সাধারণ জ্ঞান বরেন্য ব্যক্তিত্ব কবি/সাহিত্যিক/ভাষাবিদ
কবি/সাহিত্যিক/ভাষাবিদ
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)
জন্ম: উপমহাদেশের প্রথম সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে বাংলা ২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ তারিখে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ছদ্মনাম: ভানুসিংহ। উপাধি: বিশ্বকবি, কবিগীরু।
প্রথম প্রকাশিত কাব্য: বনফুল।
প্রথম প্রাকশিত উপন্যাস: বৌ-ঠাকুরাণীর হাট।
কাব্যগ্রান্থ: মানসী, সোনারতরী, গীতাঞ্জলি, বলাকা, শেষ লেখা, ক্ষণিকা, মহুয়া ইত্যাদি।
উপন্যাস: বৌ ঠাকুরানীর হাট, শেষের কবিতা, রাজর্ষি, অচলায়তন, যোগাযোগ, গোরা, ঘরে-বাইরে, চোখের বালি, দুই বোন ইত্যাদি।
ছোটগল্প: গল্পগুচ্ছ, গল্পস্বল্প, তিন সঙ্গী।
নাটক: রবিবার, ডাকঘর, রক্তকরবী, বাঁশরী, মুক্তধারা, তাসের ঘর, চিরকুমার সভা ইত্যাদি।
প্রবন্ধ::
বিচিত্র প্রবন্ধ, কালান্তর, পঞ্চভূত, সভ্যতার সংকট।
পত্র সাহিত্য: ছিন্নপত্র, রাশিয়ার চিঠি, ভানুসিংহের পদাবলি, চিঠিপত্র ইত্যাদি।
নোবেল পুরস্কার: সাহিত্যে ১৯১৩ সালে, গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য।
মৃত্যু: ৭ আগস্ট, ১৯৪১ সালে; ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ।
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)
জন্ম: বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালের ২৪ মে ভারতের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বিশেষ পরিচয়: বিদ্রোহী কবি ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে।
কর্ম: বাঙালি জাতিকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে তিনি তার কবিতায় ঘুমন্ত বাঙালিকে জেগে ওঠার ডাক দিয়েছিলেন। তার ‘বিদ্রোহী’ কবিতার অবদান তখন এতটাই মূল্যবান ছিল যে, তিনি যদি জীবনে আর কোনো কবিতা না লিখতেন তবে ঐ কবিতাটির জন্যই বাঙালি জাতি তাকে চিরকাল মনে রাখত। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার তাকে সপরিবার পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
মৃত্যু: ১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট ঢাকার পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (১৮৮০-১৯৩২)
জন্ম: বেগম রোকেয়া ১৮৮৮ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।
কর্ম জীবন: ১৯০৯ সালের ১ অক্টোবর ভাগলপুরে মেয়েদের জন্য নিজের প্রথম স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর কলকাতার ওয়ালিউল্লাহ লেনে ১৯১১ সালের ১৬ মার্চ মাত্র ৮ জন ছাত্রী নিয়ে গড়ে তুলেন সাখাওয়াত মেমেরারিয়াল গার্লস স্কুল। বাংলা সাহিত্যে তিনি নারী জাগরণমূলক অসংখ্য প্রবন্ধ ও সাহিত্য রচনা করেন।
বিশেষ পরিচয়: নারী জাগরণের অগ্রদূত।
মৃত্যু: ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১)
জন্ম: ১৮২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কলকাতার মেদিনীপুর জেলায়।
বিশেষ পরিচয়: বাংলা গদ্য সাহিত্যের জনক হিসেবে। বিধবা বিবাহ প্রচলনের সংস্কারক।
কর্ম জীবন: কর্মজীবনের প্রথমে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে প্রধান পন্ডিত হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি সংস্কৃত কলেজে যোগ দেন।
কিছু দিনের মধ্যেই তিনি উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ হন।
মৃত্যু: ২৯ জুলাই ১৮৯১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৬৫)
জন্ম: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগণার ধমুকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস বিক্রমপুরের মালবদিয়া গ্রামে।
সাহিত্য কর্ম: উপন্যাস: পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৩৬); পুতুল নাচের ইতিকথা (১৯৩৬); জননী (১৯৩৫); দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫); শহরতলী (১৯৪০); অহিংসা(১৯৪১); শহর বাসের ইতিকথা(১৯৪৬); চতুষ্কোণ(১৯৪৮); জীয়ন্ত (১৯৫০); সোনার চেয়ে দামি (১৯৫১); স্বাধীনতার স্বাদ (১৯৫১); ইতিকথার পরের কথা(১৯৫২); আরোগ্য (১৯৫৩); হরফ (১৯৫৪); হলুদ নদী সবুজ বন (১৯৫৬)।
গল্পগ্রন্থ: অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫); প্রাগৈতিহাসিক(১৯৩৭); মিহি ও মোটা কাহিনী(১৯৩৮); সরীসৃপ(১৯৩৯); বৌ(১৯৪৩); সমুদ্রের স্বাদ(১৯৪৩); ছোট বকুলপুরের যাত্রী(১৯৪৯);হলুদ পোড়া: আজকাল পরশুর গল্প; মাটির মাশুল; ছোট বড় (১৯৪৮); ফেরিওয়ালা(১৯৫৩); শ্রেষ্ঠ গল্প(১৯৫০)।
প্রবন্ধ: লেখকের কথা।
মৃত্যু: ১৯৪৬ সালে ৩ ডিসেম্বর তার জীবনবসান ঘটে।
মুনীর চৌধুরী (১৯২৫-১৯৭১)
জন্ম: মুনীর চৌধুরী ২৭ নভেম্বর ১৯২৫ সালে মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস লক্ষীপুর জেলায়।
বিশেষ পরিচয়: বিশিষ্ট নাট্যকার।
কর্ম জীবন; ১৯৬৫ সালে বাংলা টাইপ ‘কি-বোর্ড’ উদ্ভাবন করেন যা মুনীর অপটিয়া নামে পরিচিতি। বাংলা সাহিত্যে তার উল্লেখযোগ্য নাটক- রক্তাক্ত প্রান্তর (১৯৬২); চিঠি (১৯৬৬); কবর; রুপার কৌটা; দন্ডকারণ্য(১৯৬৬); পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য(১৯৬৯)।
মৃত্যু: ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানী আলবদর বাহিনী কর্তৃক অপহৃত ও নিখোঁজ হন।
উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী (১৮৬৩-১৯১৫)
জন্ম: উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী ১৮৬৩ সালের ১০ মে ময়মনসিংহ জেলার মসুয়া গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
বিশেষ পরিচয়: বাংলা শিশু সাহিত্যের অগ্রণী পুরুষ।
সাহিত্য কর্ম: বাল্যকাল থেকেই তিনি শিশু-কিশোর পত্রিকা সখা, বালক, সাথী, মুকুল প্রভৃতিতে লেখা শুরু করেন। ১৯১৩ সালে তিনি সন্দেশ’ নামে একটি মাসিক শিশু-কিশোর পত্রিকা প্রকাশ করেন। তার শিশুতোষ গ্রন্থগুলো হচ্ছে: টুনটুনির বই, গুপী গাইন বাঘা বাইন, সেকালের কথা, ছোটদের মহাভারত, ছেলেদের রামায়ণ, ছোট রামায়ণ ও মহাভারতের গল্প প্রভৃতি।
মৃত্যু: ২০ ডিসেম্বর ১৯১৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সুমুমার রায় (১৮৮৭-১৯২৩)
জন্ম: সুকুমার রায় ১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর ময়মনসিংহের মসুয়া গ্রামে তার জন্মগ্রহণ করেন। শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী তার পিতা।
বিশেষ পরিচয়: আধুনিক বাংলা শিশু সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রুপকার হিসেবে।
সাহিত্য কর্ম: সুকুমার রায় অনুপম ভাষায় গল্প, নাটক, কবিতা ও প্রবন্ধ লিখে শিশুদদের মন জয় করেন। এসব রচনার সঙ্গে তার নিজের আকা ছবিগুলোও ছিল অতুলনীয এই ক্ষণজন্মা শিশুসাহিত্যিকের লিখিত গ্রন্থগুলো হচ্ছে- আবোল-তাবোল, হ-য-ব-র-ল, পাগলা দাশু, বহুরুপী, খাই খাই ইত্যাদি।
মৃত্যু: ১৯২৩ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার (১৮৭৭-১৯৫৭)
জন্ম: দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার ১৮৭৭ সালে ঢাকা জেলার সাভারের উলাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বিশেষ: পরিচয়: শিশুসাহিত্যক ও লোকসাহিত্য সংগ্রাহক।
কর্ম জীবন: স্কুলশিক্ষা শেষেই তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। তার শিশুতোষ গ্রন্থগুলো হচ্ছে-ঠাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদাদার ঝুলি, দাদা মশায়ের থলে, কিশোরদের মন, বাংলার সোনার ছেলে, সবুজ লেখা, ঠানদিদির থলে, খোকাবাবুর খেলা, পৃথিবীর রুপকথা, ঘুমন্তপুরী, সাতভাই চম্পা, পাতাল কন্যা, সোনার কাঠি রুপার কাঠি প্রভৃতি।
মৃত্যু: ১৯৫৭ সালে কলকাতায় পরলোকগমন করেন।
মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১২)
জন্ম:
মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালে ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বিশেষ পরিচয়: ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক।
কর্ম: তিনি ‘আজিজুন্নেহার’(১৮৭৪); ও ‘হিতকরী’ (১৮৯০); নামক পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
জীবনীগ্রস্থ- আমার জীবন (১৯০৮); গো-জীবন; বিবি কুলসুম বা আমার জীবনীর জীবনী (১৯১০)।
কাব্যগ্রন্থ- গোড়াই ব্রিজ (১৮৭৩); বাজীমাৎ সঙ্গীত লহরী (১৮৮৭); পঞ্জনারী (১৯০৭); মোসলেম বীরত্ব।
নাটক- বসন্ত কুমারী (১৮৭৩); জমিদার দর্পন (১৮৭৩); বেহুলা গীতাভিনয় (১৮৮৯)।
মৃত্যু: ১৯১২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সৈয়দ মুজতবা আলী (১৯০৪-১৯৭৪)
জন্ম: সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, মৌলভীবাজার জেলায় জন্মগ্রহন করেন।
বিশেষ পরিচয়: বাংলা সাহিত্যের রম্য লেখক হিসেবে।
মৃত্যু: ১৯৭৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায়।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (১৯০৪)
জন্ম: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯৪০ সালের ২৫ জুলাই বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
বিশেষ পরিচয়: শিক্ষাবিদ, সংগঠক পরিবেশবিদ, সাহিত্যিক ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ: ২০০৪ সালে তিনি রেমন্ড ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন্
কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১)
জন্ম: আসল নাম কাজেম আল কোরায়েশী ১৮৫৭ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার আগরা পূর্বপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বিশেষ পরিচয়: মহাকবি হিসেবে।
সাহিত্য কর্ম: তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বিরহ বিলাপ’ ১৮৭০ সালে প্রকাশিত হয়। ‘অশ্রুমালা’ (গীতিকব্য), ‘আমিয়ধারা; ‘মহররম শরীফ; মন্দকিনীধারা’,
শ্মাশান ভস্ম’তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।
মৃত্যু: কবি কায়কোবাদ ১৯৫১ সালের ২১ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
শওকত ওসমান (১৯১৯-১৯৯৮)
জন্ম: আসল নাম শেখ আজিজুর রহমান। ১৯১৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার অন্তর্গত সবলসিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: ‘জননী’, ‘ক্রীতদাসের হাসি’ ‘রাজা উপাখ্যান’ ‘সমাগম, চৌরসন্ধি, বনিআদম, প্রস্তর ফলক, আমলার মামলা, কাঁকর মনি, ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দবী, সংস্কৃতির চড়াই উৎরাই, সাবেক কাহিনী, জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প, প্রভৃতি।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭)
জন্ম: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস বগুড়া।
বিশেষ পরিচয়: প্রখ্যাত কথাসহিত্যিক হিসেবে।
উল্লেখযোগ্র গ্রন্থ: গল্প- অন্য ঘরে অন্য স্বয় (১৯৭৬); খোঁয়ারী (১৯৮২), দুধভাতে উৎপাত(১৯৮৫); দোযখের ওম(১৯৭৬) উপন্যাস চিলেকোঠার সেপাই(১৯৮৭); খোয়াবনামা(১৯৯৬)।
পুরস্কার লাভ: ১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ১৯৯৮ সালের একুশে পদক লাভ করেন।
মৃত্যু: ৪ জানুয়ারি ১৯৯৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০২)
জন্ম: আবু ইসহাক ১৯২৬ সালে ১ নভেম্বর শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার শিরঙ্গল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষা: ১৯৬০ সালে করাচী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএ পাস করেন।
কর্ম: তিনি এনএসআই-এর ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন।
উপন্যাস: সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৫৫); পদ্মার পলিদ্বীপ(১৯৮৬); জাল(১৯৮৮)
গল্প: হারেম (১৯৬২); মহাপতঙ্গ(১৯৬৩)।
অভিধান সম্পাদনা: সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান(১৯৯৩)
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ (১৯৩৪-২০০১)
জন্ম: আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ১৯৩৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বরিশান জেলার গীর্জা মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।
বিশেষ পরিচয়: আধুনিক কবি।
কর্ম: বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে তার উল্লেখযোগ্র গ্রন্থ হলো: কাব্য- সাত নড়ী হার(১৯৫৫), আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি(১৯৮১); প্রেমের কবিতা(১৯৮২)।
পুরস্কার: ১৯৭৯ সালে একাডেমি এবং ১৯৮৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন্
মৃত্যু: ২০০১ সালের ১৯ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ(১৯২২-১৯৭১)
জন্ম: বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও নাট্যকার সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ ১৯২২ সারের ১৫ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলার ষোলশহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার আদি নিবাস নোয়াখালী জেলায়।
সাহিত্য কর্ম: উল্লেখযোগ্য রচনাবলি।
উপন্যাস-লালসালু (১৯৪৮); চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪); কাঁদো নদী কাঁদো (১৯৬৮)।
ছোটগল্প-নয়ন চারা (১৯৫১); দুই তীর (১৯৬৫)।
নাটক-বহি পীর (১৯৬৫); তরঙ্গ ভঙ্গ (১৯৬৬) ও সুড়ঙ্গ (১৯৬৪)।
মৃত্যু: ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট, প্যারিসে।
হাসান আজিজুল হক (১৯৩৯-
জন্ম: হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সারৈর ২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান জেলার যব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কর্ম: উল্লেখযোগ্য গন্থ: গল্প-সমুদ্রের স্বপ্ন, শীতের অরণ্য (১৯৬৪); আত্মাজা একটি কলমী গাছ (১৯৬৭); জীবন ঘষে আগুন (১৯৭৩); নামহীন গোত্র হীন (১৯৭৫) পাতালে হাসপাতালে (১৯৮১); রোদে যাবো (১৯৯৫); মা মেয়ের সংসার (১৯৯৭)। উপন্যাস-বৃত্তায়ন (১৯৯১)। প্রবন্ধ-কথা সাহিত্যের কথকথা (১৯৮১); অপ্রকাশের ভার (১৯৮৮)।
বিশেষ পরিচয়: কথা সাহিত্যিক হিসেবে।
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
জন্ম: জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলার পাওপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
সাহিত্য কর্ম: কাব্য-বনলতা সেন (১৯৪২), ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬), সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮), রুপসী বাংলা (১৯৫৭), ঝরা পালক (১৯২৮) মহা পৃথিবী (১৯৪৪),বেলা-অবেলা কালবেলা (১৯৬১)।
বিশেষ পরিচয়: রুপরী বাংলার কাবি হিসেবে।
মৃত্যু: ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর ট্রাক দুর্ঘটনায় তার জীবনাবসান ঘটে।
প্যারীচাঁদ মিত্র (১৮১৪-১৮৮৩)
জন্ম: প্যারীচাঁদ মিত্র কলকাতায় ১৮১৪ সালের ২২ জুলাই জন্মগ্রহন করেন।
কর্ম: ১৮৫৪ সালে রাধানাথ শিকদারের সহযোগিতায় ‘মাসিক পত্রিকা’ প্রকাশ ও সম্পাদনা করেন। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ: আলালের ঘরে দুলাল (১৮৫৭), অভেদী (১৮৭১), আধ্যাত্মিক, রামারজ্ঞিকা (১৮৬০), গদ্য মদ খাওয়া বড় দায়, জাত থাকার উপায় (১৮৫৯)।
বিশেষ পরিচয়: বাংলা উপন্যাসের পথিকৃত হিসেবে।
মৃত্যু: ১৮৮৩ সালের ২৩ নভেম্বর তার জীবনাবসান ঘটে।
দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩)
জন্ম: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র ১৮৩০ সালে নদীয়া জেলায় চৌবেড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কর্ম: ১৮৫৫ সালে তিনি পাটনায় পোস্ট মাস্টার পদে চাকরি নেন এবং তার পরবর্তী দেড় বছরের মধ্যে পোস্টাল ইন্সপেক্টর পদে উন্নীত হন। তাছাড়া জীবনধর্মী সাহিত্য রচনায় তিনি অশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: নাটক নীল দর্পণ (১৯৬০)। প্রহসন-সধবার একাদশী (১৮৬৬); বিয়ে পাগলা বুড়ো (১৮৬৬) ইত্যাদি।
মৃত্যু: ১ নভেম্বর ১৮৭৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬)
জন্ম: প্রমথ চৌধুরী যশোর জেলায় ১৮৬৮ সারের ৭ আগস্ট জন্মগ্রহন করেন। তার পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার হরিপুর।
বিশেষ পরিচয়: বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক।
কর্ম জীবন: ১৯০২ সালে প্রকাশিত ‘হালখাতা’ তার রচিত চলিত রীতির প্রথম গদ্য রচনা।
উল্লেখযোগ্য প্রন্থাবলি: কাব্য সনেট পঞ্চাশৎ (১৯১৩); পদচারণ (১৯১৯); প্রবন্ধ বীরবলের হালখাতা (১৯১৬); রায়তের কথা (১৯১৩); নানা কথা (১৯১৯); আমাদের শিক্ষা (১৯২০); প্রবন্ধ সংগ্রহ (১৯৫২-১৯৫৩)।
গল্প; চার-ইয়ারী কথা (১৯১৬); আহুতি (১৯১৯), নীললোহিত ও গল্প সংগ্রহ (১৯৪১)।
মৃত্যু: ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন্
ফররুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৪)
জন্ম: মুসলিম জাগরণের কবি ফররুখ আহমদ যশোর জেলার মাঝআইল গ্রামে ১০ জুন ১৯১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন
বিশেষ পরিচয়: মুসলিম রেনেসাঁর কবি হিসেবে।
কাব্য: সাত সাগরের মাঝি (১৯৪৪); নৌফেল ও হাতেম (১৯৬১); সিরাজুম মুনীরা(১৯৫২); মুহুর্তের কবিতা (১৯৬৩)।
কাহিনী কাব্য হাতেম তায়ী (১৯৬৬)।
শিশুতোষ গ্রন্থ: পাখির বাসা (১৯৬৫); তুন লেখা (১৯৭০); ছড়ার আসর (১৯৭০); হরফের ছড়া (১৯৭০)।
পুরস্কার লাভ: ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৬১ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার ‘প্রাইড অব পারফরমেন্স’, ১৯৬৬ সালে আদমজী প্ররস্কার এবং ১৯৬৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।
তিনি মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ রাভ করেন।
মৃত্যু: ১৯ অক্টোবর ১৯৭৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯)
জন্ম: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বিশেষ পরিচয়: বহুভাষাবিদ ও জ্ঞানতাপস হিসেবে।
কর্ম: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ যশোর জেলা স্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপনা করেন। তিনি ১৯৪৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসার গ্রহণের পর বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ এবং ১৯৫৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৫৮ সালে তিনি চাকুরি হতে অবসর গ্রহণ করেন।
মৃত্যু: ১৩ জুলাই ১৯৬৯ সালে ইন্তেকাল করেন।
No comments