89. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
ভূমিকা: স্বাধীনতা হলো একটি রাষ্ট্রের আজন্ম লালিত স্বপ্ন। স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হওয়ার মধ্যে যেমন গৌরব থাকে তেমনি পরাধীনতায় থাকে গ্লানি। আর তাই পরাধীন হয়ে কেউ বাঁচতে চায় না। দাসত্বের শৃঙ্খলেও কেউ বাঁধা পড়তে চায় না। বাঙালি জাতিও চায়নি বছরের পর বছর ধরে শাসনে-শোষণে পাকিস্তানিদের দাস হয়ে থাকতে। তাই তারা শৃঙ্খল ভেঙ্গে বেরিয়ে পড়েছিল আন্দোলনে, সোচ্চার হয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে। রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে বীর বাঙালি ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতাকে। ৩০ লক্ষ প্রাণের
বিনিময়ে, লাখো বীরাঙ্গনার সম্ভ্রম হারানোর বিনিময়ে ১৯৭১ সালে অর্জিত হয়েছে এ দেশের স্বাধীনতা। মুক্তিকামী মানুষ হারিয়েছে তার সর্বস্ব। কিন্তু সব হারিয়েও তারা অর্জন করেছে স্বাধীন সার্বভৌম স্বপ্নের একটি দেশ-বাংলাদেশ।
বিনিময়ে, লাখো বীরাঙ্গনার সম্ভ্রম হারানোর বিনিময়ে ১৯৭১ সালে অর্জিত হয়েছে এ দেশের স্বাধীনতা। মুক্তিকামী মানুষ হারিয়েছে তার সর্বস্ব। কিন্তু সব হারিয়েও তারা অর্জন করেছে স্বাধীন সার্বভৌম স্বপ্নের একটি দেশ-বাংলাদেশ।
প্রেক্ষাপট: ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলেও বাঙালি জাতি কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র পায়নি। কারণ পশ্চিম পাকিস্তানির কখনোই পূর্ব পাকিস্তানকে সমমর্যাদা দেয়নি। বরং সব সময়ই চেয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানকে দমিয়ে রাখতে। এ যেন রাষ্ট্রের ভেতরে আর এক গোলামী রাষ্ট্র। পশ্চিম পাকিস্তানির সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যে জর্জরিত করতে থাকে পূর্ব পাকিস্তানকে। পণ্যের কাঁচামাল, উৎপাদন, আয়, রপ্তানি আয় পূর্ব পাকিস্তানে বেশি হলেও পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ব্যয় হতো খুবই সামান্য। দেশের মোট ব্যয়ের সিংহ ভাগই ব্যয় হতো পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতিরক্ষায় যেখানে ৯৫% ব্যয় হত সেখানে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিরক্ষায় ব্যয় হত ৫ শতাংশ। ১৯৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হলেও পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী কোনোভাবেই বাঙালির হাতে শাসনভার তুলে দিতে চায়নি। ফলে এই সকল প্রকার বৈষম্যের কারণে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল।
বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ: বাঙালি জাতির রাজনৈতিক সচেতনতা ও জাতীয়তাবাদের সূচনা হয় ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। মুহম্মদ আলী জিন্নাহর উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা করার ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। এই ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি। ঐদিন ভাষার দাবীতে রাজপথে নিহত হয় রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ আরো অনেকে। ভাষার দাবীতে জীবন দিতে হয়, রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে রক্ষা করতে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির আর একটিও নেই। ভাষা ও সংস্কৃতিতে যখন আঘাত আসে তখন বাঙালি বুঝতে পারে তাদের স্বাতন্ত্র্যকে। তারা ‘বাঙালি জাতি’ এই পরিচয় তাদের মধ্যে দৃঢ় হতে শুরু করে। জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ সময় গঠিত হয় বেশ কিছু সংগঠন। ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ’৬২’র শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৬৬’র ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবী, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচনে বিপুল ভোটে ১৬৭টি আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়, এই প্রত্যেকটি ঘটনার মাধ্যমে বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে এবং ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সেই জাতীয়তাবাদ চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করে।
স্বাধীনতার ডাক: ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মুখে নিপীড়নকারী পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ এর প্রধান আসামী শেখ মুজিবর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মুক্তির পর ২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯ রেসকোর্স ময়দানে এক বিশাল জনসভায় তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। যে বঙ্গবন্ধু ৬৬’তে বাঙালির ম্যাগনাকাটা ৬ দফা দাবী উত্থাপন করেছিলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তিনি রচনা করলেন ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাধীনতার কবিতা। স্বাধীনতায় উন্মুখ লাখো মানুষের সামনে তিনি বজ্র কণ্ঠে বলে গেলেন কাক্সিক্ষত সেই শব্দগুলো ‘বাংলার মানুষ আজ মুক্তি চায় . . . এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
২৫শে মার্চের কালরাত্রি: ৭০’এর নির্বাচনে বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ জয়ী হলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। বরং, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে ইয়াহিয়া খান নানা বাহানা শুরু করেন। ১৬ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত চলে মুজিব-ইয়াহিয়া প্রহসনের বৈঠক। আর ইয়াহিয়ার নির্দেশে গোপনে পূর্ব পাকিস্তানে আসতে থাকে অস্ত্র আর সামরিক বাহিনী। এরপর ‘পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ নয়-মাটি চাই’ বলে হানাদার বাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে ঢাকা ত্যাগ করে পৃথিবীর অন্যতম জঘন্য গণহত্যার হোতা ইয়াহিয়া। শুরু হয় ইতিহাসের ঘৃণিত হত্যাযজ্ঞ। যা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে পরিচিত। ২৫ শে মার্চ রাতে হানাদার বাহিনী আক্রমণ করে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। সেই রাতেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় তার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে। তবে তার আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৬ মার্চ বেলা ২টায় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়। ২৭ মার্চ কালুরঘাটস্থ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ: বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে নিরীহ বাঙালিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে সশস্ত্র সংগ্রামে। বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে থাকে তারা। তবে ১৯ মার্চ থেকে শত্রুকে প্রতিরোধ করতে প্রথমে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বীর বাঙালি সৈনিক। প্রাক্তন ইপিআর, আনসার, মোজাহেদ ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর বীর জওয়ানেরাও এতে অংশ নেয়। এদের সাথে আরো যোগ দেয় যুবক ও ছাত্ররা।
মুক্তিবাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধ: ৪ এপ্রিল, ১৯৭১ সিলেটের তেলিয়াপাড়ার চা বাগানে কর্নেল এমএজি ওসমানীর নেতৃত্বে মুক্তিফৌজ গঠন করা হয়। এসময় এর সদস্য সংখ্যা ছিল ১৩,০০০। ৯ এপ্রিল মুক্তিফৌজের নামকরণ করা হয় মুক্তিবাহিনী এবং কর্নেল এমএজি ওসমানীকে এই বাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তার নেতৃত্বে দু’টি বাহিনী গঠন করা হয় অনিয়মিত গেরিলা বাহিনী এবং নিয়মিত বাহিনী। নিয়মিত বাহিনীর অধীনে আবার ৩টি বিগ্রেড বাহিনী গঠন করা হয়- জেড ফোর্স, কে ফোর্স এবং এস ফোর্স। জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, কে ফোর্সের মেজর খালেদ মোশাররফ এবং এস ফোর্সের কেএম শফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে ১০ নম্বর সেক্টরটি ছিল নৌ সেক্টর। মে মাস পর্যন্ত নিয়মিত বাহিনী হিসেবে যুদ্ধ করে বীর বাঙালিরা। এরপর তারা গঠন করে একটি বিরাট গণবাহিনী ‘গেরিলা বাহিনী’। জুন মাসের শেষের দিকে গেরিলারা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আগস্টে গঠিত নৌ কমান্ডো বীরত্ব ও কৃতিত্বের সাথে যুদ্ধ শুরু করে। ৩ ডিসেম্বর বাঙালিদের সাথে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে ভারতীয় সেনারা। এই যৌথ বাহিনীর যুদ্ধ চলে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মুজিবনগর সরকার গঠন: ১০ এপ্রিল ১৯৭১ কুষ্টিয়ার বর্তমান মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা ইউনিয়নের ভবের পাড়া গ্রামের আম্রকাননে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। এই জায়গার নতুন নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। তাই এই সরকারকে বলা হয় মুজিবনগর সরকার। বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে, রাষ্ট্রপতি শাসিত এই সরকার ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে। এই দিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। ২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে তা কার্যকর হয়। পরবর্তীতে এই ঘোষণাপত্র অনুযায়ী দেশ চলতে থাকে।
মুক্তিযুদ্ধ ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড: মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি ও যৌথবাহিনীর দুর্বার প্রতিরোধ ও আক্রমণের মুখে পশ্চিমা হানাদার বাহিনী যখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল, তখন পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে এ দেশের সূর্যসন্তানদের ওপর। আর এ কাজে তাদেরকে সাহায্য করে তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস্ বাহিনী। দেশের মুক্তিকামী ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনকারী শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ডাক্তার, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের বেশির ভাগের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ: সংগ্রামী বাঙালি আর মিত্র বাহিনীর সাথে যুদ্ধে হানাদার বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে মিত্র বাহিনীর জেনারেল মানেকশ পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজীকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেন। ১৬ ডিসেম্বর বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অর্থাৎ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ৯৩০০০ সৈন্য নিয়ে জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পণ করেন। সম্মিলিত বাহিনীর প্রধান জগজিৎ সিং অরোরার নিকট তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন একে খন্দকার।
মুক্তিযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব: ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে পশ্চিম পাকিস্তানিদের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের কাহিনী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্ব জনমত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের সপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়। ভারত সে সময় ১ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়ে বিশ্বজনমত তৈরিতে এগিয়ে এসেছিলেন। বাংলাদেশের সাহায্যে এগিয়ে এসে এসময় ভারতও সশস্ত্র যুদ্ধে নামে। সোভিয়েত ইউনিয়নও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন দেয়। তৎকালীন মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের বিরোধিতা করলেও সে দেশের জনগণ, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়। তাদের প্রতিরোধের মুখে মার্কিন প্রশাসন পাকিস্তানে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিটলস এর জর্জ হ্যারিসন এবং ভারতীয় পন্ডিত রবি শংকর ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর আয়োজন করেছিলেন। ফরাসি সাহিত্যিক আন্দ্রে মারোয়া, জ্যা পল সাত্রে সহ অনেকেই বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
উপসংহার: স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা বরাবরই অনেক কঠিন কাজ। লক্ষ্যপ্রাণ আর রক্তগঙ্গার বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। এর মাধ্যমে অবসান হয়েছিল দীর্ঘ ২৪ বছরের শোষণ ও নিপীড়নের। কিন্তু স্বাধীনতার ৪০ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো আমরা গড়তে পারিনি আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। স্বাধীন হয়েও স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ আমরা উপভোগ করতে পারিনা। আমাদের যেমন সংকট আছে, তেমনি সম্ভাবনাও আছে। সব সংকটকে দূরে সরিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে। নিজের কর্তব্যবোধ, দেশপ্রেম আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হলেই আমরা রক্ষা করতে পারব আমাদের স্বাধীনতাকে।
No comments