সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশের কতিপয় পুরস্কার প্রবর্তন-


পুরস্কারের নাম
প্রবর্তনের বছর
বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক
১৯৭৩
একুশে পদক
১৯৭৬
বাংলা একাডেমি পুরস্কার
১৯৬০
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার
১৯৭৬
শিশু একাডেমি পুরস্কার
১৩৯৬ (বঙ্গাব্দ)
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
১৯৭৬

স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (বর্তমান স্বাধীনতা পদক)
১৯৭৭
জাতীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি পদক
১৯৯৪
বেগম রোকেয়া পদক
১৯৯৫
বঙ্গ--ইমতিয়াজ পুরস্কার
১৯৬৯
ম্যাগসেসে পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি-
(রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার (পিলিপিনো: Ramon Magsaysay Award রামোন্মাগ্সাইসাই এওয়ার্ড১৯৫৭ সালের এপ্রিল মাসে প্রবর্তিত হয়। এটি প্রবর্তন করেন নিউইয়র্ক শহরভিত্তিক রকফেলার ব্রাদার্স ফান্ড এর সম্মানিত ট্রাস্টিবৃন্দ। এই পুরস্কারটির প্রবর্তন করা হয় ফিলিপাইনের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রামোন ম্যাগসেসেকে স্মরণ করে
প্রায়শই পুরস্কারটিকে এশিয়ার নোবেল পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।)
ক্রম
নাম
সাল
তাহেরুন্নেসা আহমেদ আব্দুল্লাহ
১৯৭৮
ফজলে হাসান আবেদ
১৯৮০
. মুহাম্মদ ইউনুস
১৯৮৪
. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
১৯৮৫
ফাদার রিচার্ড উইয়িাম টিম
১৯৮৭
মোহাম্মদ ইয়াসিন
১৯৮৮
অ্যাঞ্জেলা গোমেজ
১৯৯৯
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
২০০৪
মতিউর রহমান
২০০৫
১০
এএইচএম নোমান খান
২০১০
১১
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
২০১২

আন্তর্জাতিক পুরস্কার অঙ্গনে বাংলাদেশি-
ব্যক্তিত্ত্ব
পুরস্কার
বাংলাদেশি নারী ব্যবসায়ী সেলিমা আহমাদ। তিনি নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ায়ারম্যান বাংলাদেশ উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজএর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। স্বতন্ত্র ব্যবসায় সর্বোচ্চ অবদানের জন্য তাকে সম্মাননা দেওয়া হয়
আসলো বিজনেস ফর পিচ অ্যাওয়ার্ড ২০১৪
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার (১৯৭২, ফ্রান্স), নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু পুরস্কার (১৯৯৭, মরণোত্তর)
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান
সার্ক পুরস্কার(২০০৪)
. মুহাম্মদ ইউনুস
ম্যাগসেসে পুরস্কার (১৯৮৪, ফিলিপাইন), আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার (১৯৮৯, সুইজারল্যান্ড), কেয়ার মানবিক পুরস্কার (১৯৯৩, যুক্তরাষ্ট্র), মোহাম্মদ শাহাবদীন অর্থ সামাজিক পুরস্কার (১৯৯৩,শ্রীলংকা),  বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (১৯৯৪, যুক্তরাষ্ট্র), সিডনি পিস পুরস্কার (১৯৯৭, অস্ট্রেলিয়া) মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড (২০০৬ ভারত), সিউল শান্তি পুরস্কার (২০০৬, .কোরিয়া), নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০০৬), মেতেল অব ফ্রিডম (২০০৯)
আলাউদ্দিন আল আজাদ
ইউনেস্কো অ্যাওয়ার্ড (১৯৬৫)
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী
থান্ট পুররস্কার (২০০০)
হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম
বাংলাদেশে শতাব্দীর সেরা ফুটবলার (ফিফা ঘোষিত)
শামিমা খাতুন (বিড়ালাক্ষ্মী, সাতক্ষীরা)
বিশ্ব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার (২০০৫)
সুজিত কুমারর দেব শর্মা (বিজ্ঞানী)
সার্ব আঞ্চলিক পুরস্কার (২০০৫)
. খন্দকার মোশারফ হোসেন
গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড (২০০৪) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রাপ্ত
শামসুর রহমান
মিৎসুবিসি পুরস্কার (১৯৮২, জাপান), আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৪, ভারত, সার্ক সাহিত্য পুরস্কার (২০০১)
অধ্যাপক . মাহফুজুর রহমান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড (২০০৪)
গ্রামীণ ব্যাংক
আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার (১৯৮৯, সুইজারল্যান্ড), রাজা বোদওয়া আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পুরস্কার (১৯৯৩, বেলজিয়াম), তুন আবদুর রাজ্জাক পুরস্কার (১৯৯৪, মালয়েশিয়া), বিশ্ব বসতি পুরস্কার (১৯৯৭, যুক্তরাজ্য), মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার (২০০০, ভারত), Perersberg Prize (২০০৪, যুক্তরাষ্ট্র) এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০০৬)
ব্রাক
গেটস অ্যাওয়ার্ড ফর গ্লোবাল হেলথ (২০০৪)
আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
ইউনেস্কোর কলিঙ্গ পুরস্কার (১৯৬৯)
ফজলে হাসান আবেদ
ম্যাগসেস পুরস্কার (১৯৮০, ফিলিপাইন), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী মাহবুব-উর-হক পুরস্কার (২০০৪) ওলফ পাম অ্যাওয়ার্ড (২০০১) ২০১০ সালে বৃটেনের রানীর দেয়া নাইট উপাধি পান
ঢাকা আহছানিয়া মিশন
গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক অ্যাওয়ার্ড (২০০৩), আরব-গালফ ফান্ড পুরস্কার (২০০৪)
বাংলাদেশ প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা পুরস্কার (১৯৯৮)
আনোয়ার করিম চৌধুরী
থান্ট শান্তি পুরস্কার (১৯৯৯)
এটিএন বাংলা
অ্যামি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪ (আমারাও পারিপ্রামাণ্য চিত্রের জন্য)
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি.
সার্ক কান্ট্রি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড (২০০৫)
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার
বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সরকার পুরস্কার প্রবর্তন করে। জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিককে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রগুলি হলো স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধে স্মরণীয় অবদান, ভাষা আন্দোলনে অবদান এবং শিক্ষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাংবাদিকতা, জনসেবা, সামাজিক বিজ্ঞান, সঙ্গীত, ক্রীড়া, চারুকলা পল্লী উন্নয়নে অবদান। ছাড়া জাতীয় জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্ব প্রদর্শনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও পুরস্কারে ভূষিত করার বিধান রয়েছে। প্রতিটি পুরস্কারের মান একটি স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র এবং নগদ অর্থ। পুরস্কারের নগদ অর্থের পরিমান সূচনালগ্নে ছিল বিশ হাজার টাকা। ২০০৪ সালে তা এক লক্ষ টাকায় উন্নীত হয়। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে পুরস্কার প্রদান করা হয়

প্রথম একুশে পদক (১৯৭৬)
সাহিত্য: কবি কাজী নজরুল ইসলাম, কবি জসিম উদ্দিন, বেগম সুফিয়া কামাল, কবি আব্দুল কাদির
শিক্ষা: ডক্টর মুহাম্মদ কদিরত--খুদা
সাংবাদিকতা: তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া (মরণোত্তর), আবুল কালাম শামসুদ্দিন, আবদুস সালাম

বাংলা একাডেমি পুরস্কার
প্রথম বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬০)
কবিতা: ফররুখ আহমদ
উপন্যাস: আবুল হাশেম খান
প্রবন্ধ গবেষণা: আবদুল্লা-হেল কাফী মুহম্মদ বরকত উল্লাহ
নাটক: আসকার ইবনে শাইখ
শিশুসহিত্য: খান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন

শিশু একাডেমি পুরস্কার
বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার  শিশুসাহিত্যে সার্বিক অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমী বছরে একজন সাহিত্যসেবীকে পুরস্কার প্রদান করে। বাংলা ১৩৯৬ সন (১৯৮৯ খ্রি) থেকে পুরস্কার চালু করা হয়েছে। একজন কবি বা সাহিত্যিক জীবনে মাত্র একবার পুরস্কার লাভ করতে পারেন। পুরস্কার মরণোত্তর পুরস্কার হিসেবে দেওয়ার বিধান নেই। শিশু একাডেমী পুরস্কারের মান নগদ ২৫ হাজার টাকা। পুরস্কৃত সাহিত্যিককে নগদ অর্থ, সম্মাননা প্রতীক সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার  ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারের ক্ষেত্র হলো ক্রীড়া সংগঠক এবং ফুটবল, হকি, ক্রিকেট, সাঁতার, শুটিং, দাবা অ্যাথলেটিক্সে কৃতিত্ব প্রদর্শন। পুরস্কারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি স্বর্ণপদক নগদ আট হাজার টাকা

বেগম রোকেয়া পদক
বেগম রোকেয়া পদক নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার অবিস্মরণীয় অবদান স্বীকৃতি উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের একটি রাষ্ট্রীয় পদক। প্রতিবছর ডিসেম্বরের তারিখ বেগম রোকেয়ার জন্ম মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারী ভাবে এই পদক প্রদান করা হয়
নারী কল্যাণ সংস্থা ১৯৯১ সাল থেকে এই নামের একটি পদক প্রদান করা শুরু করে। সরকারী ভাবে ১৯৯৬ সাল থেকে এই পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কৃত প্রত্যেককে এককালীন এক লক্ষ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণ পদক এবং একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়
প্রতি বছর ৩০শে জুন তারিখের মধ্যে মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পূর্ববর্তী বছরের জন্য মনোনয়ন আহবান করে। ১৫ই অক্টোবর তারিখের মধ্যে মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাছাই কমিটি পুরস্কার পাবার উপযুক্ত মহিলাদের নামের তালিকা জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্তত মন্ত্রিসভা কমিটির বিবেচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করে। প্রতি বৎসর ডিসেম্বর মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘‘বেগম রোকেয়া দিবস’’ অনুষ্ঠানে এই পদক প্রদান করা হয়

No comments

Powered by Blogger.