221.মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী /মজলুম জননেতা
ভূমিকা
দেশের শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির জন্য এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে নেতা সবচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, তিনি হলেন বাংলার মহান নেতা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
শৈশব ও শিক্ষা: সাম্যবাদের আদর্শকে যিনি মনেপ্রাণে গ্রহণ করে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের জন্য যিনি নিজের জীবনকে করেছিলেন উৎসর্গ তিনি হলেন মাওলানা আব্দুল
হামিদ খান ভাসানী। মওলানা ভাসানীর জন্ম হয়েছিল এক সাধারণ পরিবারে ১৮৮০ সালে ১২ ফেব্র“য়ারি। বৃহত্তর পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানের জেলা) ধানগড়া গ্রামে।
জন্মের পর বাবা হাজী শরাফত আলী খান আদর করে ছেলের নাম রেখেছিলেন ‘চেগা মিয়া’। কিন্তু বাবা-মায়ের স্নেহ বেশিদিন পাননি মওলানা ভাসানী। তাঁর বয়স যখন মাত্র ৬ বছর তখনই পিতার মৃত্যু হয়। তারপর এগারো বছর বয়সে মায়েরও মৃত্যু হয়।
ভাসানীর আরও দুজন বড় ভাই ছিলেন আমীর আলী খান ও ইসমাইল খান। তাঁদেরও অকালমৃত্যু হয় একে একে। বেঁচে রইলেন বোন এবং ছোট ভাই আবদুল হামিদ খান ওরফে চেগা মিয়া। শৈশবেই সকলকে হারিয়ে আব্দুল হামিদ এসে আশ্রয় নিলেন চাচা ইব্রাহিম খানের বাড়িতে। চাচা তাঁকে ভর্তি করিয়ে দিলেন সিরাজগঞ্জ শহরের এক মাদ্রাসায়। কিন্তু পড়াশোনায় মন বসল না আব্দুল হামিদের। ক্লাসের বাধ্যবাধকতা তাঁর ভাল লাগত না। একদিন চাচার সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে গেলেন শাহজাদপুরে এক দূঃসম্পর্কের ভগ্নিপতির বাড়িতে। সেখানে গিয়ে পড়াশুনা ছেড়ে শুরু করলেন ক্ষেতমজুরের কাজ।
কর্মজীবন:ভাসানী যখন শাহজাদপুরে ক্ষেতমজুরের কাজ করেছিলেন তখন সেখানে এসে হাজির হলেন এক পীরসাহেব। তিনি এসেছেন সুদূর ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে। নাম তাঁর নাসিরউদ্দিন শাহ বোগদাদী। ভাসানী একদিন দেখা করলেন পীর সাহেবের সাথে। পীর সাহেবের এই অনাথ বালকটিকে পিতৃস্নেহে কাছে টেনে নিলেন। পরে পীরসাহেবের সাথেই তিনি চলে গেলেন ময়মনসিংহ জেলার বল্লাগ্রামে। সেখানে গিয়ে পীর সাহেবে ভাসানীকে আবার মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিলেন।
মক্তবের পড়া শেষ করে শুরু করলেন শিক্ষকতা। মাদ্রাসার শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে চলে এলেন টাঙ্গাইলের কাগমারিতে। এখানে বছরখানেক থাকার পর তিনি পীরসাহেবের সাথেই চলে গেলেন আসামে। পীরসাহেবের আস্তানায়।
সংগ্রামী জীবন:\তখন সারা ভারতে চলছিল ব্রিটিশবিরোধী সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন। ভাসানীও জড়িত হলেন দেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের সাথে। তখন ভারতের বর্তমান উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ ছিল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। ভাসানী পীর সাহেবের অনুমতি নিয়ে চলে গেলেন দেওবন্দে। ভর্তি হলেন দেওবন্দ ইসলামিয়া মাদ্রাসায়। সেখানে মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি চলল তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ড। বলতে গেলে দেওবন্দ থেকেই ভাসানীর রাজনৈতিক জীবনের শরু। দেওবন্দের শিক্ষা শেষ করে ভাসানী আবার ফিরে এলেন আসামে।
মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষা দানের জন্য পীরসাহেব তখন আসামের জঙ্গলে স্থাপন করেন ইসলাম প্রচার মিশন। ভাসানীও তখন মিশনের কাজে আত্মনিয়োগ দেন। মিশনের কাজ নিয়ে তিনি চলে এলেন বগুড়া পাঁচবিবিতে। এখানে পরিচয় হল জমিদার শামসুদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর সাথে। ভাসানী জমিদার সাহেবের ছেলে মেয়েদের গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হলেন। পরে শুধু গৃহশিক্ষকতা নয়, জমিদারী দেখাশোনা করারও দায়িত্ব পেলেন ভাসানী। জমিদারি সংক্রান্ত ব্যাপারে ভাসানীকে প্রায়ই কলকাতায় যাতায়াত করতে হত। কলকাতা তখন ছিল বিপ্লবী দলের কিছু কর্মী সাথে তাঁর পরিচয় হয়। ১৯১৯ সালে ময়মনসিংহে কংগ্রেসের প্রাদেশিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন উপলক্ষেই ভাসানী দেশবন্দু চিত্তরঞ্জন দাসের সান্নিধ্যলাভের সুযোগ পান। ভাসানী তখন থেকেই দেশবন্ধুর অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ১৯১৯ সালেই ভাসানী অনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং অসহযোগী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলনে নেমে গ্রেফতার হন। তাঁর নয় মাসের জেল হয়। এটাই ভাসানীর প্রথম কারাবরণ। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ১৯২১ সালে তিনি আলিভ্রাতৃদ্বয় অর্থাৎ মওলানা মোহাম্মদ আলি এবং শওকত আলির ডাকে খেলাফত আন্দোলন এবং একই সাথে দেশবন্ধুর ডাকে অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করলেন। আবারও গ্রেফতার হলেন তিনি। এবার হল সাতদিনের জেল। ১৯২২ সালে উত্তর বঙ্গ ও আসামে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। বিপন্ন মানুষের সেবায় এগিয়ে আসেন ভাসানী। কলকাতা থেকে এলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, নেতাজি সুভাষ বসুসহ আরও অনেকে। ভাসানী এইসব জাতীয় নেতার সাথে দুঃস্থ মানুষের সেবায় দিনরাত কাজ করতে লাগলেন।
১৯২৫ সালে তিনি বগুড়ার জমিদার শামসুদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরীর কন্যা আলেমা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের একবছর পর তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ফিরে যান আসামের ভাসানচরে। ১৯২৬ সালে তিনি আসামে শুরু করেন ‘কৃষক আন্দোলন’।
জমিদাররা প্রমাদ শুনলেন। তখন সব জমিদার মিলে ইংরেজ গভর্নরকে দিয়ে মওলানা ভাসানীকে অবাঞ্চিত ব্যক্তি ঘোষণা করলেন। ভাসানীকে বাংলা থেকে বহিষ্কার আদেশ জারি করা হল। অবশেষে ভাসানী স্ব-পরিবারে গিয়ে ঠাঁই নিলেন আসামের গহীন জঙ্গলে-ঘাগমাড়া নামে এক জায়গায়। সাংগঠনিক কাজের জন্য মাঝে মাঝে কলকাতা বা অন্যান্য জায়গায় যেতে হলেও ভাসানী ১৯২৬ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত লাগাতারভাবে আসামেই ছিলেন।
তিনি ১৯২৯ সালে সিরাজগঞ্জের কাওয়াখোলা ময়দানে ‘বঙ্গ আসাম প্রজা সম্মেলন’ আহ্বান করেন। এই সম্মেলনে প্রায় তিন লাখ লোকের সমাগম হয়েছিল। সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
মওলানা ভাসানী লাইনপ্রথা ও বাঙাল খেদা আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিলেন ১৯২৫ সালে। ১৯৩৭ সালে ভাসানী আসামের প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর নেতৃত্বে আসামের বারোটি জেলায় মুসলিম লীগের সংগঠন আরও জোরদার হয়। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনেই আসামের ৩৪ আসনের মধ্যে ৩১ টি আসন লাভ করে। ভাসানী নিজেও আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। মুসলিম লীগের মন্ত্রীপরিষদ গঠিত হওয়ার পরও ভাসানী তাঁর লাইনপ্রথা ও বাঙাল খেদা আন্দোলনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে লাগলেন। ফলে সরকারের সাথে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কেন্দ্রীয় লীগ নেতৃবৃন্দ তাঁকে নিজদলীয় সরকারের বিরোধিতা করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করলেন। কিন্তু ভাসানী তার আর্দশের প্রতি অটল রইলেন। ১৯৩৮ সালে তিনি রংপুরে গাইবান্দায় কৃষক প্রজা সম্মেলনের আয়োজন করলেন।
১৯৪০ সালে তিনি জননেতা এ কে ফজলুল হকের সাথে মুসলিম লীগের ঐতিহাসিক লাহোর সম্মেলনে যোগদান করেন।
আসামের লাইন প্রথাবিরোধী আন্দোলন থেকে সরে থাকার জন্য স্বয়ং মুহম্মদ আলি জিন্নাহ পর্যন্ত তাঁকে অনুরোধ করেন। কিন্তু জিন্নাহর প্রস্তাবও ভাসানী প্রত্যাখ্যান করেন। অবশেষে ভাসানীর আন্দোলনের মুখে ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আসামের মুসলিম লীগ সরকারের পতন ঘটে। তবে পুলিশ বাঙালীদের ওপর গুলি চালায় এবং একজন নিহত হয়। ভাসানী গ্রেফতার হন।
১৯৪৭ সালের ২৯ জুন ভাসানী গৌহাটি কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন। ছাড়া পেয়েই তিনি ছুটে এলেন সিলেটে। পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্ব মুহুর্তে সিলেট পাকিস্তানের অংশ হবে কি না এই নিয়ে গণভোট হয়। ভাসানী সিলেটকে পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্তকরণের পক্ষে সমর্থন করেন। এই আন্দোলন সফল হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ১৪ আগষ্ট ভারত বর্ষ দ্বিখন্ডিতহয়ে জন্ম নিল দু’টি পৃথক রাষ্ট্র পাকিস্তান ও ভারত। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর আসাম সরকার মওলানা ভাসানীকে অবিলম্বে আসাম ত্যাগের নির্দেশ দেয়। তিনি ফিরে এলেন টাঙ্গাইলের কাগমারিতে। ১৯৪৮ সালে প্রথম পূর্ববঙ্গ পরিষদের টাঙ্গাইল আসন শূন্য হলে ভাসানী উপনির্বাচনে অংশে নেন এবং খাজা নাজিম উদ্দিন মনোনিত প্রার্থী জমিদার খুররম খান পন্নীকে পরাজিত করে পূর্ব বঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু খাজা নাজিম উদ্দিন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই উপনির্বাচন বাতিল ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয় ১৯৫০ সাল পর্যন্ত যাতে ভাসানী কোন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে এই মর্মেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ১৯৪৯ সালে সোহ্রাওয়াদী ঢাকায় ফিরে এলে মুসলিম লীগের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ভাসানী একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নেন। ১৯৫৪সালে বার্লিনে শান্তি সম্মেলনে যোগদানের জন্য ভাসানী লন্ডন সফরে গেলেন। কিন্তু তিনি পাকিস্তান সরকারের চক্রান্তের ফলে জার্মানি যাবার ভিসা পেলেন না। তিনি বিদেশে থাকা অবস্থায় শুনতে পারলেন পূর্ববঙ্গের যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বাতিল করা হয়েছে এবং যুক্তফ্রন্ট নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই সেই মুহূর্তে তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। পরে ১৯৫৫ সালে সোহরাওয়ার্দি ভাসানীকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনেন। ভাসানীর রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল কাগমারি সম্মেলন। ভাসানীর উগ্যোগে এই কাগমারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। ভাসানীর সেই কাগমারি সম্মেলনের ফল বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন শেখ মজিবুর রহমান। তাঁর নেতৃত্ব একটি রাজক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে কাগমারি সম্মেলনের ১৪ বছর পরে পাকিস্তান সরকার ভেঙে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ জন্মলাভের মাধ্যমে। সেই বছরই ১৯৫৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাথে সর্ম্পক ছিন্ন করে নতুন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল আ্ওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন। ১৯৬৭ সালে ন্যাপ দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়। ভাসানী হলেন চিনপন্থি ন্যাপের সভাপতি অপর দিকে মস্কোপন্থি ন্যাপের সভাপতি হলেন অধ্যাপক মুজাফর আহমদ। ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আগরতলা যড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হলে সারা দেশে গড়ে ওঠে আন্দোলন। ভাসানীও এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলার বিরুদ্ধে আন্দোলনে শরীক হন। আন্দোলনের মুখে ১৯৬৯ সালে ২২ ফেব্র“য়ারি সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধু বের হয়ে আসার পর আইয়ুবিরোধী তথা পূর্ব পাকিস্তানের আন্দোলন আরও জোর দার হয়। এই আন্দোলনের অন্যতম অগ্রনায়ক ছিলেন মওলানা ভাসানী।
১৯৭০ সালে ৭ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে মাওলানা ভাসানী অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনের পর ইয়াহিয়া খান যখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দল আওয়ামী লীগের হাতে হস্তান্তরে গড়িমসি করতে লাগলেন তখন মাওলানা ভাসানী বজ্র কন্ঠে বললেন ‘প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া তাই বলি অনেক হইয়াছে কিন্তু আর নয়’। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী বাঙ্গালীদের ওপর আক্রমন করলে তিনি ভারতে চলে যান। যুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ২২ ফেব্র“য়ারী স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। মওলনা ভাসানীর জীবনের আরেকটি বড় কাজ হল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। তিনি যুদ্ধের আগেই ১৯৭০ সালে ৮ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। পরে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় তা বাস্তবে রূপ লাভ করে। ভারত সরকারের গঙ্গনদীর উপর ফারাক্কা বাঁধ তৈরির প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালে তিনি মিছিল বা লং মার্চ করেন। এটা ছিল তাঁর সংগ্রামী জীবনের আরেকটি বড় উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
১৯৭৬ সালে ৫ এপ্রিল তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে ২৮ মে তাকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই হাসপাতালে ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর পরলোক গমন করেন। তাঁকে টাঙ্গাইলের সন্তোষের ইসলামীয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সমাধিস্থ করা হয়।
বাংলা প্রবন্ধ রচনা
নিচে
থেকে
আপনার
প্রয়োজনীয় রচনাটিতে ক্লিক করুন বিস্তারিত দেখতে পাবেন-
15. আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ
58. বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী
223. কম্পিউটার /আধুনিক প্রযুক্তির আবিষ্কার- কম্পিউটার /কম্পিউটার ও আধুনিক বিশ্ব /আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিতে কম্পিউটার /কম্পিউটার: আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময় /কম্পিউটার ও বাংলাদেশ/ কম্পিউটা ও আধুনিকসভ্যতা
No comments