53. জাতিসংঘ
ভূমিকাঃ বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্ব উন্নয়নের কথা বললেই প্রথমেই যে সংস্থার নাম আসে তা হলো জাতিসংঘ। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এ সংস্থাটি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছে। বলা চলে এই সংস্থাটি বর্তমানে বিশ্বশান্তির ধারক ও বাহক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সীমাবদ্ধতা ও বিতর্ক সত্ত্বেও জাতিসংঘ বিভিন্ন রাষ্ট্রে উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করে চলেছে।
জাতিসংঘের ইতিহাসঃ ১৯১৯ সালে সর্বপ্রথম বিশ্বের জাতিসমূহকে একত্রিত করে ‘লীগ অব ন্যাশনস’গঠন করা হয়। বিশ্বশান্তি রক্ষায় ব্যর্থতার কারণে ‘লীগ অব ন্যাশনস’ বিশ্ববাসীর আস্থা অর্জন করতে পারেনি। পরবর্তীতে ১৯৩৯ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে লীগ অব ন্যাশনস বিলুপ্ত হয়ে যায়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের
ভয়াবহতা এবং অভূতপূর্ব ক্ষয়ক্ষতি দেখে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ নতুন করে একটি বিশ্ব সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এর ফলে ১৯৪১ সালে সর্বপ্রথম জাতিসংঘ গঠন সংক্রান্ত লন্ডন ঘোষণা স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৪৩ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে জাতিসংঘ গঠনের উদ্দেশ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অবশেষে ১৯৪৫ সালের ২ জুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর করেন। এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিল ৫১টি দেশ। এরপর ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ সনদ কার্যকরের মাধ্যমে জাতিসংঘের জন্ম হয়। বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা ১৯৩টি এবং সর্বশেষ সদস্য দেশ দক্ষিণ সুদান। জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা ৬টি। যথা ইংরেজি, ফরাসি, চীনা, রুশ স্প্যানিশ ও আরবি।
ভয়াবহতা এবং অভূতপূর্ব ক্ষয়ক্ষতি দেখে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ নতুন করে একটি বিশ্ব সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এর ফলে ১৯৪১ সালে সর্বপ্রথম জাতিসংঘ গঠন সংক্রান্ত লন্ডন ঘোষণা স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৪৩ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে জাতিসংঘ গঠনের উদ্দেশ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অবশেষে ১৯৪৫ সালের ২ জুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর করেন। এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিল ৫১টি দেশ। এরপর ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ সনদ কার্যকরের মাধ্যমে জাতিসংঘের জন্ম হয়। বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা ১৯৩টি এবং সর্বশেষ সদস্য দেশ দক্ষিণ সুদান। জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা ৬টি। যথা ইংরেজি, ফরাসি, চীনা, রুশ স্প্যানিশ ও আরবি।
প্রশাসনিক ব্যবস্থাঃ জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি রক্ষা এবং বিশ্বের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ৬টি অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে এর কার্য সম্পাদন করে থাকে। এগুলো হলো- ক) সাধারণ পরিষদ খ) নিরাপত্তা পরিষদ গ) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ঘ) অছি পরিষদ ঙ) আন্তর্জাতিক আদালত চ) সচিবালয়।
ক) সাধারণ পরিষদঃ জাতিসংঘের আলাপ-আলোচনার মূলসভা হলো সাধারণ পরিষদ। একজন সভাপতি এবং ২১ জন সহ-সভাপতির অধীনে সাধারণ পরিষদ পরিচালিত হয়। সাধারণ পরিষদের সভাপতি এক বছরের জন্য নির্বাচিত হন। পরিষদের নিয়মিত বার্ষিক অধিবেশন সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার শুরু হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
খ) নিরাপত্তা পরিষদঃ জাতিসংঘের সবচেয়ে কার্যকরী সংগঠন হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ। এটিই মূলত বিশ্বশান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান কর্তা হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এর সদস্য সংখ্যা ১৫টি। এর মধ্যে ৫টি সদস্যদেশ স্থায়ী সদস্য এবং তাদের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। এরা হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স,রাশিয়া এবং চীন। বাকী দশটি সদস্য দেশ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনুপাতিক হারে ২ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়।
গ) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদঃ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ জাতিসংঘ পরিবার নামে পরিচিত। ৫৪টি রাষ্ট্র এর সদস্য। এ পরিষদের সদস্যরা ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ঘ) আন্তর্জাতিক আদালতঃ জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদের সমাধানের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি নেদারল্যান্ডের রাজধানী হেগে অবস্থিত। ৯ বছরের জন্য নির্বাচিত ১৫ জন বিচারক নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত গঠিত হয়। এর সভাপতি ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
ঙ) অছি পরিষদঃ অছি পরিষদের কাজ হলো উপনিবেশের অধীন রাষ্ট্রগুলোকে স্বাধীনতা অর্জনে সহযোগিতা করা এবং তার অভিভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখা। ১৯৯৪ সালে সর্বশেষ পালাউ এর ক্ষেত্রে অছি হিসেবে কাজ করার পর এ পরিষদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
চ) সেক্রেটারিয়েট/সচিবালয়ঃ জাতিসংঘের প্রশাসন সংক্রান্ত কার্যক্রম সেক্রেটারিয়েট সম্পন্ন করে। এর প্রধানকে বলা হয় মহাসচিব। তিনি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশের ভিত্তিতে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে মহাসচিব নির্বাচিত হয়। জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন নরওয়ের নাগরিক ট্রাইগভে লাই এবং বর্তমান মহাসচিব দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক বান কি মুন। তিনি জাতিসংঘের ৮ম মহাসচিব। তিনি ছাড়াও মিয়ানমারের উথান্ট এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভূমিকাঃ জাতিসংঘ গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বশান্তি রক্ষা করা এবং বিশ্বের দেশগুলোকে কাক্সিক্ষত উন্নতি অর্জনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা। জাতিসংঘ যে যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত তা হলো-
* বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা করা।
* জাতিসমূহের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ও বজায় রাখা।
* দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন।
* জাতিসমূহের লক্ষ্য অর্জনের ফোরাম হিসেবে ভূমিকা রাখা। নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘ সনদের ২৪নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত। শান্তি রক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় জাতিসংঘ কতগুলো মূলনীতি মেনে চলে। যথা-
* বিশ্বের কোথাও উত্তেজনা দেখা দিলে এবং সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে এটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
* জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সম্মতি থাকা আবশ্যক।
* জাতিসংঘ বিবাদমান পক্ষের মধ্যে যতদূর সম্ভব নিরপেক্ষতা অবলম্বন করবে।
জাতিসংঘের সাফল্যঃ জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হলেও এর সফলতার হার সবক্ষেত্রে সমান নয়। এটি কোথাও সফল হয়েছে আর কোথাও ব্যর্থ হয়েছে। নিচে জাতিসংঘের সফলতাগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো-
বিরোধ নিষ্পত্তিঃ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আদালত বিশ্বের যেকোনো স্থানের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সমঝোতামূলক পথ অবলম্বন বা বিচার ও মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে।
পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধঃ পরমাণু অস্ত্র বর্তমান বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ ৯০টি দেশে পারমানবিক চুল্লি বন্ধ করে দিয়েছে। এগুলোর উপর নজরদারিও বৃদ্ধি করেছে। ফলে পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ অনেকাংশেই সফল হয়েছে।
বর্ণবৈষম্যের অবসানঃ বর্ণবাদী প্রথা বিশ্বের শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। জাতিসংঘ বর্ণবৈষম্যকে মানবতা বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
মানবাধিকার উন্নয়নঃ বিশ্ব মানবাধিকারের পূর্ণ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ সদা সচেষ্ট। এজন্য ১৯৪৮ সালের সর্বজনীন মানবাধিকারের সনদ গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ। ইতোমধ্যে ৮০টি দেশকে মানবাধিকার বাস্তবায়নের জন্য চুক্তিতে আবদ্ধ করতে সফল হয়েছে সংস্থাটি।
পরিবেশ সংরক্ষণঃ পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ১৯৯৫ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ধরিত্রী সম্মেলনের আয়োজন করে জাতিসংঘ। এছাড়া জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত বিশ্ব টেকসই উন্নয়নে পরিবেশের উপর জোর প্রদান করে। এটি জলবায়ু ও পরিবেশের বিরূপ প্রভাবাধীনে থাকা দেশগুলোর জন্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছে।
জাতিসংঘের ব্যর্থতাঃ জাতিসংঘের সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও কম নয়। এটি বিশ্বশান্তি রক্ষার অনেক ক্ষেত্রেই কাক্সিক্ষত ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এর ব্যর্থতাসমূহ হলো-
মধ্যপ্রাচ্য সমস্যাঃ জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো মধঘ্যপ্রাচ্য সমস্যার নিষ্পত্তি করতে না পারা। এখানে জাতিসংঘ নিপীড়িত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের পক্ষে না থেকে ইসরাইলের আগ্রাসনে নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
জীবাণু অস্ত্র বিলোপঃ মানবজীবনের জন্য ভয়াবহতম এবং ধ্বংসাত্মক জীবাণু অস্ত্রের বিলোপ সাধনে জাতিসংঘের ভূমিকা আশানুরূপ নয়। এখনও বিশ্বের অনেক দেশের কাছে জীবাণু অস্ত্র রয়ে গেছে।
পশ্চিমাদের লেজুরবৃত্তিঃ বিশ্বের সবার জন্য সমান ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হলেও জাতিসংঘ নিজের নিরপেক্ষতা ও সার্বজনীনতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। দেখা যায় এটি পশ্চিমাদের স্বার্থোদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।
পরামর্শ/সুপারিশঃ জাতিসংঘকে আরো কার্যকর ও বিশ্বশান্তি রক্ষায় সক্ষম স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে-
- নিরাপত্তা পরিষদকে সম্প্রসারণ করে আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। যেমন- আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে কোনো স্থায়ী সদস্য দেশ নেই। এসব ক্ষেত্রে উক্ত অঞ্চল থেকে স্থায়ী প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে।
- ভেটো ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এ জন্য ক্ষেত্র বিশেষে অচলাবস্থা নিরসনে মহাসচিবের হাতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
- মহাসচিবকে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
- জাতিসংঘকে এর কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালানোর জন্য চাঁদার ব্যাপারে আরো কঠোর হতে হবে।
- জাতিসংঘ এর সনদ অনুযায়ী কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এজন্য জাতিসংঘ সনদের সংস্কার করতে হবে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশঃ বাংলাদেশ এর জন্মলগ্ন থেকেই জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালায়। এজন্য ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে চীন ভেটো দেয় ও বিরোধীতা করে। অবশেষে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশের পক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় বক্তৃতা করে বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মিসেস সালমা খান CEDAW-এর কার্যকরি পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ ২য় স্থান অধিকার করেছে। বাংলাদেশি সেনারা তাদের সৎ সাহস ও যোগ্য নেতৃত্বের বলে সারাবিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। এ মহান কর্তব্য পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশের ৮০ জন শান্তিরক্ষী শহিদ হয়েছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাতিসংঘ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতিসংঘের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়াও এদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সাহায্য করে যাচ্ছে।
উপসংহারঃ বিশ্বশান্তি রক্ষা ও বিশ্ব উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘ একটি অবিস্মরণীয় নাম। এর অনেক ব্যর্থতা থাকলেও এটি বিশ্বের স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং বিশ্বকে কয়েকটি সম্ভাব্য যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করেছে। এর ব্যর্থতার কারণগুলো অনুসন্ধান করে সংস্কার করতে পারলে তা পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আশা করা যায়।
No comments