215. শৃঙ্খলাবোধ
ভুমিকা :
মানবজীবনে এক ধরনের কল্যাণমুখী বন্ধনের নাম শৃঙ্খলাপ্রতিকূল প্রকৃতিক পরিবেশেরবিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শৃঙ্খলার নানা বন্ধন তৈরি করেই মানুষ অর্জন করেছেশ্রেষ্ঠত্ব,নির্মাণ করেছে সভ্যতা।এভাবেই ব্যক্তিগত,সামাজিক,কর্মজীবনে শৃঙ্খলার পাঠ নিয়েছেমানুষ।সে অভিজ্ঞতায় দেখেছে,তার প্রতিটি কর্মের জন্য প্রয়োজন হয় সুষম সমন্বয়ের।তার জন্য দরকার শৃঙ্খলা।সুশৃঙ্খল জাতিই নিশ্চিত করতে পারে জাতীয় জীবনের ব্যাপকউন্নতি ও অগ্রগতি।
মানবজীবনে এক ধরনের কল্যাণমুখী বন্ধনের নাম শৃঙ্খলাপ্রতিকূল প্রকৃতিক পরিবেশেরবিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শৃঙ্খলার নানা বন্ধন তৈরি করেই মানুষ অর্জন করেছেশ্রেষ্ঠত্ব,নির্মাণ করেছে সভ্যতা।এভাবেই ব্যক্তিগত,সামাজিক,কর্মজীবনে শৃঙ্খলার পাঠ নিয়েছেমানুষ।সে অভিজ্ঞতায় দেখেছে,তার প্রতিটি কর্মের জন্য প্রয়োজন হয় সুষম সমন্বয়ের।তার জন্য দরকার শৃঙ্খলা।সুশৃঙ্খল জাতিই নিশ্চিত করতে পারে জাতীয় জীবনের ব্যাপকউন্নতি ও অগ্রগতি।
প্রকৃতির রাজত্বে শৃঙ্খলা :
বিশ্বপ্রকৃতির সর্বত্র রয়েছে নিয়মের রাজত্ব ।সেখান কোথাও শৃ্ঙ্খলার অভাব নেই।তারসবকিছুই সুশৃঙ্খল ও সুনিয়ন্ত্রিত ।প্রকৃতির সৃশৃঙ্খল নিয়মে সকালে সূর্য ওঠে,সন্ধ্যায় অস্তযায়।রাতের আকাশে উঁকি দেয় চাঁদ ও তারা।দিবারাত্রির এই পরিক্রমায় পথ বেয়েপ্রকৃতিতে চলে ষড়ঋতুর আবর্তন।প্রকৃতির এই নিয়ম বন্ধনে বাঁধা মানুষের জীবন ওঅস্তিত্ব।তাই প্রকৃতির মতো মানুষেরজীবন অনিবার্যভাবে এসে পড়ে শৃঙ্খলার দায়ে ।
ব্যক্তি ও জাতিয় জীবনে শৃঙ্খলা :
মানুষের ব্যক্তিজীবনের বিকাশ ও পরিচালনার সঙ্গে রয়েছে শৃঙ্খলার যোগ । জন্ম খেকেমৃত্যু পযন্ত মানুষের ব্যক্তিজীবন নানা নিয়ম শৃঙ্খলার বন্ধনে বাঁধা । এই শৃঙ্খলা যেনমানুষের জীবনে চলার ছন্দ ।যে ছন্দ ব্যক্তিজীবনকে শান্ত,সুস্থির,ফলপ্রসু করার অবলম্বন।তা যেন সমাজ ও জাতীয় জীবনে অগ্রগতি নিশ্চিত করার চালিকাশক্তি । তাই মানুষেরউন্নতি ও কল্যাণ নিশ্চিত করার স্বার্থেই অনেক নিয়ম গড়ে তুলেছে সমাজ ।সেসব নিয়মশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে বিকামিত হয় মানুষের ব্যক্তিত্ব, মনুষ্যত্ব ও প্রতিভা ।
ছাত্রজীবনে শৃঙ্খলা:
শিক্ষিত মানুষের সুশৃঙ্খল জীবনের ভিত্তি রচিত হয় ছাত্রজীবনে।যতটুকু মেধা নিয়েইমানুষ জন্মাক না কেন,সুশৃঙ্খল জীবনছন্দের অভাবে প্রায় ক্ষেত্রেই সেসব মেধা ও শক্তিরঅপচয় হয় । সময়ানুবর্তিতা ও নিয়মানুবর্তিতার মেলবন্ধনে ছাত্রজীবনে অর্জিত হয়শৃঙ্খলার ছন্দ ।এ ক্ষেত্রে ছন্দপতন ঘটলে জীবনে বিপর্যয় ঘটতে পারে । বস্তুত,জীবনেরগঠন পর্বে শৃঙ্খলাবেধের বীজ আবাদ করলেই মানবজীবনে একসময় সোনা ফলে ।
শৃঙ্খলাবোধ অর্জনের উপায় :
শৃঙ্খলাবোধ আত্মস্থ করার জন্যে অবশ্যই কতিপয় রীতিনীতি অনূসরণ করা জরুরী ।প্রথমত প্রয়োজন সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলা ।দ্বিতীয়ত প্রয়াজন আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল হওয়া । মর্যাদা অনুসারে মাণুষের সঙ্গে শ্রদ্ধা, প্রীতিও স্নেহের সম্পর্ক অনুসরণকরতে শেখা সামাজিক শৃঙ্খলার প্রাথমিক পদক্ষেপ । শৃঙ্খলাবোধ অর্জনের ক্ষেত্রে উত্তমনৈতিকতা ও শিষ্টাচারের অনুশীলন দরকার । জ্ঞান ও চিন্তার প্রসারতা ও র্শঙ্খলাবোধঅর্জনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে ।
শৃঙ্খলাবোধের গুরুত্ব :
আমাদের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দিতে পারে বিশৃঙ্খলা ।আর তাই স্বাস্থের প্রতি যত্নবানহেওয়া ও মাদকমুক্ত জীবনযাপন অবশ্যই শৃঙ্খলাবোধের পর্যায়ভুক্ত।কায়িক পরিশ্রম কখনোমানুষকে ছোট করে না বরং স্বাস্থ্যের জন্য তা জরুরি । এভাবে শারীরিক শৃঙ্খলানিশ্চিত করা সম্ভব । বিশৃঙ্খলা পরিহার করে জীবনকে সুন্দর করার জন্য শৃঙ্খলাবোধেরবিকল্প নেই।সুশৃঙ্খল জীবনে প্রতিটি মুহূর্তের সদ্ব্যবহার হয়।মহান ব্যক্তিদের জীবনে তাদেখা যায়।চিন্তা ও কর্মে শৃঙ্খলা অনুসরণ করলে মানুষ মহৎ এবং কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তিহিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে।দায়িত্বের প্রতি সৎ ও একাগ্র থাকাটাও শৃঙ্খলার একটিমৌলিক অংশ।নাগরিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার জন্য সুশৃঙ্খল জীবনযাপনঅপরিহার্য ।
শৃঙ্খলাবোধ ও যান্ত্রিকতা :
শৃঙ্খলা কাম্য হলেও কখনো কখনো শৃঙ্খলার বাড়াবাড়ি জীবনের স্বাভাবিক গতিচ্ছন্দেরপথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় । নিয়ম ও নিয়ন্ত্রণের আতিশয় যদি শৃঙ্খলা না হয়ে শৃঙ্খল হয়েপড়ে তবে জীবনের স্বভাবিক বিকাশ ব্যাহত হতে বাধ্য ।মানুষের জীবন তখন যন্ত্রেরজীবনে পরিণত হয় । এ সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত । মনে রাখতে হবে,জীবন-অনুগামী শৃঙ্খলার স্বাভাবিক ধারাতেই জীবন স্বচ্ছন্দে বিকাশিত হয় ।
উপসংহার :
শৃঙ্খলাই হচ্ছে ব্রক্তি ও জাতির জীবনের সুষমাময় সৌন্দর্য।অশিষ্ট আচরণ,অন্যয় জবরদস্তি,অবৈধ পেশিশক্তি মানুষের জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যকে তছনছ করে দেয় ।এসব জাতীয়অগ্রগতির পথেও মারাত্মক বাধা হয়ে দাঁড়ায়।পক্ষান্তরে,জাতির উন্নতি আর সার্বিকঅগ্রগতির ভিত্তি হচ্ছে ব্যক্তির শৃঙ্খলাবোধ।প্রতিটি ব্যক্তির সুশৃঙ্খল চিন্তা, কর্ম ও আচরণেরশক্তিতেই জাতি বিশ্বসভায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে ।
অনুচ্ছেদ চাইছিলাম রচনা না।পাগল
ReplyDelete