১.২.সংস্কৃত ব্যঞ্জন সন্ধি কাকে বলে উদাহরণ সহ বিস্তারিত লিখ?
২.সংস্কৃত ব্যঞ্জন সন্ধি
ব্যঞ্জনসন্ধির
প্রকৃতি
অনুসারে,
একে তিন ভাগে
ভাগ করা যেতে
পারে।
এই ভাগ তিনটি
হলো-
·
১। স্বর-ব্যঞ্জন সন্ধি
·
২। ব্যঞ্জন-স্বর সন্ধি।
·
৩। ব্যঞ্জনধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি
১।
স্বর-ব্যঞ্জন
সন্ধি
স্বর-ব্যঞ্জন-সন্ধি
সূত্র
: ১ । পূর্বপদের
শেষ ব্যঞ্জন
বর্ণটিতে
যদি স্বরধ্বনি
যুক্ত
থাকে
এবং পরপদের
প্রথম
বর্ণটি
ছ হয় (যেমন
: ছন্ন,
ছায়া
ইত্যাদি)। তবে পূর্বপদের
শেষ ছ=চ্ছ হয় এবং পরপদের
ব্যঞ্জনবর্ণের
সাথের
স্বরবর্ণটি
পূর্বপদে
যুক্ত
হবে।
ব্যাখ্যা
: ধরা যাক পূর্বপদটি
‘কথা’। এর শেষ ব্যঞ্জনবর্ণটি
থ এবং এর সাথে
আ ব্যঞ্জন
ধ্বনি
রয়েছে।
আবার
ধরা যাক পরপদটি
‘ছলে’। এই পদটির
প্রথম
বর্ণটি
ছ। অর্থাৎ
ছ্ +অ। তাহলে
সূত্র
অনুসারে
সন্ধির
ফলাফল
হবে আ + ছ =আচ্ছ।
সব মিলিয়ে
দাঁড়াবে-
কথা +ছলে=কথাচ্ছলে।
এরূপ—
অ +ছ =অচ্ছ।
প্র +ছদ =প্রচ্ছদ
আ + ছ =আচ্ছ। আ +ছন্ন =আচ্ছন্ন
ই + ছ =ইচ্ছ। পরি +ছন্ন =পরিচ্ছন্ন
উ + ছ =উচ্ছ। তরু +ছায়া =তরুচ্ছায়া
আ + ছ =আচ্ছ। আ +ছন্ন =আচ্ছন্ন
ই + ছ =ইচ্ছ। পরি +ছন্ন =পরিচ্ছন্ন
উ + ছ =উচ্ছ। তরু +ছায়া =তরুচ্ছায়া
২.
ব্যঞ্জন-স্বর
সন্ধি
ব্যঞ্জন-স্বর-সন্ধি
সূত্র
: ১। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ক্, চ্, ট্, ত্ (ৎ), প্ হয় এবং পরপদের
আদ্য
বর্ণটি
স্বরবর্ণ
যুক্ত
থাকে,
তবে পূর্বপদের
শেষ ক, চ, ট, ত (ৎ), প পরিবর্তিত
হয়ে বর্গের
তৃতীয়
বর্ণে
পরিণত
হবে।
একই সাথে
পরপদের
স্বরবর্ণটি
পূর্বপদে
যুক্ত
হবে।
ব্যাখ্যা
: সূত্রানুসারে
ক্, চ্, ট্, ত্ (ৎ), প্ বর্গের
তৃতীয়
বর্ণে
পরিণত
হবে।
অর্থাৎ
এই নিয়মে
ক =গ, চ =জ, ট =ড়, ত (ৎ) =দ এবং প =ব হবে।
অপর দিকে
পরপদের
স্বরবর্ণটি
পূর্বপদে
যুক্ত
হবে।
অর্থাৎ
এই সূত্রে
পরিবর্তনের
রূপ হবে
ক +অ =গ, ক +আ=গা ইত্যাদি।
উদাহরণ : ক্ + অ =গ। দিক্ +অন্ত =দিগন্ত
চ্ + অ =জ। ণিচ্ +অন্ত =ণিজন্ত
ট্ + আ =ড়। ষট্ +আনন =ষড়ানন
ত্ + ঈ =দী। জগত্ +ঈশ্বর =জগদীশ্বর
প্ + অ =ব। সুপ্ + অন্ত =সুবন্ত।
ক +অ =গ, ক +আ=গা ইত্যাদি।
উদাহরণ : ক্ + অ =গ। দিক্ +অন্ত =দিগন্ত
চ্ + অ =জ। ণিচ্ +অন্ত =ণিজন্ত
ট্ + আ =ড়। ষট্ +আনন =ষড়ানন
ত্ + ঈ =দী। জগত্ +ঈশ্বর =জগদীশ্বর
প্ + অ =ব। সুপ্ + অন্ত =সুবন্ত।
ব্যতিক্রম
: যাচ্
+অক=যাচক।
৩.
ব্যঞ্জন-ব্যঞ্জন-সন্ধি
সূত্র
:
ব্যঞ্জনবর্ণের
সাথে
ব্যঞ্জনবর্ণের
মিলনের
ফলে যে সন্ধির
সৃষ্টি
হয়। ব্যঞ্জনবর্ণের
ব্যবহারিক
প্রকৃতির
বিচারে
তিনটি
বর্ণকে
পরাশ্রায়ী
বলা হয়। এই বর্ণ
তিনটি
হলো- ং, ঃ ও ঁ। এই তিনটি
বর্ণের
মধ্যে
‘ঃ’-এর ব্যবহার
সন্ধিতে
বিশেষভাবে
লক্ষ্য
করা যায়।
এই কারণে-
প্রচলিত
বাংলা
ব্যাকরণে
বিসর্গ
সন্ধিকে
পৃথকভাবে
উল্লেখ
করা হয়। প্রচলিত
ব্যাকরণের
সাথে
সমাঞ্জস্য
রেখে
আমরা
ব্যঞ্জন-ব্যঞ্জন
সন্ধিকে
দুটি
ধারায়
ভাগ করতে
পারি।
ভাগ দুটি
হলো-
·
৩.১. ব্যঞ্জন-ব্যঞ্জন (স্বাধীন) সন্ধি
·
৩.২ ব্যঞ্জন-ব্যঞ্জন (পরাশ্রয়ী) সন্ধি বা বিসর্গ সন্ধি।
নিচে
উভয় সন্ধির
নিয়মাবলিকে
পর্যায়ক্রমে
আলোচনা
করা হলো।
৩.১.
ব্যঞ্জন-ব্যঞ্জন
(স্বাধীন)
সন্ধি:
পরাশ্রায়ী
ব্যঞ্জনবর্ণ
ছাড়া
অন্যান্য
সকল ব্যঞ্জন
বর্ণ
অন্য
ব্যঞ্জনবর্ণের
সাথে
যুক্ত
হলে, তা ব্যঞ্জন-
ব্যঞ্জন
(স্বাধীন)
সন্ধি
হবে।
এক্ষেত্রে
সন্ধির
সূত্রগুলো
হবে—
৩.১.১ । পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
ক্, চ্, ট্, ত্, প্ হয় এবং পরপদের
আদ্যবর্ণ
বর্গের
তৃতীয়
চতুর্থ
বর্ণ
বা অন্তঃস্থ
বর্ণ
হয়, তবে ক, চ, ট, ত, প বর্গের
তৃতীয়
বর্ণে
পরিণত
হবে।
একই সাথে
পরপদের
স্বরবর্ণটি
পূর্বপদে
যুক্ত
হবে।
ব্যাখ্যা
: বর্গের
(ক, চ, ট, ত, প) তৃতীয়
ও চতুর্থ
বর্ণগুলো
হলো-
যথাক্রমে
গ, ঘ, জ, ঝ, ড, ঢ, দ, ধ, ব এবং ভ। পক্ষান্তরে
অন্তঃস্থ
বর্ণগুলো
হলো-
য (য়), র, ল ও অন্তঃস্থ
ব। এই বর্ণগুলো
যদি পরপদে
থাকে
এবং পূর্বপদের
শেষ বর্ণ
যদি ক্, চ্, ট্, ত্ এবং প হয়, তবে এই পাঁচটি
বর্ণ
যে রূপ লাভ করবে
তা হলো-
ক্=গ, চ্=জ, ট্ =ড (ড়), ত=দ এবং প=ব।
উদাহরণ
: ক্ + গ =গ্গ দিক্
+গজ =দিগ্গজ
ক্ + জ =গ্জ বাক্ +জাল =বাগ্জাল
ক্ + দ =গ্দ বাক্ + দত্তা =বাগ্দত্তা
ক্ + ধ =গ্ধ স্রক্ + ধরা =স্রগ্ধরা
ক্ + ব =গ্ব দিক্ + বিজয় =দিগ্বজয়
ক্ + ভ =গ্ভ্র দিক্ + ভ্রম =দিগ্ভ্রম
ক্ + ল =গ্ল বাক্ + লোপ =বাগ্লোপ
ট্ +জ=ড়জ ষট্ +জ=ষড়জ
ট্ + দ =ড়্দ ষট্ + দর্শন =ষড়্দর্শন
ট্ + ধ =ড়্ধ ষট্ + ধা =ষড়্ধা
ট্ + ব =ড়্ব ষট্ + বর্গ =ষড়্বর্গ
ট্ + ভ =ড়্ভ ষট্ + ভুজ =ষড়্ভুজ
ত্ + গ =দ্গ উত্ + গত =উদ্গত
ত্ + ঘ =দ্ঘ উত্ +ঘাটন =উদ্ঘাটন
ত্ + জ =জ্জ উত্ +জীবিত =উজ্জীবিত
ত্ + ড =ড্ড উত্ +ডীন =উড্ডীন
ত্ + ধ =দ্ধ বৃহত্ +ধর্ম =বৃহদ্ধর্ম
ত্ + ব =দ্ব জগত্ +বন্ধু =জগদ্বন্ধু
ত্ + ভ =দ্ভ উত্ +ভব =উদ্ভব
ত্ + য =দ্য উত্ +যোগ =উদ্যোগ
ত্+ র =দ্র বৃহত্ +রথ =বৃহদ্রথ
দ্ + ঘ =দ্ঘ উদ্ +ঘাটন =উদ্ঘাটন
প্ + জ =ব্জ অপ্ + জ =অব্জ
প্ + ধ =ব্ধ অপ্ + ধি =অব্ধি
ক্ + জ =গ্জ বাক্ +জাল =বাগ্জাল
ক্ + দ =গ্দ বাক্ + দত্তা =বাগ্দত্তা
ক্ + ধ =গ্ধ স্রক্ + ধরা =স্রগ্ধরা
ক্ + ব =গ্ব দিক্ + বিজয় =দিগ্বজয়
ক্ + ভ =গ্ভ্র দিক্ + ভ্রম =দিগ্ভ্রম
ক্ + ল =গ্ল বাক্ + লোপ =বাগ্লোপ
ট্ +জ=ড়জ ষট্ +জ=ষড়জ
ট্ + দ =ড়্দ ষট্ + দর্শন =ষড়্দর্শন
ট্ + ধ =ড়্ধ ষট্ + ধা =ষড়্ধা
ট্ + ব =ড়্ব ষট্ + বর্গ =ষড়্বর্গ
ট্ + ভ =ড়্ভ ষট্ + ভুজ =ষড়্ভুজ
ত্ + গ =দ্গ উত্ + গত =উদ্গত
ত্ + ঘ =দ্ঘ উত্ +ঘাটন =উদ্ঘাটন
ত্ + জ =জ্জ উত্ +জীবিত =উজ্জীবিত
ত্ + ড =ড্ড উত্ +ডীন =উড্ডীন
ত্ + ধ =দ্ধ বৃহত্ +ধর্ম =বৃহদ্ধর্ম
ত্ + ব =দ্ব জগত্ +বন্ধু =জগদ্বন্ধু
ত্ + ভ =দ্ভ উত্ +ভব =উদ্ভব
ত্ + য =দ্য উত্ +যোগ =উদ্যোগ
ত্+ র =দ্র বৃহত্ +রথ =বৃহদ্রথ
দ্ + ঘ =দ্ঘ উদ্ +ঘাটন =উদ্ঘাটন
প্ + জ =ব্জ অপ্ + জ =অব্জ
প্ + ধ =ব্ধ অপ্ + ধি =অব্ধি
৩.১.২। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ক্, চ্, ট্, ত্, প্ হয় এবং পরপদের
আদ্যবর্ণ
ন, ম হয় তা হলে পূর্বপদের
ক্, চ্, ট্, ত্, প্ যথাক্রমে
গ, জ, ড (ড়্), দ ও ব হয় কিম্বা
বিকল্পে
ঐ বর্গের
নাসিক্য-বর্ণে
পরিণত
হয়।
ব্যাখ্যা
: পূবপদের
শেষ বর্ণ
ক্, চ্, ট্, ত্, প্ হয়। যেমন
: বাক্,
বচ্ ইত্যাদি।
পরপদের
আদ্যবর্ণ
ন, ম হয়। যেমন
: নির্ণয়,
মন্দির
ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে
সন্ধিজাত
শব্দ
তৈরিতে
ক=গ, চ=জ, ট=ড (ড়), ত=দ এবং প=ব হবে।
বিকল্পে
ঐ বর্গের
নাসিক্য-বর্ণে
পরিণত
হয়। যেমন
ষট্ + মাস= ষড়্মাস
বা বিকল্পে
ষণ্মাস।
এখানে
ট্=ড় হয়েছে।
পক্ষান্তরে
ট-বর্গের
নাসিক্য
বর্ণ
ণ যুক্ত
হয়েছে।
উদাহারণ
: ক্ +ন =গ্ বা ঙ্ দিক্
+ নাগ=দিগ্নাগ
বা দিঙ্নাগ।
ক্ +ম =ঙ। বাক্ + ময়=বাঙ্ময়।
চ্ +ন =ঞ্ যাচ্ + না=যাচঞা
ট্ +ন =ণ ষট্ +নবতি=ষণ্ণবতি
ট্ +ম =ড (ড়) বা ণ ষট্ + মাস= ষড়্মাস বা ষণ্মাস।
ত্ +ন =দ্ বা ন জগৎ + নাথ=জগদ্নাগ বা জগন্নাথ।
ত্ +ম =দ্ বা ন। তৎ + মধ্য=তদ্মধ্য বা তন্মধ্য।
প্ +ম =ম। অপ্ +ময় =অম্ময়।
ক্ +ম =ঙ। বাক্ + ময়=বাঙ্ময়।
চ্ +ন =ঞ্ যাচ্ + না=যাচঞা
ট্ +ন =ণ ষট্ +নবতি=ষণ্ণবতি
ট্ +ম =ড (ড়) বা ণ ষট্ + মাস= ষড়্মাস বা ষণ্মাস।
ত্ +ন =দ্ বা ন জগৎ + নাথ=জগদ্নাগ বা জগন্নাথ।
ত্ +ম =দ্ বা ন। তৎ + মধ্য=তদ্মধ্য বা তন্মধ্য।
প্ +ম =ম। অপ্ +ময় =অম্ময়।
৩.১.৩। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি চ-বর্গীয়
হয় এবং পরপদের
প্রথম
বর্ণ
ন হয়, তবে তা (ন) ঞ হয়।
উদাহরণ : চ্ +ন যাচ্ +না =যাচঞা
জ্ +ন রাজ্ +নী =রাজ্ঞী (জ্ঞ=জ্ঞ)
উদাহরণ : চ্ +ন যাচ্ +না =যাচঞা
জ্ +ন রাজ্ +নী =রাজ্ঞী (জ্ঞ=জ্ঞ)
৩.১.৪। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ত্ বা দ্ হয় এবং পরপদের
প্রথম
বর্ণ
ক, খ, চ, ছ, ট, ঠ, ত, থ, প, ফ এবং স থাকে,
তবে দ ও ধ স্থানে
ত্ হয়।
উদাহরণ : দ্ + ক =ত্ তদ্ + কাল =তৎকাল
দ্ + ত =ত্ তদ্ +ত্ব =তত্ত্ব
দ্ + প =ত্ তদ্ +পর =তৎপর
দ্ + ফ =ত্ তদ্ +ফল =তৎফল
দ্ + স =ত্ তদ্ +সম =তৎসম
ধ্ + ক =ত্ ক্ষুধ্ +কাতর =ক্ষুৎকাতর
ধ্ + প =ত্ ক্ষুধ্ +পিপাসা =ক্ষুৎপিপাসা
উদাহরণ : দ্ + ক =ত্ তদ্ + কাল =তৎকাল
দ্ + ত =ত্ তদ্ +ত্ব =তত্ত্ব
দ্ + প =ত্ তদ্ +পর =তৎপর
দ্ + ফ =ত্ তদ্ +ফল =তৎফল
দ্ + স =ত্ তদ্ +সম =তৎসম
ধ্ + ক =ত্ ক্ষুধ্ +কাতর =ক্ষুৎকাতর
ধ্ + প =ত্ ক্ষুধ্ +পিপাসা =ক্ষুৎপিপাসা
৩.১.৫। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ৎ বা দ্ হয় এবং পরপদের
প্রথম
বর্ণ
চ, ছ, জ, ঝ থাকে,
তবে পূর্বপদের
ত্ বা দ্ লোপ
পাবে
এবং পরপদের
চ=চ্চ, ছ=চ্ছ, জ=জ্জ এবং ঝ=জ্ঝ হবে।
একই সাথে পরপদের ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে যুক্ত স্বরবর্ণটি পূর্বপদে যুক্ত হবে।
ব্যাখ্যা
: পূর্বদের
শেষ বর্ণটি
খাঁটি
ব্যঞ্জন
ধ্বনি
হলে তার সাথে
হসন্ত
যুক্ত
হবে।
যেমন-
যেমন-
সৎ, বিপদ্
ইত্যাদি।
পক্ষান্তরে
পরপদের
ব্যঞ্জনবর্ণের
সাথে
যুক্ত
স্বরবর্ণটি
পূর্বপদে
যুক্ত
হবে।
যেমন-
পরপদের
শব্দের
শব্দটি
যদি চিত্র
হয়, তা হলে- এর আদ্য
চি ধ্বনিটি
হবে চ্ + ই। এক্ষেত্রে
সন্ধিজাত
চ্চ, চ্ছ, জ্জ, জ্ঝ-এর সাথে
পরপদের
ব্যঞ্জনবর্ণের
সাথে
যুক্ত
স্বরবর্ণটি
যুক্ত
হবে।
উদাহরণ : ৎ + চ =চ্চ চলৎ + চিত্র =চলচ্চিত্র
ৎ + ছ =চ্ছ উৎ + ছেদ =উচ্ছেদ
ৎ + জ =জ্জ যাবৎ +জীবন =যাবজ্জীবন
ৎ + ঝ =জ্ঝ কুৎ +ঝটিকা =কুজ্ঝটিকা
দ + চ =চ্চ তদ্ +চিন্তা =তচ্চিন্তা
দ + ছ =চ্ছ তদ্ +ছবি =তচ্ছবি
দ + জ =জ্জ তদ্ +জন্য =তজ্জন্য
দ + ঝ =জ্ঝ বিপদ +ঝঞ্ঝা =বিপজ্ঝঞ্ঝা।
উদাহরণ : ৎ + চ =চ্চ চলৎ + চিত্র =চলচ্চিত্র
ৎ + ছ =চ্ছ উৎ + ছেদ =উচ্ছেদ
ৎ + জ =জ্জ যাবৎ +জীবন =যাবজ্জীবন
ৎ + ঝ =জ্ঝ কুৎ +ঝটিকা =কুজ্ঝটিকা
দ + চ =চ্চ তদ্ +চিন্তা =তচ্চিন্তা
দ + ছ =চ্ছ তদ্ +ছবি =তচ্ছবি
দ + জ =জ্জ তদ্ +জন্য =তজ্জন্য
দ + ঝ =জ্ঝ বিপদ +ঝঞ্ঝা =বিপজ্ঝঞ্ঝা।
৩.১.৬। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ৎ বা দ্ হয় এবং পরপদের
প্রথম
বর্ণ
ট, ড, ঢ থাকে,
তবে পূর্বপদের
ত্ বা দ্ লোপ
পাবে
এবং পরপদের
ট=ট্ট, ড=ডড, ঢ=ড্ঢ হবে।
একই সাথে
পরপদের
ব্যঞ্জনবর্ণের
সাথে
যুক্ত
স্বরবর্ণটি
পূর্বপদে
যুক্ত
হবে।
উদাহরণ : ৎ + ট =ট্ট তৎ + টীকা =তট্টীকা
ৎ + ড =ড্দ উৎ + ডীন =উড্ডীন
ৎ + ঢ =ড্ঢ। বৃহৎ +ঢা =বৃহড্ঢা
দ + ট =ট্ট তদ্ + টীকা =তট্টীকা
দ্ + ঢ =ড্ঢ এতদ্ +ঢা =এতড্ঢা
উদাহরণ : ৎ + ট =ট্ট তৎ + টীকা =তট্টীকা
ৎ + ড =ড্দ উৎ + ডীন =উড্ডীন
ৎ + ঢ =ড্ঢ। বৃহৎ +ঢা =বৃহড্ঢা
দ + ট =ট্ট তদ্ + টীকা =তট্টীকা
দ্ + ঢ =ড্ঢ এতদ্ +ঢা =এতড্ঢা
৩.১.৭। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ৎ, দ্, ধ্ হয় এবং পরপদের
ন বা ম থাকলে,
ৎ বা দ্ এর স্থানে
ন হয়।
উদাহরণ : ৎ +ন =ন উৎ + নতি =উন্নতি
ত্ +ম =ন মৃৎ + নয় =মৃন্ময়
দ্ +ন =ন তদ্ + নিমিত্ত =তন্নিমিত্ত
দ্ +ম =ন তদ্ + ময় =তন্ময়
ধ্ +ন =ন ক্ষুধ্ +নিবৃত্তি =ক্ষুণ্ণিবৃত্তি
উদাহরণ : ৎ +ন =ন উৎ + নতি =উন্নতি
ত্ +ম =ন মৃৎ + নয় =মৃন্ময়
দ্ +ন =ন তদ্ + নিমিত্ত =তন্নিমিত্ত
দ্ +ম =ন তদ্ + ময় =তন্ময়
ধ্ +ন =ন ক্ষুধ্ +নিবৃত্তি =ক্ষুণ্ণিবৃত্তি
৩.১.৮। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ৎ বা দ্ হয় এবং পরপদের
প্রথম
বর্ণ
শ থাকে.
তবে শ স্থানে
চ্ছ হয়।
উদাহরণ : ৎ + শ =চ্ছ উৎ +শ্বাস =উচ্ছ্বাস
দ্ + শ =চ্ছ তদ্ +শক্তি =তচ্ছক্তি
উদাহরণ : ৎ + শ =চ্ছ উৎ +শ্বাস =উচ্ছ্বাস
দ্ + শ =চ্ছ তদ্ +শক্তি =তচ্ছক্তি
৩.১.৯। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ৎ হয় এবং পরপদের
প্রথম
বর্ণ
হ হয়, তবে পূর্বপদের
ৎ =দ্ এবং পরপদের
হ =ধ হবে।
উদাহরণ : ৎ +হ =দ্ধ>দ্ধ উৎ +হার =উদ্ধার
দ্ +হ =দ্ধ>দ্ধ পদ্ +হতি =পদ্ধতি
উদাহরণ : ৎ +হ =দ্ধ>দ্ধ উৎ +হার =উদ্ধার
দ্ +হ =দ্ধ>দ্ধ পদ্ +হতি =পদ্ধতি
৩.১.১০। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ৎ বা দ্ হয় এবং পরপদের
প্রথম
বর্ণ
ল হয়, তবে উক্ত
ল-দ্বিত্ব
বর্ণে
পরিণত
হয়।।
উদাহরণ : ৎ +ল =ল্ল উৎ +লেখ =উল্লেখ
দ্ +ল =ল্ল তদ্ +লোক =তল্লোক
৩.১.১১। পূর্বপদের শেষ বর্ণটি যদি ধ্, ভ্ ও হ্ হয় এবং পরপদের প্রথম বর্ণ ত হয়, তবে পূর্বপদের ত+ধ =দ্ধ, ভ্ +ত=দ্ধ এবং হ্ +ধ=গ্ধ হবে।
উদাহরণ : ৎ +ল =ল্ল উৎ +লেখ =উল্লেখ
দ্ +ল =ল্ল তদ্ +লোক =তল্লোক
৩.১.১১। পূর্বপদের শেষ বর্ণটি যদি ধ্, ভ্ ও হ্ হয় এবং পরপদের প্রথম বর্ণ ত হয়, তবে পূর্বপদের ত+ধ =দ্ধ, ভ্ +ত=দ্ধ এবং হ্ +ধ=গ্ধ হবে।
উদাহরণ
: ধ্ +ত =দ্ধ বুধ্
+ত =বুদ্ধ
ভ্ +ত =দ্ধ লভ্ +ত =লব্ধ
হ্ +ত =গ্ধ দুহ্ +ত =দুগ্ধ
ভ্ +ত =দ্ধ লভ্ +ত =লব্ধ
হ্ +ত =গ্ধ দুহ্ +ত =দুগ্ধ
৩.১.১২। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ম্ হয় এবং পরপদের
প্রথম
বর্ণ
ক, খ, গ, ঘ, য, র, ল, ব, শ, স এবং হ হয়, তবে পূর্বপদের
ম ধ্বনি
ং বা ঙ-তে পরিণত
হয়।
উদাহরণ : ম্ +ক=ঙ্ক অহম্ +কার =অহঙ্কার
ম্ +খ =ঙ্খ সম্ +খ্য =সংখ্যা
ম্ +গ =ঙ্গ ম্ +গীত =সঙ্গীত
ম্ +ঘ =ঙ্ঘ সম্ +ঘ =সঙ্ঘ
ম্ +ব =ম্ব কিম্ +বা =কিংবা
ম্ +য =ংয সম্ +যত =সংযত
ম্ +র =ংর সম্ +রাগ =সংরাগ
ম্ +ল =ংল সম্ +লাপ =সংলাপ
ম্ +শ =ংশ সম্ +শোধন =সংশোধন
ম্ +স =ংস সম্ + সার =সংসার
ম্ +হ =ংহ সম্ +হার =সংসার
উদাহরণ : ম্ +ক=ঙ্ক অহম্ +কার =অহঙ্কার
ম্ +খ =ঙ্খ সম্ +খ্য =সংখ্যা
ম্ +গ =ঙ্গ ম্ +গীত =সঙ্গীত
ম্ +ঘ =ঙ্ঘ সম্ +ঘ =সঙ্ঘ
ম্ +ব =ম্ব কিম্ +বা =কিংবা
ম্ +য =ংয সম্ +যত =সংযত
ম্ +র =ংর সম্ +রাগ =সংরাগ
ম্ +ল =ংল সম্ +লাপ =সংলাপ
ম্ +শ =ংশ সম্ +শোধন =সংশোধন
ম্ +স =ংস সম্ + সার =সংসার
ম্ +হ =ংহ সম্ +হার =সংসার
৩.১.১৩। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ম্ হয় এবং পরপদের
প্রথম
বর্ণ
চ, ট, ত প-বর্গের
হয়, তবে সন্ধির
ফলে বর্গের
পঞ্চম
বর্ণ
হবে।
ব্যাখ্যা
: পরিচর্তনের
ফলে (চ, ছ, জ, ঝ, ঞ)=ঞ,(ট, ঠ, ড, ঢ, ণ)=ণ, (ত, থ, দ, ধ, ন) =ন এবং (প, ফ, ব, ভ, ম)=ম হবে।
উদাহরণ : ম্ +চ =ঞচ্>ঞ্চ সম্ +চয় =সঞ্চয়।
ম্ +জ =ঞ্জ>ঞ্জ সম্ +জয় =সঞ্জয়।
ম্ +ত =ন্ত গম্ +তব্য =গন্তব্য।
ম্ +ধ =ন্ধ সম্ +ধান =সন্ধান।
ম্ +ন =ন্ন কিম্ +নর =কিন্নর।
ম্ +প =ম্প সম্ +পূর্ণ =সম্পূর্ণ
ম্ +ব =ম্ব সম্ +বোধন =সম্বোধন।
ম্ +ভ =ম্ভ কিম্ +ভূত =কিম্ভূত
ম্ +ম্ =ম্ম সম্ +মান =সম্মান
উদাহরণ : ম্ +চ =ঞচ্>ঞ্চ সম্ +চয় =সঞ্চয়।
ম্ +জ =ঞ্জ>ঞ্জ সম্ +জয় =সঞ্জয়।
ম্ +ত =ন্ত গম্ +তব্য =গন্তব্য।
ম্ +ধ =ন্ধ সম্ +ধান =সন্ধান।
ম্ +ন =ন্ন কিম্ +নর =কিন্নর।
ম্ +প =ম্প সম্ +পূর্ণ =সম্পূর্ণ
ম্ +ব =ম্ব সম্ +বোধন =সম্বোধন।
ম্ +ভ =ম্ভ কিম্ +ভূত =কিম্ভূত
ম্ +ম্ =ম্ম সম্ +মান =সম্মান
৩.১.১৪। পূর্বপদের
শেষ বর্ণটি
যদি ষ হয় এবং পরপদের
প্রথম
বর্ণ
ত বা থ থাকলে,
ত=ট, থ=ঠ হয়।
উদাহরণ : ষ্ +ত =ট বৃষ্ + তি =বৃষ্টি
ষ্ +থ =ঠ ষষ্ + থ =ষষ্ঠ
উদাহরণ : ষ্ +ত =ট বৃষ্ + তি =বৃষ্টি
ষ্ +থ =ঠ ষষ্ + থ =ষষ্ঠ
৩.১.১৫। উৎ-উপসর্গের
স্থা
ধাতু
যোগে
যে সন্ধি
হয়, তার প্রথম
ধ্বনি
(স) লোপ
পায়।
উদাহরণ : উৎ +স্থা=স্থা উৎ +স্থান =উত্থান
উত্ +স্থি=ত্থি উৎ +স্থিত =উত্থিত
উদাহরণ : উৎ +স্থা=স্থা উৎ +স্থান =উত্থান
উত্ +স্থি=ত্থি উৎ +স্থিত =উত্থিত
৩.১.১৬। সম্ উপসর্গের
পরে কৃ-ধাতু
যুক্ত
হলে, ধাতুর
আগে স যুক্ত
হয়। যেমন-
সম্ +কার =সংস্কার।
সম্ +কার =সংস্কার।
কিন্তু
পরি উপসর্গের
পরে ষত্ব
বিধানের
নিয়মে
স>ষ হয়। যেমন-
পরি +কার =পরিস্কার>পরিষ্কার।
পরি +কার =পরিস্কার>পরিষ্কার।
No comments