01. আল্লাহর প্রিয়জন/ প্রিয় নবী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:)

ভূমিকা:
আল্লাহর অনেক প্রিয়জন রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:)। যুগে যুগে বিপথগামী মানুষদের সুপথ দেখানোর জন্য মহাপুরুষদের আগমন ঘটে। হযরত মুহাম্মদ ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর প্রচারিত ধর্মের নাম ইসলাম
ধর্ম। এই শান্তির ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্যই তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। 

জন্মবংশ পরিচয়:
মহানবী ৫৭০ সালের ১২ই রবিউল আওয়াল সোমবার মক্কা নগরির বিখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ আর মাতার নাম আমিনা। তাঁর জন্মের কিছুদিন আগে তাঁর পিতা মারা যান।

বাল্যজীবন:
আরব দেশের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী শিশু মুহাম্মদকে হালিমা নামক এক ধাত্রীর ঘরে পালিত হতে হয়। মাত্র ছয় বছর বয়সে যখন তাঁর মা মারা যান তখন তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব তাকে লালন-পালনের ভার নেন। দাদার ইন্তেকালের পর তাঁর চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হন। চাচা আর্থিক অস্বচ্ছল থাকায় শৈশবে তাকে মেষ চরাতে হতো। বাল্যকাল হতেই তিনি ছিলেন চিন্তাশীলপরোপকারী ও সত্যবাদী। তার সত্যবাদিতার জন্য লোকে তাঁকে আল আমিন’ বা বিশ্বাসী’ বলে ডাকতেন।

বিবাহ ও নবুয়ত প্রাপ্তি:
পঁচিশ বছর বয়সে তিনি খাদিজাকে বিয়ে করেন। তিনি হেরা নামক পর্বতের গুহায় ধ্যান মগ্ন থেকে ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত পান। এরপর হযরত জিবরাইল (আ) তাঁর কাছে নিয়মিতভাবে আল্লাহর বাণী নিয়ে আসতেন। এভাবে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে তাঁর উপর সম্পূর্ণ কুরআন নাজিল হয়।

ধর্ম প্রচার:
নবুয়ত পাওয়ার পর তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ এই সত্য প্রচার করতে গিয়ে তিনি আরববাসীদের কাছে চরমভাবে নির্যাতিত হন। কুরাইশদের অত্যাচারের মধ্যেও তিনি দৃঢ় মনোবলে ইসলাম ধর্ম প্রচার করে যান।

হিযরত বা গমন:
মক্কাবাসীরা মহানবীকে ইসলাম প্রচার থেকে বিরত রাখার জন্য নানাভাবে অত্যাচার করতে থাকে। এক সময় তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অবশেষে ৬২২ সালে আল্লাহর নির্দেশে হযরত আবু বকর রাযিআল্লহু আনহুকে সাথে নিয়ে মদিনায় হিযরত বা গমন করেন। এই হিযরত থেকেই হিজরি সাল গণনা করা হয়। পরে ৬৩০ সালে তিনি দশ হাজার মুজাহিদসহ মক্কা জয় করেন। এই সময় মক্কাবাসীদের অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

উপসংহার:
একজন মানুষ কতটুকু শক্তি অর্জন করলে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষকে একত্রে বসাতে পারেন তা বিস্ময়ের ব্যাপার। তাঁর দেখানো পথতাঁর প্রবর্তিত ধর্মতাঁর পবিত্র বাণী সারা বিশ্বের সব মানুষকে প্রেরণা যোগাবে চিরকাল। ৬৩২ সালে ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষশ্রেষ্ঠ চরিত্র ও গুণাবলির অধিকারীশ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী,আল্লাহর প্রিয়জন হযরত মুহম্মদ ইহলোক ত্যাগ করেন। আজ ১৩৭৯ বছর পরেও তাঁর অনুসারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

নিচে থেকে আপনার প্রয়োজনীয় রচনাটিতে ক্লিক করুন বিস্তারিত দেখতে পাবেন-


15. আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ
58. বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী

No comments

Powered by Blogger.