পুড়ে বৃষ্টিতে সে ভিজে দিবা-রাতি মোদের ক্ষুধার জন্য যোগায়, চায় নাকো সে খ্যাতি।

চাষীরা দেশের সেবক। রোদে পুড়ে ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে তারা ফসল উৎপাদন করে। সে ফসলে আমাদের অন্ন যোগায়। সারা দেশের খাদ্যাভাব দূর করে কৃষকেরা। যদি অকাতরে তারা বিলিয়ে না দিতো, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল না ফলাত তা হলে আমাদের বেঁচে থাকা সম্ভব হতো না। অক্লান্ত পরিশ্রমে নিজের দেহের রক্তকে পানি করে জাতীয় অর্থনীতিকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছে।
কৃষকের উৎপাদিত কাঁচামাল বিদেশে রফতানি করে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয় বৈদেশিক মুদ্রায়, সম্ভব হয় শিল্পায়ন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামজীবন-বন্দনাকবিতায় তাই কৃষকদের সম্পর্কে বলেছেন- ‘গাহি তাহাদের গান, ধরণীর হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান।রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণীচাষীকবিতায় বলেছেন- ‘মুক্তিকামী মহা সাধক মুক্ত করে দেশ, সবারই সে অন্ন যোগায় নাইকো গর্ব লেশ।এই উক্তিটি থেকেই স্পষ্টতই কৃষকদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কঠোর সাধকের মতো কৃষকও কঠিন পরিশ্রম করে সবার জন্য ফসল ফলায়। অর্থাৎ ফসল ফলিয়ে সকলের অন্নসংস্থান করাটা তার সাধনা। কিন্তু সমগ্র মানবজাতির জন্য এত বড়ো উপকার সাধন করেও তার বিন্দুমাত্র অহংকার নেই। তারা জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখে কোনো স্বার্থ গর্ব ছাড়াই
শিক্ষা: কৃষকেরা রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করে দিনরাত পরিশ্রম করে কঠিন মাটির বুকে লাঙ্গল চালিয়ে ফসল উৎপাদন করে। তাদের উৎপাদিত ফসলে ধনী গরীব সকলের অন্ন সংস্থান হয়। তাদের মধ্যে নেই কোনো হিংসা, বিদ্বেষ কিংবা গর্ব। তাদের এসব গুণ মহানুভবতা দেখে আমাদের সকলের উচিত তাদের প্রতি সম্মান দেখানো

No comments

Powered by Blogger.