প্রকৃতি কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি?
১. শব্দমূল অর্থাৎ শব্দের যে অংশকে আর ভাঙা যায় না, তাকেই প্রকৃতি বলে। প্রত্যয় যুক্ত প্রত্যেকটি
মৌলিক শব্দ তথা প্রত্যয় যুক্ত প্রতিটি প্রাতিপদিক ও ধাতুই একেকটি প্রকৃতি। কিন্তু মৌলিক শব্দকে প্রকৃতি বলা যায় না। যখনই সেই শব্দের সঙ্গে অর্থাৎ অতিরিক্ত শব্দাংশ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তখনই কেবল নতুন সৃষ্ট শব্দটির মূল শব্দটিকে প্রকৃতি বলা যায়।
অর্থাৎ, প্রত্যয় সাধিত শব্দের মূলশব্দকে বলা হয় প্রকৃতি। কিন্তু শব্দটি হতে প্রত্যয় সরিয়ে ফেললে,
মূলশব্দটিকে তখন আর প্রকৃতি বলা যাবে না।
মূলশব্দটিকে তখন আর প্রকৃতি বলা যাবে না।
যেমন- বড়াই, ঘরামি, লাজুক,পড়ুয়া, নাচুনে, জিতা শব্দগুলোর মূলশব্দ যথাক্রমে বড়, ঘর, লাজ, পড়, নাচ, জিত। এখানে, বড়াই, ঘরামি, লাজুক,পড়ুয়া, নাচুনে, জিতা শব্দগুলো প্রত্যয়সাধিত (মূলশব্দের সঙ্গে অতিরিক্ত শব্দাংশ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে।) আর এই শব্দগুলোর মূলশব্দ বড়, ঘর, লাজ, পড়, নাচ, জিত। অর্থাৎ লাজ, বড়, ঘর, পড়, নাচ, জিত- এগুলো লাজুক, বড়াই, ঘরামি, পড়ুয়া, নাচুনে, জিতা শব্দগুলোর প্রকৃতি। কিন্তু ভিন্ন উল্লেখ করলে এগুলো আর প্রকৃতি নয়, এগুলো তখন শুধু কতোগুলো মৌলিক শব্দ।
২. শব্দ / ধাতুর মূলকে প্রকৃতি বলে। শব্দের মূল বলতে সাধারণত বুঝায় মৌলিক শব্দকে এবং ধাতুর মূল বলতে বুঝায় সিদ্ধ বা মৌলিক ধাতুকেই । যেমন- ‘দোকান’ শব্দের মূল ‘দোকান’, ‘ঢাকা’ শব্দের মূল ‘ঢাকা’ এবং ‘’লিখ’’ ধাতুর মূল ‘লিখ্’, ‘কর’ ধাতু মূল ‘কর,’।
প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা-
1.
নাম-প্রকৃতি
শব্দের মূলকে নাম-প্রকৃতি বলা হয়। নাম-প্রকৃতির আগে কিংবা পরে কিছু যোগ না করলেও এইগলো শব্দ বলে গণ্য হয়। তাবুও বাক্যে ব্যবহার করতে গেলে এ নাম-প্রকৃতির সাথে বিভক্তি চিহ্ন যোগ করতে হয়। যেমন- ঢাকা, দোকান।
অন্যভাবে- প্রাতিপদিকের সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হলে প্রাতিপদিকটিকে নাম প্রকৃতি বলে। যেমন, উপরের লাজ, বড়, ঘর- এগুলো নাম প্রকৃতি।
শব্দের মূলকে নাম-প্রকৃতি বলা হয়। নাম-প্রকৃতির আগে কিংবা পরে কিছু যোগ না করলেও এইগলো শব্দ বলে গণ্য হয়। তাবুও বাক্যে ব্যবহার করতে গেলে এ নাম-প্রকৃতির সাথে বিভক্তি চিহ্ন যোগ করতে হয়। যেমন- ঢাকা, দোকান।
অন্যভাবে- প্রাতিপদিকের সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হলে প্রাতিপদিকটিকে নাম প্রকৃতি বলে। যেমন, উপরের লাজ, বড়, ঘর- এগুলো নাম প্রকৃতি।
2.
ক্রিয়া-প্রকৃতি
ধাতুর মূলকে ধাতু-প্রকৃতি অথবা ক্রিয়া-প্রকৃতি বলে। ধাতু-প্রকৃতি বা ক্রিয়া-প্রকৃতি প্রত্যয় বা বিভক্তিযুক্ত না হয়ে শব্দরূপে ব্যবহৃত হয় না। যে সমস্ত ধাতু শব্দরূপে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়, সে গুলোতে একটি শূন্য প্রত্যয় যুক্ত আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। যেমন- লিখ্, কর্।
ভিন্নভাবে- ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুটিকে ক্রিয়া প্রকৃতি বলে। যেমন, উপরের √নাচ √পড়, , √জিত- এগুলো ক্রিয়া প্রকৃতি।
ধাতুর মূলকে ধাতু-প্রকৃতি অথবা ক্রিয়া-প্রকৃতি বলে। ধাতু-প্রকৃতি বা ক্রিয়া-প্রকৃতি প্রত্যয় বা বিভক্তিযুক্ত না হয়ে শব্দরূপে ব্যবহৃত হয় না। যে সমস্ত ধাতু শব্দরূপে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়, সে গুলোতে একটি শূন্য প্রত্যয় যুক্ত আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। যেমন- লিখ্, কর্।
ভিন্নভাবে- ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুটিকে ক্রিয়া প্রকৃতি বলে। যেমন, উপরের √নাচ √পড়, , √জিত- এগুলো ক্রিয়া প্রকৃতি।
No comments