58. চন্দ্র কহে, বিশ্বে আলো দিয়েছি ছড়ায়ে কলঙ্ক যা আছে তাহা আছে মোর গায়ে।

পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ হচ্ছে চাঁদ। রাতে আলো ছড়িয়ে চাঁদ পৃথিবীর অন্ধকার দূর করে। সুন্দর, মনোমুগ্ধকর এই চাঁদের বুকেও দাগ রয়েছে, যা তার কলঙ্ক বলে কবি মনে করেন। কলঙ্ক থাকা সত্ত্বেও চাঁদ নিঃস্বার্থভাবে তার আলো বিলিয়ে দেয়। চাঁদের আলোয় গোটা পৃথিবী হয় আলোকিত, তার সৌন্দর্যে চারদিক হয় উদ্ভাসিত। নিজের কলঙ্ককে ছাপিয়ে আলো ছড়ানো যেন ত্যাগেরই মহান শিক্ষা। পৃথিবীতে মহৎ
জ্ঞানী ব্যক্তিরা চাঁদের সমতুল্য। চাঁদের মতো করে মহৎ ব্যক্তিরাও তাদের জ্ঞানের আলোয় সমাজের অন্ধকার দূর করেন। তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা, পরিশ্রম-সাধনায় পৃথিবী এগিয়ে যায়। তারা কখনো নিজের সুখের কথা ভাবেন না। ব্যক্তিগত জীবনে তারা নানা দুঃখ, ক্লেশ, গ্লানি, নিন্দা, কালিমা নীরবে নিঃশব্দে সহ্য করেন। কখনও তা প্রকাশ করেন না। অপরের হিতসাধনে দুঃখ-কষ্টকে তারা স্বীকার করে নেন। নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে অপরের কল্যাণ, পৃথিবীর কল্যাণ সাধনে রত থাকেন। হৃদয়ের বিশালতায় তারা জয় করে নেন সংকীর্ণতা, ক্ষুদ্রতা অশুভকে। পৃথিবীর সকল মহামনীষী ধর্মীয় মহাপুরুষগণ তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। পরহিত সাধনের মাঝে তারা জীবনের সার্থকতা প্রকৃত সুখ খুঁজে পান
শিক্ষা: নিজের সুখ অপরের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার মাঝেই প্রকৃত সুখ মাহাত্ম্য। সকলকেই শিক্ষা নিয়ে মানব সেবায় এগিয়ে আসতে হবে
লেখক: মোঃ আব্দুস সালাম


No comments

Powered by Blogger.