213. যোগাযোগের একাল-সেকাল
ভূমিকা: যোগাযোগ বলতে অন্যকে কোনো কিছু জানানোর উপায় বা
কৌশল বোঝায়। মানুষ কথা বলে, লিখে বা
সংকেত ব্যবহার করে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে। যোগাযোগ ছাড়া মানুষ চলতে
পারে না। তাই বলা হয়ে থাকে, যে জাতির
যোগাযোগব্যবস্থা যত উন্নত, সেই জাতি
তত উন্নত।
মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। লেখা আবিষ্কারের আগে মানুষ হাত নেড়ে, চিত্কার করে, ঢাকঢোল বাজিয়ে, আগুন বা ধোঁয়া ব্যবহার করে যোগাযোগ করত।
আদিকালের
বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যম: দৃষ্টিগ্রাহ্য দূরত্বে আদিম মানুষের যোগাযোগের একটা মাধ্যম
ছিল আগুনের সংকেত। উঁচু গাছের ডগায় উঠে মশাল নেড়ে কিংবা আগুনের তির ছুড়ে আদিম
মানুষ শিকারিদের ফিরে আসার জন্য বা কোনো সংকেত দিত। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ
ধ্বনির সাহায্যেও যোগাযোগের কাজ করেছে। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে পারস্যের সম্রাট
সাইরাস তাঁর রাজ্যে কিছুটা দূরে দূরে অনেক টাওয়ার বসিয়েছিলেন। সেগুলোতে যারা
প্রহরী থাকত, তারা
চিত্কার করে এক টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে সংবাদ পাঠাত। আদিকালে সংবাদ জানানোর জন্য
ঢোলও ব্যবহূত হতো। আফ্রিকার উপজাতিরা কাঠের ঢোল পিটিয়ে দূরদূরান্তে সংবাদ-সংকেত
পাঠাত। ভারতবর্ষের রাজারা ঢোল-শোহরত করে রাজ্যে আদেশ ও নির্দেশ জারি করতেন।
যোগাযোগের অগ্রগতি: লেখা আবিষ্কারের পর মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়,এক কাল থেকে অন্য কালে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব হয়ে ওঠে। যোগাযোগের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এর পরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার ও ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা। ছাপাখানা যোগাযোগব্যবস্থায় অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটায়। বই ও পত্রপত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে হাজার হাজার লোকের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা খুলে যায়। বই ও পত্রপত্রিকা একদিকে মানুষের জ্ঞান সংরক্ষণ করার সুযোগ এনে দেয়, অন্যদিকে এক কাল থেকে অন্য কালে জ্ঞান বিস্তার করাও সম্ভব হয়ে ওঠে। যোগাযোগের আরও দুটি অগ্রগতি ঘটে ডাক ও টেলিফোন উদ্ভাবনের মাধ্যমে।
যোগাযোগের একাল: যোগাযোগের একাল বা আধুনিকতম যোগাযোগের উপায় শুরু হয়েছে রেডিও বা বেতার উদ্ভাবনের ফলে। বেতার বলতে বোঝায় বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ। জরুরি যোগাযোগের জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ, রেডক্রস,অগ্নিনির্বাপক বাহিনী, সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগের বিভিন্ন সংস্কারকাজে আজকাল বেতার যোগাযোগ অপরিহার্য। এ কাজে ব্যবহার করা হয় ‘ওয়াকিটকি’। যোগাযোগের আরও একটি আধুনিক মাধ্যম হচ্ছে টেলিভিশন, যার মাধ্যমে আমরা বিশ্বের সব খবর জানতে পারি সব সময়।
যোগাযোগ মাধ্যমের সর্বশেষ সংযোজন: বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের যেকোনো স্থানে কথা বলা যায় এবং ফ্যাক্সে বার্তা পাঠানো যায়।
আধুনিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ইন্টারনেট। এটা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের এক বিশাল নেটওয়ার্ক। এর মাধ্যমে মানুষ এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। এখন মুহূর্তেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে ই-মেইল পাঠানো সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সম্ভব হচ্ছে বিশ্বের জ্ঞানসম্পদের বিপুল তথ্য সংরক্ষণ করাও। একে সংক্ষেপে বলা হয় ওয়েব। পুরো নাম হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা www।
উপসংহার: জাতীয় উন্নতি ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত জাতির পরিচয় বহন করে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের এই যুগে নিজেকে যুক্ত করে এর সুফল ভোগ করা সবার দরকার।
মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। লেখা আবিষ্কারের আগে মানুষ হাত নেড়ে, চিত্কার করে, ঢাকঢোল বাজিয়ে, আগুন বা ধোঁয়া ব্যবহার করে যোগাযোগ করত।
যোগাযোগের অগ্রগতি: লেখা আবিষ্কারের পর মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়,এক কাল থেকে অন্য কালে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব হয়ে ওঠে। যোগাযোগের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এর পরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার ও ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা। ছাপাখানা যোগাযোগব্যবস্থায় অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটায়। বই ও পত্রপত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে হাজার হাজার লোকের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা খুলে যায়। বই ও পত্রপত্রিকা একদিকে মানুষের জ্ঞান সংরক্ষণ করার সুযোগ এনে দেয়, অন্যদিকে এক কাল থেকে অন্য কালে জ্ঞান বিস্তার করাও সম্ভব হয়ে ওঠে। যোগাযোগের আরও দুটি অগ্রগতি ঘটে ডাক ও টেলিফোন উদ্ভাবনের মাধ্যমে।
যোগাযোগের একাল: যোগাযোগের একাল বা আধুনিকতম যোগাযোগের উপায় শুরু হয়েছে রেডিও বা বেতার উদ্ভাবনের ফলে। বেতার বলতে বোঝায় বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ। জরুরি যোগাযোগের জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ, রেডক্রস,অগ্নিনির্বাপক বাহিনী, সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগের বিভিন্ন সংস্কারকাজে আজকাল বেতার যোগাযোগ অপরিহার্য। এ কাজে ব্যবহার করা হয় ‘ওয়াকিটকি’। যোগাযোগের আরও একটি আধুনিক মাধ্যম হচ্ছে টেলিভিশন, যার মাধ্যমে আমরা বিশ্বের সব খবর জানতে পারি সব সময়।
যোগাযোগ মাধ্যমের সর্বশেষ সংযোজন: বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের যেকোনো স্থানে কথা বলা যায় এবং ফ্যাক্সে বার্তা পাঠানো যায়।
আধুনিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ইন্টারনেট। এটা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের এক বিশাল নেটওয়ার্ক। এর মাধ্যমে মানুষ এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। এখন মুহূর্তেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে ই-মেইল পাঠানো সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সম্ভব হচ্ছে বিশ্বের জ্ঞানসম্পদের বিপুল তথ্য সংরক্ষণ করাও। একে সংক্ষেপে বলা হয় ওয়েব। পুরো নাম হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা www।
উপসংহার: জাতীয় উন্নতি ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত জাতির পরিচয় বহন করে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের এই যুগে নিজেকে যুক্ত করে এর সুফল ভোগ করা সবার দরকার।
No comments