৬. অধিকরণ কারক কাকে বলে? অপাদান-অধিকরণ কারকের পার্থক্য লিখ
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে (সময় এবং স্থানকে) অধিকরণ কারক বলে।
ক্রিয়াকে ‘কোথায়/ কখন/ কী বিষয়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক।
·
পুকুরে মাছ আছে। (কোথায় আছে? পুকুরে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
·
বনে বাঘ আছে। (কোথায় আছে? বনে)
: অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
·
ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে। (কোথায় বাঁধা আছে? ঘাটে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
·
রাজার দুয়ারে হাতি বাঁধা। (কোথায় বাঁধা? দুয়ারে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
·
সকালে সূর্য ওঠে। (কখন ওঠে? সকালে)
: অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
·
এ বাড়িতে কেউ নেই। (কোথায় কেউ নেই? বাড়িতে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
·
নদীতে পানি আছে। (কোথায় আছে? নদীতে)
: অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
·
রবিন অঙ্কে কাঁচা। (কী বিষয়ে কাঁচা? অঙ্কে)
: অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
·
সজিব ব্যাকরণে ভাল। (কী বিষয়ে কাঁচা? ব্যাকরণে) : অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
·
ঘরের মধ্যে কে রে? (কোথায়? ঘরে)
: অধিকরণ কারকে অনুসর্গ মধ্যে
·
বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়। (কোথায় থেকে দেখা যায়? বাড়ি থেকে):অধিকরণে পঞ্চমী বিভক্তি*
·
শেষ উদাহরণটিতে নদী বাড়ি থেকে বের হয়নি, তাই এটি অপাদান কারক নয়। নদী বাড়ি থেকেই দেখা যায়। অর্থাৎ, ক্রিয়াটি বাড়িতেই ঘটছে, তাই এটি অধিকরণ কারক।
অপাদান-অধিকরণ কারকের পার্থক্য
অপাদান ও অধিকরণ কারক আলাদা করতে গিয়ে অনেকেরই সমস্যা হয়। অপাদান ও অধিকরণ কারককে আলাদা করে চেনার সহজ উপায় হলো, অপাদান কারক থেকে কোন কিছু বের হয় বোঝায়। আর অধিকরণ কারকের মাঝেই ক্রিয়া সম্পাদিত হয়।
যেমন- ‘তিলে থেকে তেল হয়’ আর ‘তিলে তেল আছে’।
প্রথম বাক্যে তিলের ভেতর ক্রিয়া সংঘটিত হয়নি। বরং তিল থেকে তেল বের হওয়ার কথা বোঝাচ্ছে।
আর দ্বিতীয় বাক্যে তিলের ভেতরই তিল থাকার কথা বলছে। এই ‘আছে’ ক্রিয়াটি তিলের ভেতরে থেকেই কাজ করছে।
এরকম-
·
বিপদ থেকে বাঁচাও- অপাদান কারক
·
বিপদে বাঁচাও- অধিকরণ কারক
·
শুক্তি থেকে মুক্তি মেলে- অপাদান কারক
·
শুক্তিতে মুক্তি হয়- অধিকরণ কারক
·
জমি থেকে ফসল পাই- অপাদান কারক
·
জমিতে ফসল হয়- অধিকরণ কারক
No comments