118. বিশ্রাম কাজেরই অঙ্গ এক সাথে গোঁথা নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা।

মানবজীবন নানা কর্তব্যে পরিপূর্ণ। জীবনে বাঁচার মতো বাঁচতে হলে, সফলতা সুখলাভ করতে হলে মানুষকে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। মানুষ কাজ করে সুখী শান্তিময় জীবন যাপনের জন্য। তবে প্রকৃত সুখ উপভোগ করতে কাজের পাশাপাশি অবসর নিতে হয়। কেননা নিরবচ্ছিন্ন কর্ম-সাধনায় জীবনে নেমে আসে ক্লান্তি, জীবন হয়ে পড়ে একঘেয়ে। কর্মের প্রতি আসে বিরক্তি অনীহা। ফলে
মানুষের কর্ম-সম্পাদন ব্যাহত হয়। এজন্য কর্মের সাথে কর্ম-বিরতি আর কর্মজীবনে অবকাশ থাকেত হবে। চোখের পাতা যেমন চোখের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। চোখের কাজ দৃষ্টিশক্তি দিয়ে পৃথিবীর মনোরম দৃশ্য দেখা। কিন্তু চোখের পাতা চোখকে মাঝে মাঝে বন্ধ করে চোখকে অবসর দেয়। এতে চোখ আরো বেশি দেখার সুযোগ পায়, পৃথিবীর সৌন্দর্যকে নতুনভাবে নতুন আকর্ষণ নিয়ে দেখে। আমরা যদি একটানা কাজ করি। আমাদের দেহ-মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, কর্মক্ষমতা কমে যায়। শরীর তখন বিশ্রাম চায়। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে ক্লান্তি দূর হয়, মন প্রশান্ত হয়, কর্মে নতুন উদ্দীপনা শক্তি ফিরে পাই। নতুন করে কাজে আত্মনিয়োগ করতে সক্ষম হই। জীবনধারণের জন্য মানুষের কর্ম সম্পাদন গুরুত্বপূর্ণ। এদিক থেকে মানুষের জীবন কর্মচক্রের অনিবার্য বন্ধনে আবদ্ধ। বন্ধন থেকে মানুষের মুক্তি নেই। আর কর্মে যদি সফলতা আসে, কর্মের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় তাহলে জীবন হয়ে উঠে সুন্দর মনোরম। কিন্তু বিরতিহীন কর্ম সম্পাদনে মানুষের জীবন হয় দুর্বিষহ। তাই পরিশ্রমের পর নিয়মিত বিশ্রাম মানুষের কর্মময় জীবনে আনে বৈচিত্র্য, কর্মকে করে গতিময়
শিক্ষা: কর্মময় জীবনে কাজের পরপরই বিশ্রাম প্রত্যেক মানুষের দেহ মনে নতুন কর্মশক্তি প্রেরণা জোগায় কাজে সাফল্য আনে। তাই কাজের মধ্যে বিরতি নেয়াকেও গুরুত্ব দিতে হবে

No comments

Powered by Blogger.