156.যে একা সেই সামান্য, যে একা সেই সামান্য, যার ঐক্য নাই সে তুচ্ছ।
মানুষ সামাজিক জীব। প্রতিনিয়তই তাকে অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়। পৃথিবীতে যে ব্যক্তি একা সে নিঃসঙ্গ এবং অসহায়। মানসিক দিক দিয়ে সে খুব দুর্বল। কঠিন কাজ করতে গিয়ে সে ভেঙ্গে পড়ে। বড় ও বেশি কাজ দেখে একাকী মানুষ ভয় পায়। কাজের স্পৃহা হারিয়ে ফেলে। নিঃসঙ্গ মানুষকে হতাশা আষ্টে-পৃষ্ঠে জরিয়ে রাখে। মানুুষের জীবন সংগ্রামময়। নিঃসঙ্গ মানুষ জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে পারে না। একাকী
মানুষের শক্তি প্রতিকূলতার কাছে তুচ্ছ। আজকের আধুনিক বিশ্বজগতের পেছনে রয়েছে মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য বেছে নিয়েছে ঐক্যবদ্ধ জীবন। সংঘবদ্ধভাবে কাজ করলে অনেক কঠিন কাজ সহজ, অসম্ভব কাজ সম্ভব হয়ে যায়। সমস্ত বৃহৎ ও স্মরণীয় কাজের পেছনে রয়েছে সংঘবদ্ধ মানুষের অক্লান্ত প্রচেষ্টা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা যেমন মহাদেশ গড়ে তোলে, তেমনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠে বৃহত্তর সংঘবদ্ধ কর্ম-শক্তি। যেখানে ঐক্য নেই, সেখানে ব্যর্থতা লুকায়িত থাকে। নিঃসঙ্গ মানুষ জীবন সংগ্রামে চলতে পারে না। পৃথিবীতে অতিক্ষুদ্র প্রাণী পিঁপড়া মৌমাছির মধ্যে ঐক্যবদ্ধতার যে রূপ আমরা দেখি তা অতুলনীয়। কথায় আছে, দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। দশজনে মিলে কাজ করে ব্যর্থ হলেও তাতে কষ্ট লাগে না, নতুন উদ্যমে পুনরায় কাজ শুরু করা যায়। সংঘবদ্ধ শক্তি জাতীয় জীবনের উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখে। সংঘবদ্ধ শক্তি অজেয়কে জয় করে। সমগ্র বাঙালি জাতির মধ্যে একতা ছিল বলেই আমরা বাংলাভাষাকে মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি এবং মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে বাংলাদেশকে পেয়েছি। ঐক্যের কারণেই পৃথিবীর বড় বড় আন্দোলনগুলো সংঘটিত হয়েছে এবং নির্যাতিত, শোষিত মানুষগুলো তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে। জাতীয় জীবনে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক উন্নতির জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমাদের ব্যক্তিগত এবং সমষ্টিগত জীবনে একতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে এবং জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।
মানুষের শক্তি প্রতিকূলতার কাছে তুচ্ছ। আজকের আধুনিক বিশ্বজগতের পেছনে রয়েছে মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য বেছে নিয়েছে ঐক্যবদ্ধ জীবন। সংঘবদ্ধভাবে কাজ করলে অনেক কঠিন কাজ সহজ, অসম্ভব কাজ সম্ভব হয়ে যায়। সমস্ত বৃহৎ ও স্মরণীয় কাজের পেছনে রয়েছে সংঘবদ্ধ মানুষের অক্লান্ত প্রচেষ্টা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা যেমন মহাদেশ গড়ে তোলে, তেমনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠে বৃহত্তর সংঘবদ্ধ কর্ম-শক্তি। যেখানে ঐক্য নেই, সেখানে ব্যর্থতা লুকায়িত থাকে। নিঃসঙ্গ মানুষ জীবন সংগ্রামে চলতে পারে না। পৃথিবীতে অতিক্ষুদ্র প্রাণী পিঁপড়া মৌমাছির মধ্যে ঐক্যবদ্ধতার যে রূপ আমরা দেখি তা অতুলনীয়। কথায় আছে, দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। দশজনে মিলে কাজ করে ব্যর্থ হলেও তাতে কষ্ট লাগে না, নতুন উদ্যমে পুনরায় কাজ শুরু করা যায়। সংঘবদ্ধ শক্তি জাতীয় জীবনের উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখে। সংঘবদ্ধ শক্তি অজেয়কে জয় করে। সমগ্র বাঙালি জাতির মধ্যে একতা ছিল বলেই আমরা বাংলাভাষাকে মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি এবং মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে বাংলাদেশকে পেয়েছি। ঐক্যের কারণেই পৃথিবীর বড় বড় আন্দোলনগুলো সংঘটিত হয়েছে এবং নির্যাতিত, শোষিত মানুষগুলো তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে। জাতীয় জীবনে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক উন্নতির জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমাদের ব্যক্তিগত এবং সমষ্টিগত জীবনে একতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে এবং জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।
শিক্ষা: নিঃসঙ্গ নয়, ঐক্যবদ্ধ জীবনই মানুষের কাম্য। একটি সফল ও সুন্দর জীবনের জন্য ঐক্যবদ্ধতার বিকল্প আর কিছু নেই কারণ ঐক্যই অপরাজেয় শক্তি।
No comments